আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলা হচ্ছে। তাও আবার ধোনির নিজের শহরে। তবে তিন দিন ধরেই মাঠে হাতেগোনা দর্শক। রীতিমতো দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হচ্ছে দর্শকদের। ফাঁকা স্টেডিয়ামে টেস্ট জিতলেও কোহলি হতাশ দর্শকদের 'ব্যবহারে'। তাই তিনি সরাসরি বোর্ডকে বার্তা দিয়ে বলে দিলেন, গোটা দেশে পাঁচটার বেশি টেস্ট ভেন্যু থাকা উচিত নয়। ম্যাচের পরেই সরাসরি কোহলি জানিয়ে দিচ্ছেন, "বহুদিন ধরেই আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। আমার মতে, দেশে পাঁচটা টেস্ট কেন্দ্র থাকা উচিত।"
এরপরে কোহলির সংযোজন, "রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা, রোটেশন অনুযায়ী ম্যাচ বণ্টন- এসব থাকবে। তবে এগুলি কেবলমাত্র টি২০ এবং একদিনের ক্রিকেটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হওয়া উচিত। কিন্তু টেস্টে সীমিত সংখ্যক কেন্দ্র থাকা প্রয়োজন। এতে সফরকারী দলও প্রস্তুত থাকতে পারবে পাঁচ কেন্দ্রে খেলার জন্য়। আগে থেকেই সেই কেন্দ্রের পিচ নিয়ে মানসিকভাবে তৈরি থাকতে পারবে। টেস্টের মাঠে দর্শকসংখ্যা ভরানো একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
১৯৮০ সাল পর্যন্ত গোটা দেশে ছটা টেস্ট কেন্দ্র ছিল- মুম্বই, কলকাতা, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং কানপুর। পরে নব্বইয়ের দশকে মোহালিকে এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তবে শেষ ১০-১৫ বছরে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক এবং ভোটের স্বার্থে টেস্ট ম্যাচও রোটেশনের আওতায় ফেলা হতে থাকে।
তবে টেস্ট ক্রিকেট বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থেই কোহলি বলছেন, ভেন্যু কমিয়ে দিতে। কোহলি দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করার পরেই বলে দিচ্ছেন, "অ্য়াওয়ে সফরের সময়ে আমরাও আগে থেকে প্রস্তুত থাকতে পারি। নির্দিষ্ট ভেন্যুতেই টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করা হয় বিদেশে। পিচের বিষয়েও আমরা তৈরি থাকতে পারি। আমরা দর্শকভর্তি একটা স্টেডিয়ামে খেলতে চাই। যদি টেস্ট ক্রিকেটকে আরও চিত্তাকর্ষক করে তুলতে হয়, তাহলে খুব বেশি হলে পাঁচটি টেস্ট ভেন্যু যথেষ্ট।"
মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ের মতো ঐতিহ্যমণ্ডিত স্টেডিয়াম ২০১৬ সালের পর থেকে রোটেশন নীতিতে একটিও টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডে লর্ডস কিংবা এমসিজি, এসসিজি-তে এমনটা কল্পনাতেও আনা সম্ভব নয়। কোহলি সরাসরি বার্তা দিলেন বোর্ডকে। বোর্ড কী নিজস্ব নীতি বদলে সায় দেবে কোহলির বার্তায়, সময়ই বলবে।
Read the full article in ENGLISH