রাত পোহালেই বাইশ গজে ইতিহাস লিখতে চলেছে আফগানিস্তান। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তাদের টেস্ট অভিষেক হতে চলেছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের বিরুদ্ধে লাল বলের ক্রিকেটে পথচলা শুরু করবে প্রতিবেশী দেশ। টেস্ট শুরুর আগে ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক আফগানিস্তানের ক্রিকেটীয় উত্থানের ভূয়সী প্রশংসা করলেন। আবার একই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, এক ম্যাচের সিরিজে আফগানিস্তানের থেকে ভারত কেন এগিয়ে।
ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণে নিজেদের নাম খোদাই করার আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী শুনিয়েছে আফগান অধিনায়ক আসগর স্ট্যানিকজাইকে। তাঁর দাবি, ভারতের তুলনায় তাঁদের স্পিন আক্রমণ অনেক বেশি ধারাল। অভিজ্ঞতার পাল্লাতেই দু’টো দলকে তুলে স্ট্যানিকজাইয়ের মন্তব্য স্ট্রেট ব্যাটে মাঠের বাইরে পাঠালেন দীনেশ। তামিলনাড়ুর ক্রিকেটার বলেছেন, “ওদের সব স্পিনারের মিলিত অভিজ্ঞতাও আমাদের তরুণ স্পিনার কুলদীপ যাদবের (২৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ) থেকে কম। চারদিনের ক্রিকেটের কথাই ধরুন।”
আরও পড়ুন: India vs England: অ্যান্ডারসনই কাঁটা কোহলির, বলছেন ম্যাকগ্রা
স্ট্য়ানিকজাইয়ের নাম না-করেই দীনেশ জানিয়েছেন, “জানি না, কে এরকমটা বলেছে! কিন্তু একটা বিষয় বুঝতে হবে যে, দিনের শেষে অভিজ্ঞতা অনেক কথা বলে। টেস্ট ম্যাচ, ঘরোয়া ক্রিকেট বা চারদিনের ম্যাচের ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য। যেমনটা আইপিএলে সিএসকে-র ক্ষেত্রে। এই টেস্টের পর আফগানিস্তানের বোলাররা আরও ভাল বোলার হয়ে উঠবে। সাদা বলের ক্রিকেটে ওদের উন্নতি দেখার মতো। লাল বলেও ভাল না-করার কোনও কারণ নেই। তবে আমি বলব আমাদের স্পিনারদের অভিজ্ঞতা অনেকটাই বেশি।”
শত প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেভাবে ক্রিকেট মানচিত্রে আফগানিস্তান নিজেদের নাম করে নিয়েছে, তার রীতিমতো তারিফ করেছেন দীনেশ। বলেছেন, “ আফগানিস্তানের ক্রিকেট যাত্রাটা অসাধারণ। আইসিসি-ই আফাগানিস্তানকে টেস্ট খেলিয়ে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আলোয় আনল। অনেকেই জানত না যে, আফগানিস্তান ক্রিকেট খেলে। খুব কঠিন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে ও তুমুল অশান্তির পরিবেশ সত্ত্বেও ওরা ক্রিকেট খেলেছে। এখন ওদের পারফরম্যান্স বাকিদের অনুপ্রাণিত করছে। ওদেরকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। সামান্য পরিকাঠামো নিয়েই এতদূর এসেছে আফগানিস্তান। আমি আশা করি আগামী দু’বছরে ওরা আরও অনেক বেশি ক্রিকেট খেলবে। রশিদের নাম এখন ঘরে ঘরে। ওরা সিরিজও জিতছে।”
কার্তিক আরও বলেছেন, আফগানিস্তানকে দেখেই ভবিষ্য়তে আরও অনেক দল চ্যালেঞ্জ নিয়ে এই খেলাটায় এগিয়ে আসবে। আফগানিস্তানের ইতিহাসে লেখা থাকবে রশিদদের কাহিনি।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তান এই একটিমাত্র টেস্টই খেলবে ভারতে, জুন ১৪-২০ পর্যন্ত।
টিম ইন্ডিয়া: আজিঙ্ক্য রাহানে (c), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শিখর ধাওয়ান, রবীন্দ্র জাদেজা, দীনেশ কার্তিক (w), কুলদীপ যাদব, করুণ নায়ার, হার্দিক পান্ডিয়া, চেতেশ্বর পূজারা, লোকেশ রাহুল, নবদীপ সাইনি, ইশান্ত শর্মা, শার্দুল ঠাকুর, মুরলি বিজয়, উমেশ যাদব
টিম আফগানিস্তান: আসগার স্টানিকজাই (c), আফসার জাজাই, আমির হামজা, হাসমাতুল্লাহ শাহিদী, ইহ্সানুল্লাহ, জাভেদ আহমাদি, মোহাম্মদ নবি, মোহাম্মদ শাহ্জাদ (w), মুজিব উর রহমান, নাসির জামাল, রহমত শাহ, রশিদ খান, সৈয়দ শিরজাদ, ওয়াফাদার, য়ামিন আহমেদজাই, জাহির খান