ইংল্যান্ড: ২৫৯/১০
ভারত: ২৬০/৫
সতেরো বছর আগের প্রেক্ষাপট আলাদা ছিল। তুলনায় কোনওভাবেই হয়ত আসে না সেই ঐতিহাসিক জয়। তবে রবিবার ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে যেন ফিরে এল বিলেতের মাটিতে গর্বের ন্যাটওয়েস্ট জয়ের স্মৃতি। সেবার সওয়া তিনশো রান তাড়া করে লর্ডসের মাটিতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। রবিবার ভারত আড়াইশোর ওপর টার্গেট চেজ করল কঠিন পরিস্থিতি থেকে।
কাইফ-যুবরাজের স্মৃতি নিয়ে যেন ম্যাঞ্চেস্টারে আবির্ভাব ঘটেছিল ঋষভ পন্থ-হার্দিক পান্ডিয়ার। ঋষভ নাকি ওয়ানডে, টি২০-তে ইদানিং সফল নন। টেস্টেই যা একটু মারকাটারি ব্যাটিং করেন, এই যা! এই ধারণাকেই টেমসের জলে ভাসিয়ে দেশে ফিরছেন পন্থ।
আরও পড়ুন: বিশ্রামের অজুহাতে কী কোহলিকে ছাঁটাই ক্যারিবীয় সিরিজে! বোর্ডের পরিকল্পনা সামনে চলে এল
পন্থ যখন ক্রিজে নেমেছিলেন তখন ইতিমধ্যেই ভারত ২১/২ হয়ে ধুঁকছিল। কিছুক্ষণ পরে কোহলির প্রস্থানের পরে ৩৮/৩ হয়ে ফের একবার ব্যাটিং বিপর্যয়ের রক্তাক্ত স্মৃতি ধাওয়া করছিল টিম ইন্ডিয়াকে। সেই অবস্থা থেকেই ভারতের জয় এল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে। ৪৭ বল বাকি থাকতে। টি২০-র পর ওয়ানডে সিরিজের দখল নিয়েই ইংল্যান্ড ছাড়ছেন রোহিতের মেন ইন ব্লু-রা।
রিস টপলি দ্বিতীয় ম্যাচের মতই ভারতের টপ অর্ডার ভেঙে ছারখার কর দিতে শুরু করেছেন। কোহলির পরে সাজঘরে ফেরেন ফর্মে থাকা সূর্যকুমার যাদবও। পন্থের সঙ্গে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মুম্বই তারকা।
টপ অর্ডারের অর্ধেক ব্যাটসম্যান যখন প্যাভিলিয়নে তখনই ইতিহাস গড়া পার্টনারশিপ এল পন্থ-হার্দিকের ব্যাটে ভর করে। দুজনে পঞ্চম উইকেটে তুললেন ১৩৩ রানের ম্যামথ পার্টনারশিপ। এই জুটিতেই নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের জয়। কেরিয়ারের প্ৰথম ওয়ানডে শতরান করতে পন্থ প্রবল চাপের সময়ে খেলতে নেমে নিলেন মাত্র ১০৬ বল।
আর শতরান পূর্ণ করার পরে যেন আরও মারকুটে মেজাজে ধরা দিলেন তারকা। ৪২ তম ওভারের প্ৰথম পাঁচ বলেই ডেভিড উইলিকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ একদম এলেবেলে করে দেন। হার্দিক পান্ডিয়া ৫৫ বলে ৭১ করে আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত টিকে ম্যাচ ফিনিশ করে ফিরলেন পন্থ। ১১৩ বলে ১২৫ রানের ইনিংসে পন্থ ১৬টা বাউন্ডারি হাঁকালেন। ওভার বাউন্ডারি মারলেন ২টে।
আরও পড়ুন: কোহলিকে কি সত্যি বাদ দেওয়া হবে টিম ইন্ডিয়া থেকে! মুখ খুলে নিজের মত জানালেন সৌরভও
তার আগে প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ভারতের সামনে আড়াইশোর বেশি টার্গেট রেখেছিল জেসন রয় (৪১) এবং জস বাটলারের (৬০) ব্যাটে ভর করে।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সিরাজ রুট, বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে দিয়ে বড়সড় আঘাত হেনেছিলেন। তারপরে বাটলার-জেসন রয়ের সঙ্গেই ইংল্যান্ডের ইনিংস গড়ার কাজে সহায়তা করেন বেন স্টোকস (২৭), মঈন আলি (৩৪), লিয়াম লিভিংস্টোন (২৭), ক্রেগ ওভার্টনরা (৩২)।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে নজরকাড়া পারফর্মার হার্দিক পান্ডিয়া। ৭ ওভারে মাত্র ২৪ রান খরচ করে হার্দিকের শিকার চার-চারজন ইংরেজ ব্যাটসম্যান। জুজবেন্দ্র চাহালও নেন তিন উইকেট।