নিজের আবেগ কখনও বেহিসেবি ব্যয় করেন না। আবেগ সংযত রেখে চলেছেন গোটা ক্রিকেট কেরিয়ার জুড়েই। উচ্ছ্বাসের আতিশয্যে কখনও ভাসেননি তিনি। তবে রাহুল দ্রাবিড় শুক্রবার আর স্থির থাকতে পারলেন না। বন্ধু-সতীর্থ সৌরভের মতই আবেগের লাভাস্রোতে ভেসে গেলেন। শিষ্য পন্থ এজবাস্টনে যখন ঝড় তুলেছেন, সেই সময়ে উত্তেজনায় নিজের চেয়ার থেকে উঠে সেলিব্রেশনে মাতলেন গুরু দ্রাবিড়। পন্থ দ্বিতীয় রান পূর্ণ করে নিজের শতরান ছুঁয়ে ফেলেন। তারপরই উঠে দাঁড়িয়ে দুই হাত ওপরে তুলে হাততালি দিয়ে পন্থের কীর্তিকে কুর্নিশ জানালেন দ্রাবিড়।
কঠিন পরিস্থিতিতে কাউন্টার এটাকিং স্টাইলে ফের একবার টিম ইন্ডিয়ার ত্রাতা হলেন ঋষভ পন্থ। জসপ্রীত বুমরার নেতৃত্বের অভিষেকে ভারত ৭৪/৪ হয়ে ধুঁকছিল। শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে পন্থ ২৭ রান যোগ করেন। শ্রেয়স আইয়ার আউট হয়ে যান ১১ বলে ১৫ করে।
আরও পড়ুন: পন্থের ব্যাটে তছনছ রেকর্ড বই! একের পর এক কীর্তির সিংহাসনে সুপারস্টার
শ্রেয়স আউট হওয়ার পরে ক্রিজে পন্থের সঙ্গী হন জাদেজা। তারকা অলরাউন্ডার ধীরে ধীরে নিজের ইনিংস গড়ার কাজ শুরু করলেও পন্থ অবশ্য টি২০-র মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। ১৩০ স্ট্রাইক রেটে ওড়াতে থাকেন একের পর এক ইংরেজ বোলারকে।
জাদেজা-পন্থ ষষ্ঠ উইকেটে ২২২ রান যোগ করে ভারতকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন। একদম শেষবেলায় পন্থ ১১১ বলে ১৪৬ করে ফেরেন জ্যাক ক্রলির বলে। নিজের ইনিংসে তারকা হাঁকিয়েছেন ১৯ বাউন্ডারি, চারটে ওভার বাউন্ডারিও। জাদেজাও হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে শতরানের দিকে এগোচ্ছেন।
জসপ্রীত বুমরার ক্যাপ্টেনশিপের অভিষেকে টসে জিতেছিলেন বেন স্টোকস। ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান তিনি। বৃষ্টি ম্যাচে থাবা বসানোর আগেই ভারত জোড়া দুই ওপেনার চেতেশ্বর পূজারা এবং শুভমান গিলকে হারিয়ে ফেলেছিল। জেমস আন্ডারসনের দুর্ধর্ষ স্পেলে বিপদে পড়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
দু-ঘন্টা পরে ম্যাচ শুরু হলে নবাগত ইংরেজ সিমার ম্যাথু পটস ফিরিয়ে দেন হনুমা বিহারি এবং বিরাট কোহলিকে। এরপরে আন্ডারসন শ্রেয়স আইয়ারকে আউট করে দেওয়ার পরে ভারত ৯৮/৫-এ ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যায়।
তারপরেই জাদেজা-পন্থের মহাকাব্যিক পার্টনারশিপ। যে জুটিতে ভর করে ভারত রীতিমত চালকের আসনে।