ভুল ব্যক্তিকে কি দেওয়া হল ম্যাচ সেরা এবং সিরিজ সেরার ট্রফি? এমন প্রশ্নই তুলে দিলেন বিরাট কোহলি। রবিবার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পরেই সিরিজ সেরার পুরস্কার তুলে দেওয়া হল জনি বেয়ারস্টোর হাতে। যিনি প্রথম ম্যাচে ৯৩ করার পর দ্বিতীয় ওডিআইয়ে ১২৪ করেন। শেষ ম্যাচের সেরা বাছা হল স্যাম কুরানকে। যিনি অবিশ্বাস্যভাবে একাই ভারতকে প্রায় হারিয়ে দিয়েছিলেন ৮৩ বলে ৯৫ রান করে।
তবে পুরস্কার বাছাইয়ে সন্তুষ্ট নন স্বয়ং কোহলি। তিনি ম্যাচের পরেই জানিয়ে দেন, "শার্দুলকে ম্যাচের সেরা করা হল না দেখে আমি অবাক। চার উইকেট নেওয়ার পর ৩০০ প্লাস স্কোরিংয়ের ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩০ করল ও। ভুবি-ও সিরিজ সেরা হওয়ার অন্যতম দাবিদার। মিডল ওভার আর পাওয়ার প্লে-তে ওরাই তো ফারাক গড়ে দিল।"
আরো পড়ুন: শার্দুলের ব্যাট ‘নিয়ে নিলেন’ স্টোকস! লজ্জার মুহূর্তে সম্মান জিতলেন তারকা, রইল ভিডিও
রোমাঞ্চকর ম্যাচে রান তাড়া করার সময় ইংল্যান্ড শার্দুল ঠাকুর এবং ভুবনেশ্বর কুমারের বলেই হোঁচট খেতে থাকে। শার্দুল ৬৭ রান খরচ করলেও তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ ৪-টে উইকেট। ম্যাচের মোক্ষম সময়ে। তার আগে ব্যাট হাতে ২১ বলে ৩০ করে দলকে ৩০০ পেরোতে সাহায্য করেছিলেন। অন্যদিকে, চোট সারিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজেই খেলতে নেমেছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। হাই স্কোরিং সিরিজে ৬ উইকেট দখল করার পাশাপাশি তারকা বোলারের ইকোনমি রেট ৫-এরও কম। এই দুই তারকাকে পুরস্কার না দেওয়ায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ দলনেতা কোহলি।
কোহলি অবশ্য দলের ব্যাটিং গভীরতার প্রশংসা করেছেন, "প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া নজর কেড়েছে। তবে সবথেকে পজিটিভ বিষয় হল দলের ব্যাটিং গভীরতা। দলের টপ থ্রি যদি সেঞ্চুরি করে দলের স্কোর ৩৭০-৩৮০ পৌঁছে যাবে।"
কুরান কার্যত অসাধ্য সাধন করে বসেছিলেন। দলের একাধিক ক্রিকেটার ক্যাচ মিসও করেন। সেই বিষয়ে কোহলি জানান, "বিশ্বের সেরা দুই দল যখন লড়াই করে তখন চিত্তাকর্ষক মুহূর্ত দেখা যাবেই। আমরা শুরু থেকেই জানতাম ইংল্যান্ড কোনোভাবেই এই রান তাড়া করার সময় হাল ছাড়বে না। স্যাম কুরান অসাধারণ খেলে ওদের ম্যাচে রাখল। অন্যদিকে আমরাও নিয়মিত উইকেট তুলে চাপ বজায় রেখেছিলাম। শেষের দিকে হার্দিক আর নটরাজন দারুণ ফিনিশ করল। আর মাঠে যে ক্যাচ ফেলে তাঁর কাছে এর থেকে বড় হতাশার আর কিছুই হয় না। প্রত্যেকেই ফিল্ডিংয়ে নিজের সেরাটা দিতে চান। আমাদের শরীরী ভাষায় সদিচ্ছার কোনো খামতি ছিল না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন