ক্যাপ্টেন কোহলির বক্তব্য ব্যাটসম্যানদের স্কিল পিচের থেকেও বেশি প্রয়োগক্ষমতা দাবি করে। সিমিং পিচে খেলতে ভারত যে কখনো আপত্তি করে না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
ক্যাপ্টেন কোহলির বক্তব্য ব্যাটসম্যানদের স্কিল পিচের থেকেও বেশি প্রয়োগক্ষমতা দাবি করে। সিমিং পিচে খেলতে ভারত যে কখনো আপত্তি করে না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
দিন রাতের টেস্ট নিয়ে উৎসাহ ছিল সর্বত্র। তবে কার্যত দেড় দিনে ম্যাচের ফয়সালা করে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে ভারত। চতুর্থ টেস্টে আহমেদাবাদের পিচ কেমন ব্যবহার করে, তা নিয়ে কৌতূহল সর্বত্র।
Advertisment
এমন অবস্থাতেই সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্ফোরণ ঘটালেন বিরাট কোহলি। সরাসরি বলে দিলেন, "পিচ নিয়ে বড্ড বেশি কথা হচ্ছে।" ক্যাপ্টেন কোহলির বক্তব্য ব্যাটসম্যানদের স্কিল পিচের থেকেও বেশি প্রয়োগক্ষমতা দাবি করে। সিমিং পিচে খেলতে ভারত যে কখনো আপত্তি করে না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি, "দল হিসেবে আমাদের সাফল্যের অন্যতম কারণ হল যে কোনো পিচে খেলার আগে আমরা অজুহাত দিই না। সবসময়ই আমরা উন্নতি করার পথে হেঁটেছি। মিডিয়া যদি স্পিন ট্র্যাকের সঙ্গেই সিমিং পিচের সমালোচনা করে, তাহলে তা যুক্তিযুক্ত হবে।"
এই প্রসঙ্গে কোহলি নিউজিল্যান্ড সফরের কথাও টেনে এনেছেন। কিউয়ি সফরে জঘন্যভাবে হারতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। তাই তিনি বলে দিয়েছেন, "সেই সফরে পরপর দুটো টেস্ট হারের পর আমাদের ব্যর্থতা নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছিল। কিন্তু ওখানে কোন ধরনের পিচে আমাদের খেলতে হয়েছে সেই বিষয়ে একটা শব্দও কি লেখা হয়েছে?"
💬 "Unfortunate that there’s too much noise about spinning tracks."
কোহলির বক্তব্য, ঘূর্ণি পিচে বল ঘুরলেই সবাই সমালোচনা করতে শুরু করেন। কিন্তু বিদেশেও একই ঘটনা ঘটে। পিচ আন্ডারপ্রিপেয়ার্ড থাকায় কখনো বল আচমকা লাফিয়ে ওঠে। কোনও বল আবার অনেক নিচু হয়ে যায়। ফলে অনেক সময় দল অল্প রানেই গুটিয়ে যায়। তখন বিদেশের পিচ নিয়ে লেখালেখি হয়না।
এরপরে কোহলি এই সমালোচনা উড়িয়ে পাল্টা বলেন, "পরবর্তী সময় ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডে সফরে গেলে একইভাবে পিচ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। ঘরের মাঠে ঘূর্ণি পিচে দুটো টেস্ট জিততেই এমন প্রশ্ন ওঠা মোটেও কাম্য নয়।"
এই সঙ্গে কোহলির বক্তব্য, "আমরা মাঠে নামি প্রতিপক্ষকে পাঁচদিন টেনে খেলানোর জন্য নয়, টেস্ট জেতার জন্য।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন