মোতেরা স্টেডিয়ামে নাম বদলে দিন রাতের টেস্টের আগেই করে দেওয়া হয়েছিল নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। তারপরেই চূড়ান্ত সমালোচনা শুরু হয়েছিল নাম বদল ঘিরে। তারপরেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, স্টেডিয়ামের নাম কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে। পুরো স্পোর্টস কমপ্লেক্স এখনো সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়াম।
Advertisment
ম্যাচ শুরুর আগেই এদিন বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তখনই জানিয়ে দেওয়া হয় বৃহত্তম এই স্টেডিয়াম এবার নামকরণ করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে। তারপরেই একসঙ্গে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলের বেশ কিছু নেতা একযোগে এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হন। বলে দেওয়া হয়, এমন সিদ্ধান্ত সর্দার প্যাটেলের প্রতি অপমান।
এমন অভিযোগের পরেই মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, শুধুমাত্র স্টেডিয়ামের নামই প্রধানমন্ত্রীর নামে। গোটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নাম সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নামেই থাকছে।
কংগ্রেস নেতাদের একহাত নিয়েছেন প্রকাশ জাভরেকরের সঙ্গে এদিন মোতেরা স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকা রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি সাফ জানান, "যে পর্যটকস্থল গোটা বিশ্বের সম্ভ্রম আদায় করে নিয়েছে, সেই জায়গা এখনো ঘুরতে যাননি অথবা প্রশংসাও করেননি দুই কংগ্রেস নেতা। আর কী-ই বা বলার আছে!"
এদিন স্টেডিয়ামের নাম বদলের পর কংগ্রেস নেতা রাজীব সতোভ বলেন, "মোতেরা স্টেডিয়াম সর্দার প্যাটেল থেকে নরেন্দ্র মোদির নামে পরিবর্তন করা একদম লজ্জার ব্যাপার। এতে ক্ষোভ হওয়া স্বাভাবিক। স্বৈরাচারী শাসনের পরিষ্কার দৃষ্টান্ত এই ঘটনা।"
শশী থারুরও সমালোচনায় সরব হন। প্রিয়াঙ্কা ভডরা গান্ধী আবার সরাসরি কোনো নাম না নিয়ে বল্লভভাই প্যাটেলের একটি লাইন লেখেন, "এই মাটিতে বিশেষ কিছু বিষয় রয়েছে। যা অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অনেক মহান ব্যক্তিদের বাসস্থান।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন