বোর্ড সভাপতি সৌরভের কাছে এবার আবদারই করে বসলেন স্বয়ং সুনীল গাভাসকার। কলকাতার মিষ্টির প্রতি নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করে সানি জানালেন, কলকাতায় গেলেই মিষ্টি দই তাঁর মাস্ট! গাভাসকার আরও জানালেন, কলকাতায় যতবারই তিনি ক্রিকেটার হিসেবে গিয়েছেন, সৌরভের বাবা চন্ডীদাস গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর জন্য মিষ্টি দইয়ের ভাঁড় নিয়ে হাজির থাকতেন।
চলতি ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট চলাকালীন সোনি স্পোর্টসের এক ক্রিকেট শো-য়ে হাজির হয়েছেন গাভাসকার। সেই শো-য়েই তিনি গল্পছলে জানিয়েছেন, "কলকাতায় গেলেই মিষ্টি দই খেতাম। আমি যখন ভারতের ক্যাপ্টেন ছিলাম সেই সময় সৌরভের পিতা চণ্ডীদাস গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন সিএবি সচিব। তিনি এয়ারপোর্টে আমাকে রিসিভ করতে হাজির থাকতেন। তারপর উনি আমার জন্য বড় মিষ্টি দইয়ের ভাঁড় হোটেলের রেফ্রিজারেটরে রেখে দিতেন। সেই সময় প্রত্যেক টেস্টের জন্য এক-একটা ভেন্যুতে ৮ দিন করে আমাদের থাকতে হত। সেই সময় উনি আমার জন্য মিষ্টি দইয়ের সঙ্গে রসগোল্লায় পাঠিয়ে দিতেন।"
আরও পড়ুন: সোনার নীরজের জন্য বিরাট ঘোষণা সৌরভদের! কোটি কোটিতে ভাসবেন অলিম্পিক তারকারা
সৌরভের বাবা-র তাঁর প্রতি যত্নবান হলেও গাভাসকারের হালকা ছলে অনুযোগ সৌরভ কিন্তু সেরকমভাবে তাঁকে আতিথেয়তা জানান না! মজা করেই গাভাসকারের বক্তব্য, সৌরভ তাঁর জন্য মোটেই মিষ্টি দইয়ের ভাঁড় আনেন না। এরপরে গাভাসকারের বক্তব্যের রেশ ধরেই শেওয়াগ মহারাজকে অনুরোধ করেন, পরের বার গাভাসকার এবং তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে যেন মিষ্টি নিয়ে হাজির থাকেন তিনি।
গাভাসকারের অনুযোগ, "আমার অভিযোগ একটাই। সেই সময় সিএবি সচিব সবসময় আমাকে মিষ্টি দইয়ের বড় প্যাকেট দিতেন। তবে বর্তমান বোর্ড সভাপতি এখনও পর্যন্ত আমাকে কিছুই দেননি।"
যাইহোক, লিটল মাস্টার-কে শনিবার অন্য মেজাজে দেখা গিয়েছিল। টোকিওয় নীরজ চোপড়া ইতিহাস গড়ে প্ৰথমবার সোনা জেতার পরে গাভাসকার উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেন। "মেরে দেশ কি ধরতি!" গেয়ে ঐতিহাসিক জয় সেলিব্রেট করেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন