No drinking water, stinking toilets, stands without shade: জল নেই, টয়লেটের অবস্থা এমন যে- দুর্গন্ধের চোটে যাওয়া যায় না। কোনও শেড নেই। তার ফলে গরমে তিষ্ঠোতে পারছেন না দর্শকরা। এই পরিস্থিতিতেই চলছে পুণে টেস্ট। ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে খেলার আমোদ ছাপিয়ে এই দুরবস্থাই দর্শকদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাব ফেলল। মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে প্রথম দিন ম্যাচ দেখতে ১৭,৭৯৮ জন দর্শক এসেছিলেন। টেস্ট ম্যাচে এত লোক সচরাচর হয় না। সংখ্যাটা তাই বেশ বড়ই বলা যায়।
যেখানে ম্যাচ হচ্ছে, জায়গাটা পুনে শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। যানবাহন না থাকলে, যাওয়াই কঠিন। তার মধ্যেই দেখা গেল যে, একটা গলিতে লোকের জটলা। রাস্তায় ঠিকমতো পথনির্দেশ না থাকায়, লোকজন ভুল করে ওই গলিতে ঢুকে পড়েছিলেন। এতটাই ভিড় জমে গিয়েছিল, যে বেশিরভাগই বেরোতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন।
দিল্লিতে গ্রীষ্মকালে ধুলোবালি ভয়ংকর সমস্যা তৈরি করে। বেঙ্গালুরুতে আবার যানজট আর ট্রাফিক সমস্যা যেন পিছু ছাড়ে না। যা এই সব শহরগুলোকে রীতিমতো লজ্জায় ফেলে। আর, পুনেতে দেখা গেল স্টেডিয়ামের মধ্যে অপরিষ্কার টয়লেট, পানীয় জলের চরম অভাব। এত কিছুর পরও দর্শকরা স্টেডিয়াম থেকে বেরোতে চাইছিলেন না। কারণ, একবার বেরোলে তাঁদের আর স্টেডিয়ামে ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছিল না।
ঠিক যেন তীর্থযাত্রীদের দেবদেবী দেখার মত, ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে দর্শকরা এই স্টেডিয়ামে জড় হয়েছিলেন। স্টেডিয়ামের ১০ মাইল দূর থেকেও ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের সেই উত্তেজনা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। অতদূরেও ভারতীয় দলের জার্সি বিক্রি হচ্ছিল। বিক্রি হচ্ছিল জাতীয় পতাকা। অনেককেই দেখা যাচ্ছিল, জাতীয় পতাকার রঙে মুখ রাঙিয়েছেন। যাঁরা বাসে চেপে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন, নিকটতম বাস স্টপ থেকে স্টেডিয়ামে পৌঁছতে তাঁদের কয়েক কিলোমিটার হাঁটতে হয়েছে।
পানীয় জলের অভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গেল নর্থ স্ট্যান্ডে। জল সরবরাহের কিয়স্কে জল ফুরিয়ে গিয়েছিল। স্টলে আকাশছোঁয়া দামে জল বিক্রি হচ্ছিল। কিছু দোকানে তো জলের বোতলও পাওয়া যাচ্ছিল না। কয়েকজন দর্শক মিডিয়া বক্সের কাছে ব্যারিকেডে ভিড় করে, 'এমসিএ জল দাও' বলে চিৎকার জুড়ে দিয়েছিলেন। এসব দেখে মিডিয়া আর ব্রডকাস্টারদের ঘরের কিছু স্বেচ্ছাসেবক দর্শকদের দিকে জলের বোতল ছুড়ে দেন। যা লাফিয়ে ক্যাচের মত করে ধরার জন্য দর্শকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
আরও পড়ুন- সাজায় সোজা ওয়ার্নার, আর স্লেজিংয়ে নারাজ অজি ক্রিকেটার, উঠল খাঁড়া
বাধ্য হয়ে, এমসিএ সচিব কমলেশ পিসাল স্ট্যান্ডগুলোতে আরও জলের স্টল বসানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, 'আমি আন্তরিকভাবে সমস্ত দর্শকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। যথেষ্ট জলের ব্যবস্থা নেই। আমরা ইতিমধ্যে এই সমস্যার সমাধান করেছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এবার থেকে খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি স্ট্যান্ডে বিনামূল্যে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। আমরা কাউকে জল বিক্রির অনুমতি দিইনি। নর্থ স্ট্যান্ডের দ্বিতীয় আর তৃতীয় পয়েন্টে জল ফুরিয়ে গিয়েছিল। আমরা ফের ট্যাংকে জল ভরে দিয়েছি।'