এডিলেডে প্রথম টেস্টেই বল হাতে মাঠ শাসন করলেন অস্ট্রেলীয় বোলাররা। স্টার্ক, হ্যাজেলউড, কামিন্স এবং নবাগত ক্যামেরন গ্রিনের পেস ভারতীয়দের রান তোলা কঠিন করে দিচ্ছিল প্রতি মুহূর্তে। স্পিনে দোসর হয়েছিলেন নাথান লিয়ন। গোটা বোলিং আক্রমণেরই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মিচেল স্টার্ক।
'বোলিং ক্যাপ্টেন' স্টার্কের বাউন্সারেই এবার কোহলি রক্তাক্ত হলেন। হাত থেকে চুঁইয়ে বেরোল রক্তের ফোঁটা। কোহলি বনাম স্টার্কের ডুয়েল দেখতে মুখিয়ে ছিল ক্রিকেট জনতা। তবে এভাবে যে টিম ইন্ডিয়া ক্যাপ্টেনকে রক্তাক্ত হতে হবে ভাবা যায়নি।
আরো পড়ুন: পূজারাকে বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ ওয়ার্নের, ম্যাচের প্রথম দিনেই হওয়া গরম ধারাভাষ্যে
৪৩ তম ওভারের ঘটনা। তিন উইকেট হারানোর পর কোহলি তখন ভারতীয় ইনিংসকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করে চলেছেন রাহানেকে সঙ্গে নিয়ে। সেই সময়েই ঘটনার সূত্রপাত।
স্টার্কের প্রায় দেড়শো কিমির এক শর্ট বল আছড়ে পড়ে কোহলির ডান হাতে। তারপরেই ব্যাটের হাতল ছেড়ে যন্ত্রণায় লাফিয়ে ওঠেন তিনি। শর্ট বল মোকাবিলা করতে লাফিয়ে উঠে তা প্রতিহত করতেও চেয়েছিলেন। তবে তা হাতে আঘাত করে। সৌভাগ্যক্রমে টপএজে লেগে বল শর্ট মিড উইকেটে দাঁড়ানো ফিল্ডারের অনেকটা দূরেই পড়ে। এদিকে কোহলির গ্লাভস খুলতেই দেখা যায় বুড়ো আঙুল থেকে চুঁইয়ে পড়ছে রক্ত। সঙ্গে সঙ্গে খেলা থামিয়ে ফিজিওকে ডাকা হয়। সাময়িক পরিচর্যার পরে পুনরায় ব্যাট হাতে স্টান্স নিয়ে দাঁড়ান তিনি।
এদিন টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং নেয় ভারত। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই স্টার্কের ইনসুইঙ্গারে বোল্ড হয়ে যান পৃথ্বী শ। তারপর আউট হয়ে যান মায়াঙ্ক আগারওয়াল (১৭), চেতেশ্বর পূজারাও (৪৩)। চতুর্থ উইকেটে রাহানের সঙ্গে ৫৮ রান যোগ করে এখনও দলের ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করছেন কোহলি। হাফসেঞ্চুরি করে তিনি অপরাজিত রয়েছেন ৬৬ রানে। অন্যপ্রান্তে রাহানে ২২ রানে ব্যাট করছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারত ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ তুলেছে।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন