ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন আম্পায়ার ব্রুস অক্সেনফোর্ড। প্যাট কামিন্সকে শর্ট বল করছিলেন শার্দুল ঠাকুর। এতেই আম্পায়ার সতর্ক করে ওয়াইড দেন শার্দুলের সেই ডেলিভারি। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অজি আম্পায়ারকে রীতিমতো তুলোধোনা করা হল।
আইসিসির অলিখিত নিয়মই হল পেসাররা প্রতিপক্ষ দলের টেলএন্ডার এবং পেসারদের বাউন্সার দেবে না। গ্রিনিচ হোক বা এমব্রজ প্রত্যেকেই এই নিয়ম মেনে এসেছেন শত প্রতিকূল অবস্থাতেও। তবে ইন্দো-অজি সিরিজে সেই নিয়ম মেনে খেলা হচ্ছে না অভিযোগ ভারতীয় দর্শকদেরই।
আরো পড়ুন: স্মিথকে ‘সবক’ শেখালেন রোহিত, ক্রিজে দাঁড় করিয়েই চলল শ্যাডো ব্যাটিং, ভিডিও দেখুন
অস্ট্রেলীয় ইনিংসের ৭৫তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরের মিলিটারি গতির মিডিয়াম পেসের বাউন্সার পেরিয়ে যাচ্ছিল প্যাট কামিন্সকে। সেই ওভারেই একটি এমন শর্ট বলকে 'ভয় দেখানো'র জন্য চিহ্নিত করে ওয়াইড ডাকেন অক্সেনফোর্ড। তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভারতীয়রা।
চলতি সিরিজে একাধিকবার অস্ট্রেলীয় পেসাররা অশ্বিন-শামিদের শর্ট বল করলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি। শামি ব্যাট করার সময় হাতে চোট পেয়েই চলতি সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। এমনকি, ব্রিসবেনে প্রথম ইনিংসেও নটরাজনকে বিষাক্ত বাউন্সার দেন স্টার্ক।
আম্পায়াররা অজি বোলারদের ক্ষেত্রে চোখ বুজে থাকলেও, ভারতীয় বোলারদের কেন সতর্ক করছেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে ক্রিকেট মহল। অনেকের বক্তব্য, প্যাট কামিন্স রীতিমত অলরাউন্ডার। তাঁকে বাউন্সার দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কেন জারি করা হচ্ছে!
যাইহোক, ব্যাট হাতে সফল হওয়ার পর শার্দুল বল হাতেও ভেলকি দেখান। অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৪ তুলল। ভারতের সামনে জয়ের জন্য টার্গেট ৩২৭ রানের। আর অজিদের ৩০০ রানের কমে আউট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন শার্দুল। ৪ উইকেট দখল করেন তিনি। অন্যদিকে, মহম্মদ সিরাজ নেন ৫ উইকেট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন