ভারত: ৩২৯/১০ (৪৮.২ ওভার)
৮ ওভারের মধ্যেই ফিফটি। ১৪ ওভারে সেঞ্চুরি। রোহিত-শিখর শুরুতেই সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে দলকে দারুণ মঞ্চ গড়ে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে ভারত পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারল না। অলআউট হয়ে গেল স্কোরবোর্ডে ৩২৯ তুলে। সিরিজ জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে টিম ইন্ডিয়া টার্গেট রাখল ৩৩০ রানের।
টসে হেরে ভারত এদিন আবার প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমেছিল। আর শুরুতেই ধাওয়ান (৬৭)-রোহিত (৩৭) দুরন্ত সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। যে গতিতে রান তোলা শুরু করেছিলেন দুই তারকা ওপেনার, তাতে ৪০০ রানেরও স্বপ্ন দেখা শুরু করে দল। তবে আচমকাই ছন্দপতন। মাত্র ২ ওভারের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে জোরালো ধাক্কা দেন আদিল রশিদ।
আরো পড়ুন: গিলক্রিস্ট-ধোনিকেও পেরিয়ে যাবেন পন্থ! ঋষভের আগ্রাসনে মুগ্ধ কিংবদন্তি
১০৩/০ থেকে এরপরেই ভারত স্কোরবোর্ডে ৫৭ রান যোগ করার ফাঁকেই হারায় ৪ উইকেট। দুই ওপেনার রশিদের শিকার হওয়ার পরে ক্যাপ্টেন কোহলিকে (৭) বোল্ড করে দেন মঈন আলি। এর কিছুক্ষণ পরেই লেগ স্টাম্পের ফুলটস বল হাঁকাতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েন কেএল রাহুল (৭)।
বিপদের মুহূর্তে ভারত এরপরেই ম্যাচে ফেরে হার্দিক পান্ডিয়া (৪৪ বলে ৬৪) এবং ঋষভ পন্থের (৬২ বলে ৭৮) পার্টনারশিপে। দুজনে স্কোরবোর্ডে যোগ করে যান ৯৯ রান। দুজনেই বিশাল রান গড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তবে স্যাম কুরানের ওভারপিচড বলে জস বাটলারের ক্যাচে পন্থ ফেরার পরেই একপ্রস্থ ধস নামে শেষ দিকে।
কিছুক্ষণ পরেই হার্দিক বেন স্টোকসের বলে বোল্ড হয়ে যান। এরপর ক্রুনাল (২৫) এবং শার্দুল ঠাকুরের (৩০) ব্যাটে ভারতের ৩০০ পেরোনো নিশ্চিত হয়।
ইংল্যান্ডের হয়ে এদিন ৭ জন বোলারকে ব্যবহার করেন অধিনায়ক বাটলার। প্রত্যেকেই উইকেট পেয়েছেন। মার্ক উড এবং আদিল রশিদ দুজনে যথাক্রমে ৩ ও ২ উইকেট নেন। বাকিদের সংগ্রহে ১ টি করে উইকেট।
ভারতীয় প্রথম একাদশ:
রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থ, কেএল রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার, শার্দুল ঠাকুর, টি নটরাজন, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ
ইংল্যান্ড প্রথম একাদশ:
জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, বেন স্টোকস, ডেভিড মালান, জস বাটলার, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলি, স্যাম কুরান, রিস টপলে, আদিল রশিদ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন