শেষ চব্বিশ ঘণ্টায় ভারতীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে চর্চিত নাম একটাই। রাতারাতি লাইমলাইটে তামিলনাড়ুর বছর আঠাশের অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্কর। নাগপুরে ভারতকে রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচ জেতানোয় নিজের ছাপ রেখেছেন বিজয়। ব্যাট হাতে ৪১ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতেও কামাল দেখিয়েছেন তিনি। ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলিও এই জন্য তাঁর মানসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তবে এই মুহূর্তে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে ভাবতে চাইছেন না তিনি।
নাগপুরে ম্যাচের শেষ ওভারটা শঙ্করকে তুলে দিয়েছিলেন কোহলি। সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন শঙ্কর। অস্ট্রেলিয়ার এক ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১ রান। হাতে ছিল দু'উইকেট। বিজয় প্রথম বলেই মার্কাস স্টোইনিসকে এলবিডব্লিউ-তে আউট করার পর, দ্বিতীয় বলে দু'রান দেন। এরপর তৃতীয় বলে অ্যাডাম জাম্পার উইকেটটি ছিটকে দিয়ে ভারতকে ম্যাচটা উপহার দেন। ম্যাচের পর রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভার নিয়ে কথা বলেছিলেন বিজয়। বললেন," আমি চ্যালেঞ্জটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমি জানতাম ওই ওভারটায় আমায় বল করতে হবে। ৪৩-৪৪ ওভারের পরই জানতাম যে, আমাকে যে কোনও সময় বল করতে হতে পারে। ১০ থেকে ১৫ রান ডিফেন্ড করার মতো মানসিক প্রস্তুতি ছিল। ৪৮ ওভারের পর বুমরা আমাকে বলে যে, বল রিভার্স করছে। আমাকে সঠিক লেন্থে উইকেট-টু-উইকেট বলা করার পরামর্শই দিয়েছিল সে। আমি জানতাম সোজা বল করতে পারলেই উইকেট আসবে।"
আরও পড়ুন: টুইটার মজে জাদেজার থ্রোয়ে, কপিল-শচীনের এলিট ক্লাবে এলেন ‘স্যার’
অনেকে এখনই বলা শুরু করে দিয়েছেন যে, বিশ্বকাপে আম্বাতি রায়ডুর পরিবর্তে বিজয় শঙ্করকেই চার নম্বর জায়গায় ভাবা উচিত। হার্দিক পাণ্ডিয়া, কেদার যাদবের পর টিমে তৃতীয় অলরাউন্ডার হিসেবেই তাঁকে ধরছেন প্রাক্তনরা। বিশ্বকাপে ডাক পাওয়ার প্রসঙ্গে বিজয়ের মত, "আমি আগেও বলেছি যে, বিশ্বকাপে ডাক পাওয়া নিয়ে আমি কখনই ভাবি না। অনেক দূরের ভাবনা। আমার কাছে প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আমার সেরাটা দিয়েই দলকে জেতাতে চাই।"