স্বপ্নের ছন্দে রয়েছেন লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার। ফের একবার চলতি সিরিজে দলের ত্রাতা দুজনে। লোকেশ রাহুল কেরিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গেলেন এদিন ৪৭তম ওভারে আউট হওয়ার আগে তিনি ১১৩ বলে ১১২ রান করে যান। সেইসঙ্গে দুটো সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে দলের রক্ষাকর্তা এদিন তিনিই।
পাশাপাশি, মনীশ পাণ্ডে দলে ফিরেই নিজের অপরিহার্যতা প্রমান করলেন। সব মিলিয়ে তিন তরুণ তুর্কির ব্যাটে ভর করে ভারত শেষ একদিনের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ২৯৭ রানের টার্গেট রাখলো। ভারত ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তুলল ২৯৬।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত স্কোরবোর্ডে ৬২ তোলার ফাঁকেই তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছিল। বিরাট কোহলি, মায়ঙ্ক আগারওয়াল রান না পেলেও রানের দেখা পেয়েছিলেন পৃথ্বী। একদিনের ক্রিকেটে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি র দিকেও এগোচ্ছিলেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত ৪০ রানের মাথায় ফিরতে হয়েছিল তাকে।
তিন উইকেট হারিয়ে ভারত যখন রীতিমতো বেকায়দায় সেই সময়েই দলের হাল ধরেছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। দুজনে চতুর্থ উইকেটে একশো রানের পার্টনারশিপও গড়েন।
ভারতের এই জুটিতে ভাঙ্গন ধরান জিমি নিশাম। ৬৩ বলে ৬২ রানে ক্রিজে ব্যাটিং করা আইয়ারকে ফিরিয়ে জোর ধাক্কা দেন তিনি।
এরপর মনীশ পাণ্ডের সঙ্গে কার্যকরী জুটি গড়ে তোলেন লোকেশ। দুজনে ভারতকে ২৬৯ অবধি পৌঁছে দিয়ে তিনশো রানের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। সেই সময়েই ৪৭তম ওভারে দুজনকে পরপর দুবলে ফিরিয়ে দেন হামিশ বেনেট। মনীশ পাণ্ডে ফেরেন ব্যক্তিগত ৪২ রানে।
এরপর ভারত তিনশোর গণ্ডী পেরোতে পারেনি। এই ম্যাচ ভারতের কাছে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর চ্যালেঞ্জ। সেই ম্যাচে ভুল শুধরে নেমেছিলেন কোহলি। আগের দুটো ম্যাচে ফর্মে থাকা মণীশ পাণ্ডেকে বসিয়ে খেলানো হয়েছিল কেদার যাদবকে। কেদার দ্বিতীয় ম্যাচেই ডাহা ব্যর্থ হয়েছিলেন প্রয়োজনের সময়ে। তাই এবার কেদারের জায়গায় ফের একবার মণীশ পাণ্ডে।
ভারতের বাকি একাদশ অবশ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। ভাবা হয়েছিল, পন্থকে শেষ ম্যাচে হয়তো খেলানো হবে। তবে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের জন্য পন্থের অপেক্ষা বাড়ল।
ভারত একাদশ- পৃথ্বী শ, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল, মণীশ পাণ্ডে, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি।
নিউজিল্যান্ড একাদশ- মার্টিন গুপ্টিল, হেনরি নিকোলস, কেন উইলিয়ামসন, রস টেলর, টম ল্যাথাম, জিমি নিশাম, কলিন গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, কাইল জামেসন, টিম সাউদি এবং হামিশ বেনেট