প্রথম ম্যাচেই ভারত নিউজিল্যান্ডকে পর্যুদস্ত করে জিতেছে। স্কোরবোর্ডে বিশাল রানের টার্গেট থাকলেও তা ভারতের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। অনায়াসেই ১ ওভার বাকি থাকতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। এবার রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের ধারা বজায় রাখতে চায় ভারত। অন্যদিকে, প্রথম ম্যাচের হারের জ্বালা সুদে আসলে তুলে নিতে উদগ্রীব নিউজিল্যান্ডও।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা যে ফর্মে রয়েছেন, তা বুমরা, শামিরা প্রথম ম্যাচেই টের পেয়েছেন। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে আরও একবার ভারতীয় বোলাররা যে কিউয়ি বোলারদের থামানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগোবেন, তা বলাই বাহুল্য। ভারতের পূর্ণশক্তির বোলিং সামলে নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে ২০৩ রানের টার্গেট খাড়া করেছিল। তবে সেই টার্গেট অনায়াসে পেরিয়ে ভারতও প্রমাণ করে দিয়েছে, মনের মতো পিচ পেলে বিরাটরা যেকোনও টার্গেট তাড়া করার সামর্থ্য রাখে।
শুরুতে রোহিত ব্যর্থ হলেও, লোকেশ রাহুল-বিরাট কোহলি ভারতের রান চেজের প্ল্যাটফর্ম ঠিক করে দিয়েছিল। দারুণ শুরুর পরে ফিনিশিং টাচ দেন শ্রেয়স আইয়ার। ভারত মিডল অর্ডারে শ্রেয়সের মতো তারকা উঠে আসা সাম্প্রতিক সময়ে কোহলিদের পক্ষে সুখবর। শুধু ঘরের মাঠ নয়, বিদেশের মাঠেও যে তরুণ ক্রিকেটাররা পারফর্ম করছেন, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করছে ক্রিকেটমহল।
অকল্যান্ডে দ্বিতীয় টি২০তে বোলিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে। বুমরা চোট সারিয়ে সেরা ছন্দে না থাকলেও আগের ম্যাচে বেশি রান দেননি। অন্যদিকে, শার্দুল ঠাকুর কিংবা শামিও সেরা ফর্মে ছিলেন না। শার্দুল ঠাকুর ১ উইকেট নিলেও ৪৪ রান খরচ করে ফেলেছিলেন। শামি আবার কোনও উইকেট না নিয়ে ৫৩ রান বিলিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে নভদীপ সাইনিকে প্রথম একদাশে দেখা যেতে পারে।
স্পিন বোলিংয়ে শিবম দুবে, যুজবেন্দ্র চাহাল, জাদেজাও সেরকমভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি। চাহাল, জাদেজার মধ্যে কোনও একজনকে বসিয়ে কুলদীপকে প্রথম একাদশে দেখা যেতে পারে। ব্যাটিং ব্রিগেড অপরিবর্তিত রাখার সম্ভবনা। লোকেশ রাহুলই দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট কিপিং করবেন। অর্থাৎ ঋষভ পন্থ আরও একবার প্রথম একাদশের বাইরে।
আগের ম্যাচে ফিল্ডিং কোহলিকে মোটেই খুশি করতে পারেননি। আউটফিল্ডে রান বাঁচানোর বিষয়ে কোহলিরা আরও তৎপর হবেন, আশা করা যায়।
ভারতের টি২০ স্কোয়াড- বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, কেএল রাহুল, শ্রেয়স আইয়ার, মণীশ পাণ্ডে, ঋষভ পন্থ, শিবম দুবে, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, ওয়াশিংটন সুন্দর, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, রবীন্দ্র জাদেজা, নভদীপ সাইনি, শার্দুল ঠাকুর এবং কেদার যাদব
Read the full article in ENGLISH