টেস্টের শুরুতেই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরাট কোহলি। টেস্টের একনম্বর উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহাকে বসিয়ে ঋষভ পন্থকে প্রথম একাদশে নেওয়া হয়েছে। ভারত শেষ যে সিরিজে টেস্ট খেলেছিল সেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও ঋদ্ধি খেলেছিলেন। হঠাৎই বাংলার তারকা ক্রিকেটারকে বাদ দিতেই ফোঁস করে উঠলেন প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হর্ষ ভোগলে।
সাতসকালে হর্ষ ভোগলে টুইটে লিখে দিলেন, "ঘুম থেকে উঠেই দেখি সাহাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা দেশের তরুণ উইকেটকিপারদের বলেছি, বিশ্বের সেরা কিপার হওয়ার দরকার নেই। খালি উইকেটের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু রান করে দিও। প্রচণ্ড হতাশ।"
Just up and see Saha is left out. We have just told every young keeper in India not to bother becoming the best in the world behind the stumps and instead focus on getting a few more runs in front of them. Disappointed.
— Harsha Bhogle (@bhogleharsha) February 21, 2020
আরও পড়ুন শেষ ১৯ ইনিংসে ০ শতরান! কোহলি কী শেষের পথে
এখানেই না থেমে হর্ষ ভোগলে অন্য একটি টুইটে লেখেন, "শ্রেয়া ঘোষালকে কোনও মেজর কনসার্টে বাদ দেওয়া হচ্ছে, কারণ অন্য একটি মেয়ে গিটারের কর্ডটা জোরে বাজাতে পারে। এমনটাও দেখার প্রতীক্ষায় রইলাম।" ক্রমশ বিতর্ক দানা বাঁধছে বুঝতে পেরেই হর্ষ ভোগলে নিজের শ্রেয়া ঘোষাল সংক্রান্ত টুইটটি ডিলিট করে দেন।
আরও একটি টুইট করেন তিনি। যেখানে তিনি সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিতে বললেন। হর্ষ বলেছেন, "আমাকে কেউ যেন ভুল না বোঝে। এটা পন্থের বিরুদ্ধাচারণ নয়। নিজের চয়েসের কথা একবার ভেবে দেখো। সেরা পাঁচ ব্য়াটসম্যান, সেরা চার বোলার, সেরা উইকেটকিপার এবং ছয় নম্বরের কিছু স্পেশ্য়াল স্কিল। এটাই নির্বাচনের শর্ত হওয়া উচিত। পন্থের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল। কারণ ও জন্মগতভাবে প্রতিভাবান। তবে সাহার জন্য খারাপ লাগছে।"
Don't get me wrong. This isn't about Pant. Just think in tests you pick your best five batsmen, best four bowlers, best keeper and think about a secondary skill for number six, if at all. I hope he does well because he is a gifted young player but feel for Saha. #Lastword. https://t.co/OJwatdbLeb
— Harsha Bhogle (@bhogleharsha) February 21, 2020
আরও পড়ুন ৬.৮ ফুটের পেসারে কাঁপুনি ভারতের, বৃষ্টি বাঁচাল কোহলিদের
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ থেকে জাতীয় দলের বাইরে পন্থ। প্রথম ম্যাচে কনকাশন চোট পেয়েছিলেন। তার পরিবর্তে উইকেটকিপার ও ব্যাটসম্যানের ভূমিকা দারুণভাবে সফল হয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। তারপর লোকেশ রাহুলই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাকি একদিনের সিরিজে খেলেছিলেন উইকেটকিপার হিসেবে। লোকেশ উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব পালন করায় ভারতও একজন অতিরিক্ত ব্য়াটসম্যানকে খেলানোর সুযোগ পেয়েছিল।
নিউজিল্যান্ডেও সেই ট্রেন্ড বজায় থেকেছিল। ৫টি টি২০ ও ৩টি একদিনের ম্যাচে ঋষভ পন্থকে রিজার্ভ বেঞ্চেই কাটাতে হয়েছিল। তারপরে পন্থের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। সীমিত ওভারের খেলায় বসে থাকা ঋষভ যে হঠাৎ করে টেস্টের একনম্বর ঋদ্ধিমানকে সরিয়ে প্রথম একাদশে জায়গা করে নেবেন, তা কেউ ভাবতেই পারেনি।
ঘটনা হল, টানা বসে থাকার পরে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে পন্থকে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলানো হয়ছিল। সেখানে প্রথম ইনিংসেও যথারীতি ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ঋষভ নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। ৬৫ বলে ৭০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন। অন্যদিকে, ঋদ্ধিমান আবার ইন্ডিয়া-এ দলের হয়ে মাঠে নামেননি।
প্রস্তুতি ম্যাচে সেই ইনিংসের সৌজন্য়েই যে পন্থ টেস্টের একাদশে ঢুকে পড়বেন, তা-ও বোঝা যায়নি।