চা পানের বিরতিতে ভারত ৪৯৭/৭ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিল। রাহানের শতরানের পরে নিয়ম মেনে রোহিতের সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি এবং জাদেজার অর্ধশতরানও হয়ে গিয়েছিল। স্কোরবোর্ডে তখনই উঠে গিয়েছে প্রায় পাঁচশো রান। তাই বিরাট কোহলি টি ব্রেকেই ইনিংসের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করলেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ডিন এলগারকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন সামি। তারপরে উমেশের শিকার ডিকক। খারাপ আলোর কারণে দক্ষিণ আফ্রিকান ইনিংসে মাত্র ৫ ওভার খেলা হল। তার মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হল ডিকক এবং এলগারকে। প্রোটিয়াজদের স্কোরবোর্ড ৯/২। ভারতের ইনিংসের থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও পিছিয়ে ৪৮৮ রানে। হাতে রয়েছে ৮ উইকেট।
মহম্মদ শামির প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলই লিভ করতে গিয়েছিলেন এলগার (০)। তবে তা গ্লাভসের কানায় লেগে উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহার গ্লাভসে জমা হয়। দ্বিতীয় ওভারের উমেশ যাদবের বল ডিকক বাউন্ডারিতে পাঠিয়েছিলেন। তবে পরের বলেই আউট! ঋদ্ধিমানের হাতেই ক্যাচ তুলে বিদায় তাঁর (৪)। আপাতত ক্রিজে ব্যাটিং করছেন জুবেইর হামজা (১) এবং ফাফ ডুপ্লেসিস (১)।
বিরাট দ্বিতীয় সেশনে ডাবল সেঞ্চুরি করার পরে বেশিক্ষণ টেকেননি ক্রিজে। রোহিত-জাদেজা জুড়ি ষষ্ঠ উইকেটে ৬৪ রান যোগ করে গিয়েছিলেন। রোহিত রাবাদার বলে লুঙ্গি এনগিডির হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেওয়ার পরে ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে ৪৭ রানের ছোট পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন। ঋদ্ধিমান সাহা (২২), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (১৪) আউট হয়ে যাওয়ার পরে পুণের দর্শকদের এন্টারটেনমেন্ট করে গেলেন উমেশ যাদব। ঝোড়ো ইনিংস খেলে। টি২০ সুলভ ভঙ্গিতে ১০ বলে ৩১ রানের মারকাটারি ইনিংস বেরোল তাঁর হাত থেকে। ছক্কার পর ছক্কা হাকালেন প্রোটিয়াজ বোলারদের। ১০ বলের মধ্যেই পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি! উমেশ আউট হয়ে যাওয়ার পরে নেমেছিলেন শাহবাজ নাদিম। দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের মধ্যে জর্জে লিন্ডে ৪ এবং রাবাদা ৩ উইকেট দখল করেন।
তার আগে ভারতীয় ব্যাটিং পুরোটাই রোহিত শর্মা-ময়। প্রথম দিনেই তিন অঙ্কের রানে পৌঁছে গিয়েছিলেন রোহিত। দ্বিতীয় দিনে পূর্ণ করে ফেললেন দ্বিশতরান। ২৪৯ বলে রোহিত দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করে গেলেন। কেরিয়ারে প্রথমবার। ওপেনার হিসেবে রোহিতই প্রথম ব্য়াটসম্যান যিনি একই টেস্ট সিরিজে দু-দু’বার ১৫০ প্লাস রান করলেন। সবমিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চতুর্থ ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিশতরান রান করলেন মুম্বইকর।
এদিন লুঙ্গি এনগিডির বলে ছক্কা হাকিয়ে ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছন তিনি। প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই নজির গড়লেন তিনি। তাঁর ইনিংস সাজানো ২৮টি বাউন্ডারি এবং ছটা ছক্কায়। ঘটনাচক্রে, এই ইনিংসেই ডেন পিয়েতের বলে ওভার বাউন্ডারিতে হাকিয়ে ১০০ রান পূর্ণ করেছিলেন তিনি। দ্বিশতরান করার পরে আপাতত একগুচ্ছ রেকর্ডের অধিকারী হয়ে গিয়েছেন। ৩২ বছরের তারকা প্রথম ভারতীয় ব্য়াটসম্যান হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ৫০০ প্লাস রান করে ফেললেন এদিন। এর আগে এই তালিকার শীর্ষে ছিলেন স্বয়ং মহম্মদ আজাহারউদ্দিন। ১৯৯৬-৯৭ সিরিজে ৩৮৮ রান করেছিলেন তিনি।
Read full live article in ENGLISH