রাজকোটে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে ভারত খেলতে নামছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। সেখানে টিম ইন্ডিয়ার লক্ষ্য একটাই, জয়! রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের দুর্বলতা প্রকট হয়ে গিয়েছে প্রথম ম্যাচেই। তবে সেই দুর্বলতা কাটিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ের খোঁজে নামছে ভারতের তরুণ ব্রিগেড। অন্যদিকে, বাংলাদেশ বাকি দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেই সিরিজ জয় পূর্ণ করে ফেলবে।
বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে ভারতীয় দল রাজধানীতে শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়েছে বাংলাদেশের কাছে। শাকিব উল হাসান, তামিম ইকবালের মতো প্রথম সারির ক্রিকেটাররা না থাকলেও বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছেন অন্য এক সিনিয়র মুশফিকুর রহিম। ব্যাট করতে নেমে কোনও ভারতীয়ই দ্রুত রান তুলতে সক্ষম হননি।
কোনও রকমে স্কোরবোর্ডে ১৪৮ তুলতে সমর্থ হয়েছিল ভারত। সেই রান তাড়া করতে নেমে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে রূদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেন বাংলাদেশ। মুশফিকুর কঠিন সময়ে ব্যাট করতে নেমে দায়িত্ব নিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। তাঁর ৪৩ বলে ৬০ রানের ইনিংস বাংলাদেশের জয় ত্বরান্বিত করে।
ভারত সফরে আসার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল। ১৩ দফা দাবিতে বোর্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। সেই বিদ্রোহ মিটতে না মিটতেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরও বড় ধাক্কা নেমে এসেছিল। গড়াপেটার জন্য ঠিক সময়ে আইসিসিকে অবহিত না করার ফলেই দু-বছরের নির্বাসনে পাঠানো হয় দলের একনম্বর তারকা শাকিব উল হাসানকে। পাশাপাশি আসন্ন প্রসবা স্ত্রীর কাছে থাকার জন্য ভারত সফর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তামিম ইকবালও।
দুই সিনিয়র ক্রিকেটারকে ছাড়াই বাংলাদেশিদের প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স চমকে দিয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। যাইহোক, রোহিত শর্মা আগেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন, প্রথম ম্যাচে নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। প্রথমত, ব্য়াটিং ভরাডুবি। দ্বিতীয়ত, বল করার সময় সঠিক ডিআরএস নিতে পারার অক্ষমতাতেই ভারত হেরে গিয়েছে। রাজকোটে অবশ্য রোহিত-ধাওয়ানের ব্যাটে ভারত দারুণ শুরু করার স্বপ্ন দেখছে।
পাশাপাশি, ভারতীয় স্পিনার ও পেসারদেরও নিজেদের মেলে ধরতে হবে। ভারতীয় বোলিং বিভাগের অনভিজ্ঞতা ক্যাপ্টেন রোহিতের মাথা ব্যথার বড় কারণ। পেসার খলিল আহমেদ ৪ ওভারে ৩৭ রান খরচ করেছিলেন। তাছাড়া ১৯তম ওভারে খলিল আহমেদের বলেই চারটে বাউন্ডারি হাকিয়েছিলেন মুশফিকুর। খলিলের পরিবর্তে দ্বিতীয় টি২০তে প্রথম একাদশে দেখা যেতে পারে শার্দুল ঠাকুরকে। ওয়াশিংটন সুন্দর, যুজবেন্দ্র চাহাল এবং ক্রুনাল পাণ্ডিয়াও বিপক্ষ ব্য়াটিংয়ের আগ্রাসনকে থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
Read the full article in ENGLISH