এডিলেডে ৩৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ভারত। বছর পেরোনোর আগেই সেই তিক্ত স্মৃতি ফের একবার ধাওয়া করলে ভারতকে। ইংল্যান্ড সফরেই যে এমন কেলেঙ্কারি অপেক্ষা করে রয়েছে, তা ভাবা যায়নি। লিডসে ভারত প্ৰথম ইনিংসে অলআউট ৭৮ রানে। তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। লর্ডসে ঐতিহাসিক জয়ের পরে লজ্জাজনক কীর্তি ভারতের ব্যাটিংয়ের।
ভারতের কুখ্যাত মিডল অর্ডার লিডসে ফের একবার ভিলেন। পূজারা, কোহলি, রাহানে ধারাবাহিকভাবে টানা ব্যর্থ। বারবারই মিডল অর্ডারে বদল আনার কথা বলা হয়েছে। যদিও কোহলি সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন। লিডসেও সেই একই কাণ্ড। প্ৰথম দুই টেস্টেই ভারতের ইনিংসের গোড়াপত্তন দারুণ করে দিয়েছিলেন রোহিত-রাহুল জুটি। তবে লিডসে রাহুল সাততাড়াতাড়ি ফেরত যাওয়ার পরেই পূজারা (১) যথারীতি ব্যর্থ। এরপরে যাবতীয় চাপ এসে পরে মিডল অর্ডারে।
আগের ম্যাচে বুমরাদের কাছে 'অপমানিত' হওয়ার পরে যেন জবাব দিতেই নেমেছিলেন আন্ডারসন। লিডসে টসে জিতে ভারত ব্যাটিং নিয়েছিল। তবে হেডিংলে যে আন্ডারসনের জবাব দেওয়ার মঞ্চ হয়ে থাকবে কে ভেবেছিল!
লাঞ্চের আগেই ভারত রাহানের উইকেট হারিয়ে ৫৬/৪ ধুঁকছিল। লাঞ্চের আগে এবং পরে রাহানে এবং পন্থকে ফিরিয়ে ভারতের প্রত্যাবর্তনের যাবতীয় রাস্তা বন্ধ করে দেন রবিনসন। মার্ক উড চোটে ছিটকে যাওয়ায় ইংল্যান্ডের হয়ে নেমেছিলেন ক্রেগ ওভারটন। ভারতের লোয়ার অর্ডারে ধস নামিয়ে তাঁর নামের পাশে তিন উইকেট। স্যাম কুরানও বুমরা এবং জাদেজাকে ফেরত পাঠান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষে ইংল্যান্ড ১২০/০। রোরি বার্নস (৫২) এবং হাসিব হামিদকে (৬০) সিরাজ-শামিরা কোনও বিপদে ফেলতে পারেননি। ইংল্যান্ড প্ৰথম দিনের শেষেই ৪২ রানের লিড নিয়েছে। হাতে এখনও ১০ উইকেট।