ঋষভ পন্থের আউটের নেপথ্যে কি আম্পায়ার? এমনই ইঙ্গিত দিলেন স্বয়ং তারকা। ম্যাচের পরেই ঋষভ পন্থ জানিয়ে দিলেন, আম্পায়ারের কথা মেনেই নিজের স্ট্যান্স বদল করেছিলেন তিনি। অতিরিক্ত সুইং এড়ানোর জন্য পন্থ ক্রিজের নির্ধারিত লাইনের বাইরে স্ট্যান্স নিচ্ছিলেন। তবে এতে ক্রিজে ফুটমার্কস তৈরি হচ্ছিল। তারপরেই আম্পায়ার স্ট্যান্স বদলাতে বলেন পন্থকে।
লিডসে প্ৰথম দিনে ভারত ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ভরাডুবির মুখে পড়ে। ইংরেজদের দুরন্ত সুইংয়ের কাছে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে বসে ভারত। দিনের শেষে পন্থ সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দেন, "ক্রিজের বাইরে যেহেতু আমি ব্যাট করছিলাম। এতে আমার ফ্রন্টফুট বারবার ডেঞ্জার জোনে চলে আসছিল। আম্পায়ার তখন আমাকে নির্দেশ দেন, এভাবে ব্যাটিং করা যাবে না।"
আরও পড়ুন: মাঠেই আক্রান্ত সিরাজ! অভব্য দর্শকদের নিয়ে ক্ষোভের অগ্নুৎপাত কোহলির, দেখুন গনগনে ভিডিও
এরপরেই নিজের স্ট্যান্স বলদ করে নেন পন্থ। "ক্রিকেটার হিসাবে এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি না। কারণ প্রায় সব ব্যাটসম্যানই এমনটা করে থাকেন। আম্পায়াররাও এমনটা বলে থাকেন। পরের বলেই সেই নির্দেশ আমরা ভুলে যাই।" বলছিলেন পন্থ।
টসে জিতে কোহলির শুরুতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সমালোচিত। তবে পন্থ ক্যাপ্টেনের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। জানিয়েছেন, "দল হিসেবে আমাদের দলগত সিদ্ধান্ত ছিল টসে জিতলে ব্যাটিং নেওয়া হবে। তবে আমাদের আরও বেশি প্রয়োগ ক্ষমতা দেখানো উচিত ছিল। টসের বিষয়ে খুব বেশি ভাবনা আমাদের আসেনি।"
আরও পড়ুন: আউট হতেই কোহলিকে মাঠে ‘দুয়ো’ ইংরেজদের! চরম অপমানিত ক্যাপ্টেন, দেখুন ভিডিও
বেনজির ব্যাটিং ব্যর্থতায় মুখ খুলে তারকা উইকেটকিপার বলেছেন, "সকালের দিকে পিচ নরম ছিল। তবে ইংল্যান্ডের সিমাররা ভালো লেংথে বোলিং করে গিয়েছে। আমাদের আরও ভালোভাবে প্রয়োগ করা উচিত ছিল। ক্রিকেটার হিসাবে এসব ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে এগোতে হবে। প্রত্যেক ম্যাচেই দলের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সেরাটা দেন। এক-আধটা দিনে এমনটা হতেই পারে।"
প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত মাত্র ৭৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পরে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড দিনের শেষে তুলে ফেলেছিল ১২০/০। দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের বিরতির পর শেষ আপডেট অনুযায়ী ইংল্যান্ড ২৭৯/২। রোরি বার্নস (৬১) হাসিব হামিদ (৬৮) দুই ওপেনারকে ফেরান শামি এবং জাদেজা। হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ক্রিজে তারপরে ব্যাটিং করে চলেছেন জো রুট এবং দাভিদ মালান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন