ICC World Cup 2019, India Vs Pakistan Live Score Updates: ওল্ড ট্র্যাফোর্ড শাসন করে গেলেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। ভারতের দুই সুপারস্টারের ব্যাটেই ভারত ৩৩৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তানকে। নিঃসন্দেহে বড় টার্গেট সরফরাজদের সামনে।
এদিন টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল পাকিস্তান। শুরুতেই লোকেশ রাহুল-রোহিত শর্মার ওপেনিং পার্টনারশিপে ভারত তুলে ফেলেছিল ১৩৬ রান। দ্বিতীয় উইকেটে আরও ৯৮ রান যোগ করেন রোহিত-কোহলি। পছন্দের চার নম্বর জায়গা থেকে ধাওয়ানের অনুপস্থিতিতে ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল লোকেশ রাহুলকে। ৭৮ বলে ৫৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার মর্যাদা দিলেন তারকা। চার নম্বরে হার্দিককে পাঠানো হয়েছিল রানের গতি বাড়ানোর জন্য। তবে সেই ভূমিকায় সফল হননি তিনি (১৯ বলে ২৬)।
পাকিস্তানের বোলারদের পাশাপাশি এদিন ফিল্ডিংও চরম ব্যর্থ। পাক বোলারদের মধ্যে একমাত্র সফলতম মহম্মদ আমির। ৮ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করেন তিনি। সবথেকে খরুচে বোলিং করেছেন হাসান আলি। ৯ ওভারে তিনি বিলিয়েছেন ৮৪ রান।
India Vs Pakistan Live Scorecard: India Vs Pakistan 2019 World Cup 2019
শনিবার
শ্রীলঙ্কাকে সহজে হারাল অস্ট্রেলিয়া। দুর্ধর্ষ ব্যাটিং করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। শ্রীলঙ্কা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একসময় ভালভাবেই ম্যাচে ছিল। তবে শেষদিকে হুড়মুড়িয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।
পাকিস্তানকে ৮৯ রানে হারিয়ে চলতি বিশ্বকাপে জয়ের হ্যাটট্রিক করল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ার পর এবার পাক বধ করল বিরাট বাহিনী। অন্য়দিকে বিশ্বকাপে ভারতের ইতিহাস অক্ষত থাকল। এই নিয়ে ক্রিকেটের শো-পিস ইভেন্টে সাতবারই ভারতের কাছে হারল পাকিস্তান।
শুরু হয়ে গেল খেলা। ৪০ ওভারের ম্য়াচ হয়ে গেল এটা। পাকিস্তানকে ৩০ বলে ১৩৬ রান করতে হবে। তাদের টার্গেট ৩০২। যা কার্যত অসম্ভব। বোঝাই যাচ্ছে ভারতের জয় এখন সময়ের অপেক্ষা। বিশ্বকাপের ইতিহাস বদলাচ্ছে না। ৭-০ দেখতে চলেছেন ফ্যানেরা।
বৃষ্টির যা অবস্থা তাতে ফের খেলা শুরু না হওয়ার সম্ভবনাই বেশি। বিরাটদের ড্রেসিংরুমে এখনই জয়ের আমেজ। অনেক ক্রিকেটার আবার পোশাকও বদলে ফেলেছেন বলেই জানা যাচ্ছে। এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে এই ম্যাচ ভারতই জিততে চলেছে। প্রচুর সমর্থকও মাঠ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন।
৩৫ ওভারের পর খেলা বন্ধ। আবার জোরে বৃ্ষ্টি নামল। পাকিস্তান ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তুলেছে। ছ নম্বর উইকেটটি নিয়েছেন বিজয় শঙ্কর। সরফরাজকে ক্লিন বোল্ড করে দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের পার স্কোর ২৫৪। তারা ৮৬ রানে পিছিয়ে। বৃষ্টিতে যদি আর একটি বলও না হয়. তাহলে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ভারত জিতে যাবে অনায়াসে।
পরপর দু বলে দু উইকেট, কামাল করলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। মহম্মদ হাফিজকে আউট করার পরের বলেই তুলে নিলেন শোয়েব মালিককে। পাকিস্তানকে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে দিল ভারত। ভুবনেশ্বরের অভাব বুঝতে দিলেন না পাণ্ডিয়া। দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে ভারত। এখান থেকে পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানো কার্যত অসম্ভব। পাঁচ উইকেট চলে গেল তাদের।
ফের উইকেট তুলে নিলেন কুলদীপ। এবার ফখর জামান। কুলদীপের বলে সুইপ করতে গিয়ে চাহালের হাত ক্যাচ তুলে দিলেন তিনি। ভারতীয় শিবিরে এখন স্বস্তি। এই জুটিটাই ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। তবে প্রশংসা করতে হবে বিরাটেরও তিনি তাঁর দুই স্পিনারের ওপরেই ভরসা রেখেছিলেন। কোনও পরীক্ষায় যাননি তিনি। আর তাঁর মান রাখলেন কুলদীপ। ২৬ ওভার শেষে তিন উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান ১২৬ রান তুলল। ক্রিজে এলেন সরফরাজ।
ক্লিন বোল্ড... বলতেই পারেন কুলদীপ ইউ বিউটি! বাবর আজম আর ফখর জামনের ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া জুটিটা ভেঙে দিলেন কুলদীপ। ২৪ ওভার শেষে ১১৭ রানে ২ উইকেট হারাল ভারত। আর কুলদীপ নিলেন পাকিস্তানের স্টার ব্যাটসম্যান বাবর আজমের উইকেটটা। তাঁর স্পিনে দিশাহীন হলেন বাবর। বলটা ঢুকে উইকেট ভেঙে দিয়ে বেরিয়ে গেল। কোহলি এটাই চাইছিলেন। ভারতীয় ফ্যানেরা সেলিব্রেশনে মাতলেন। ক্রিজে এলেন মহম্মদ হাফিজ
পেস বিভাগে ভারত একটা ধাক্কা খেয়েছে। চোটের জন্য ভুবির সার্ভিস পাচ্ছে না তারা এই ম্যাচে। আপাতত স্পিন খেলিয়েই উইকেট তুলতে চাইছেন বিরাট। এখন কুলদীপ যাদব আর যুজবেন্দ্র চাহাল তাঁর ভরসা। ১৭ ওভারের খেলা শেষ পাকিস্তান এক উইকেট হারিয়ে ৭৯ তুলেছে। আর কোনও উইকেট হারায়নি। যত সময় যাচ্ছে পাকিস্তানের ওপরেও চাপ বাড়ছে। কারণ তারা রান তাড়া করছে। টার্গেট যথেষ্ট কঠিন। সাতের ওপর ওভার পিছু রান লাগবে তাদের।
পাকিস্তান ৩৩৭ রান তাড়া করতে নেমেছে না ২৩৭ রান সেটা তাদের খেলা দেখে বোঝা যাচ্ছে না। বাবর আজম আর ফখর জামান অত্যন্ত মন্থর গতিতেই ব্যাট করছেন। ১১ ওভারের খেলা হয়ে গেল মাত্র ৪১ রান তুলল তারা। অন্যদিকে ভারতের বোলাররাও উইকেটের জন্য মরিয়া। খেলার গতিতেও একটা প্রভাব পড়েছে।
পঞ্চম ওভারে বল করতে এসেছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। হ্য়ামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যান তিনি। পুরো ওভারও বল করতে পারেননি ভুবি। চারটি ডেলিভারির পরই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। ভুবির পরিবর্তে ওভার শেষ করার দায়িত্ব নেন বিজয় শঙ্কর। এসেই কামাল করলেন তিনি। ইমাম উল-হককে এলবিডব্লিউ করে দিলেন তিনি। পাঁচ ওভার শেষে এক উইকেট হারিয়ে ১৪ রান তুলল পাকিস্তান। ক্রিজে এলেন বাবর আজম।
চার ওভারের খেলা শেষ। পাকিস্তান ১৩ রান তুলল। ফখর-ইমামর কিন্তু ধীরে ধীরে খেলাটা ধরার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে ইতিহাস বলছে পাকিস্তান কখনও ভারতের বিরুদ্ধে ৩০০-র ওপর রান তাড়া করে জিততে পারেনি। সোশাল মিডিয়ায় এখনই বলাবলি শুরু হয়ে গিয়েছে, যে ৭-০ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ক্রিকেটে সবই সম্ভব। এখন সময়ই বলবে প্রত্যাবর্তন নাকি পরিবর্তন! অন্যদিকে ভারত-পাক মহারণের দুই ঐতিহাসিক যোদ্ধাকে এক ফ্রেমে বন্দি করেছে আইসিসি। ওয়াসিম আক্রম আর শচীন তেন্ডুলকরের ছবি শেয়ার করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা
রোদ-বৃষ্টি খেলা দেখাচ্ছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। ফলে আসল খেলা কিছুটা দেরতে শুরু হল। ফখর জামান আর ইমাম উল-হকের চেনা জুটিতেই পাকিস্তানের শুরু। ভুবনেশ্বর কুমার আর জসপ্রীত বুমরার ওপেনিং স্পেলই দেখা যাবে। এক ওভারে পাকিস্তান তুলল ২ রান। আজ টিভির সামনে গোটা বিশ্ব। আইসিসি সেই ছবিই টুইট করল।
আমিরের বাউন্সার ফাইন লেগে পুল করতে গিয়ে সরফরাজের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে যান কোহলি। কোহলি নিজেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে হাঁটা দেন। কিন্তু ধারভাষ্য়কার সঞ্জয় মঞ্জরেকর বলছেন যে, হাওয়ায় ব্যাট কাটার আওয়াজ ছিল এটা। কোহলি আউট ছিলেন না। আলট্রা এজেও ধরা পড়েনি কিছু। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকেই বলছেন কোহলির অতিরিক্ত সততা নিদর্শন এটা। এদিন ভারত আরও ২০-২৫ রান যোগ করতে পারত। কিন্তু আমিরের ডেথ ওভার বোলিংয়ের সঙ্গেই আরও দুটি ফ্যাক্টর রয়েছে এর পিছনে। পাণ্ডিয়ার আরও একটু বেশি সময় ক্রিজে থাকা প্রত্য়াশিত ছিল। অন্যদিকে ধোনিও মাত্র ২ বল খেলেই আউট হয়ে যান সেই আমিরের বাইরের দিকের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ড শাসন করে গেলেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। ভারতের দুই সুপারস্টারের ব্যাটেই ভারত ৩৩৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তানকে।
সেই মহম্মদ আমিরের বলেই উইকটটা দিয়ে আসলেন বিরাট কোহলি। ৬৫ বলে ৭৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে আউট হলেন তিনি। ভারত ৪৮ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান তুলল। এখন বিজয় শঙ্করের পার্টনার কেদার যাদব। অন্তিম ১২ বলেভারত কত রান তুলতে পারে সেটাই দেখার। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার পর ফের ম্যাচ শুরু হলে বোলিং দল একটু অ্যাডভান্টেজেই থাকে। পাকিস্তান সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে।
ভারতের ইনিংসের ৪৬. ২ ওভারে খেলা থেমেছিল বৃষ্টির জন্য়। তিন ওভার চার বলের খেলা বাকি ছিল। কোহলি (৭১) আর শঙ্কর (৩) ছিলেন ক্রিজে। বৃষ্টি বন্ধ হয়ে ফের খেলা শুরু হল। ভারতের স্কোরর্বোডে চার উইকেট হারিয়ে ৩০৫। ১৫ মিনিটের মিড ইনিংস ব্রেক হিসেবে এটাকে ধরা হল। ফলে কোনও ওভার নষ্ট হল না এই ইনিংসে।
বৃষ্টিতে যদি ভারতের ইনিংস থেমে গিয়েছে। কোহলিরা আর ব্যাট না করলে ডার্ক ওয়ার্থ লুইস নিয়মে পাকিস্তানকে ৪৬ ওভারে তুলতে হবে ৩২৭। আর ২০ ওভারের খেলা হলে পাকিস্তানের টার্গেট হবে ১৮৪।
ওয়াহাব রিয়াজের বলে আউট দিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিজয়শঙ্করকে। তবে ডিআরএস নিয়ে দেখা যায় বল বিজয়শঙ্করের ব্যাটে স্পর্শ করেনি। এর মধ্যেই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে গেল। আপডেট দেওয়া পর্যন্ত, ৪৬.৪ বলে ৩০৫ রান।
ধোনিকে ফেরালেন মহম্মদ আমির। আউটসুইঙ্গারে ঠকে গিয়ে সরফরাজের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নিলেন ধোনি। ক্রিজে এলেন বিজয়শঙ্কর। এর মধ্যেই ভারত ওভারে ৩০০ রান পেরিয়ে গেল। ৪৬ ওভারে ভারত ৩০২। চার উইকেটের বিনিময়ে।
ভারতের ইনিংস টেনে নিয়ে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি (৫৪ বলে ৫৬)হার্দিক পাণ্ডিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য তাঁর। এর মধ্যে হার্দিক পাণ্ডিয়া (১৯ বলে ২৬) আউট হয়ে গেলেও তিনি ৫১ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেললেন। টানা দুটো ম্যাচে অর্ধশতরান করে ফেললেন তিনি। ৪৪ ওভার শেষে ভারত ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৬।
১১২ বলে ১৪০ তুলে আউট রোহিত। হাসান আলির বল শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে বিদায় হিটম্যানের। বিরাট কোহলির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৯৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। ৩৮.২ ওভারে ভারত ২৩৪। শেষ বারো ওভারে ভারত স্কোরবোর্ডে কত তুলতে পারে, সেটাই দেখার। ক্রিজে হার্দিক পাণ্ডিয়া।
৩৪.২ ওভারে ২০০ করে ফেলল ভারত। মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে। ক্রিজে রয়েছেন শতরান করে ফেলা রোহিত শর্মা (১০১ বলে ১১৯) এবং বিরাট কোহলি (৩১ বলে ২৪)। বর্তমান রান রেট ৬-এর সামান্য নিচে। ৩৫ ওভার শেষে ভারত ২০৬।
অপ্রতিরোধ্য রোহিত শর্মা। ক্লাস আর টেম্পারমেন্ট বরাবরের মতো। পাকিস্তানের বোলিংকে কার্যত ক্লাব স্তরের পর্যায়ে নামিয়ে এনে সেঞ্চুরি রোহিতের। আমের, ওয়াহাব থেকে হাসান আলি কিংবা শাদাব খানরা কার্যত কোনও প্রভাবই ফেলতে পারছেন না রোহিতের ব্যাটিং ঝড়ের সামনে। মাত্র ৮৫ বলের সেঞ্চুরিতে রোহিতের ব্যাট থেকে এল ৯টা বাউন্ডারি ও ৩টে ওভার বাউন্ডারি।
অবশেষে আউট লোকেশ রাহুল (৭৮ বলে ৫৭)। ওয়াহাব রিয়াজ নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসেই তুলে নিলেন রাহুলকে। ওভার পিচড বলে ড্রাইভ করেছিলেন। টাইমিংয়ের হেরফেরে কভারে বাবর আজমের হাতে সহজ ক্যাচ। আউট হলেও নিজের ভূমিকায় তিনি সফল।
রোহিতের হাফসেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছে আগেই। এবার ছক্কা মেরে অর্ধশতরানে পৌঁছে গেলেন লোকেশ রাহুল। ধাওয়ানের অভাব একদমই বুঝতে দিচ্ছেন না তারকা ব্যাটসম্যান। ৭০ বলে ৫১ রানের সংযত ইনিংসে লোকেশ মাত্র ৩টে বাউন্ডারি এবং ১টা ছক্কা হাকিয়েছেন।
একশো রানের পার্টনারশিপও গড়ে ফেললেন লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মারা। ১৭.৩ ওভারেই ভারত তিন অঙ্কের রান ছুয়ে ফেলল। ওপেনিংয়ে শিখর ধাওয়ানের অভাব বুঝতেই দিচ্ছেন না লোকেশ রাহুল। রোহিত শর্মা বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করছেন। লোকেশ রাহুলও দারুণভাবে এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন। পাকিস্তানের বোলাররা একদমই প্রভাব ফেলতে পারছেন না। ১৮ ওভারে ভারত বিনা উইকেটে ১০১। রোহিত শর্মা (৫২ বলে ৬১) ও লোকেশ রাহুল (৫৬ বলে ৩৭) ব্যাট করছেন।
পাকিস্তানি বোলারদের কোনও রকম দয়া দাক্ষিণ্য করছেন না। শুরু থেকেই রাজার মেজাজে ব্যাট করছেন রোহিত শর্মা। ৩৪ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করে ফেললেন তিনি। শাদাব খানের শেষ ওভার থেকেই রোহিত তুললেন ১৭ রান। নিজের ইনিংসে হাফডজন বাউন্ডারি এবং জোড়া ওভার বাউন্ডারি হাকিয়েছেন। পাকিস্তানের চরম খারাপ ফিল্ডিংয়ের নমুনা রাখছে।
ওপেনিং পার্টনারশিপে স্কোরবোর্ডে হাফসেঞ্চুরি তুলে ফেলল ভারত। দুরন্ত মেজাজে ব্যাট করছেন রোহিত, লোকেশ। ১১ ওভার শেষে ভারত ৬১। রোহিত (৩৮) হাফসেঞ্চুরির সামনে। লোকেশ রাহুলও (২২) অন্যপ্রান্তে দারুণ।
হিটম্যানকে ফেরানোর সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল। সেই সুযোগ হেলায় হারাল পাকিস্তান। ওয়াহাব রিয়াজের বলে মিড উইকেটে ঠেলে রান নিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। ব্যাটিং এন্ডে রোহিত পৌঁছনোর পরে দ্বিতীয় রানের জন্যও অনেকটা পেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। সতর্ক করেন লোকেশ। তবে নির্বিঘ্নেও আগের স্থানে ফিরেও যান রোহিত শর্মা। বাবর আজম বল থ্রো করতে এত দেরি করলেন, যে অধিনায়ক সরফরাজ রাগে অগ্নিশর্মা।
হাসান আলি, মহম্মদ আমিরকে সরিয়ে আক্রমণে আনা হল ইমাদ ওয়াসিম ও ওয়াহাব রিয়াজকে। স্বচ্ছন্দে আমিরের প্রথম স্পেল খেলে দিয়েছেন রোহিত, লোকেশ। তাই একটু চটজলদি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিমকে বোলিং প্রান্তে ডাকলেন সরফরাজ। ৯ ওভার শেষে ভারত ৪৬। রোহিত ছন্দে ব্যাটিং করছেন (২৫ বলে ৩২)। অন্যপ্রান্তে লোকেশ রাহুল একটু সংযত (২৯ বলে ১২)।
ভারতের হয়ে গলা ফাটাতে স্টেডিয়ামে হাজির রণবীর।
প্রথম ৫ ওভারে ৪ রান রেট ধরে এগোলো ভারত। মহম্মদ আমের ও হাসান আলি নিজেদের ওভারে সেরকমভাবে বিব্রত করতে পারছেন না। রোহিত (১৫ বলে ১৪) ও লোকেশ (১৫ বলে ৬) ওপেনিংয়ে টিকে থাকতেই হবে।
আমিরের প্রথম স্পেল বরাবরই বিপজ্জনক। তাই ওপেনিংয়ে নেমে লোকেশ রাহুল সন্তর্পণে খেললেন প্রথম ওভার। মেডেন ওভার দিয়ে পাকিস্তান শুরু করল বোলিং আক্রমণ।
লোকেশ রাহুলকেই ধাওয়ানের বদলি হিসেবে রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে জুড়ে দেওয়া হল। অর্থাৎ বিজয়শঙ্কর চার নম্বরে খেলবেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যে একাদশ নামানো হয়েছিল, সেই একাদশ থেকে জোড়া পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। শাদাব খান ও ইমাদ ওয়াসিমকে ফেরানো হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ একাদশঃ বাবর আজম, ফখর জামান, ইমাম উল হক, সরফরাজ খান, মহম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, ওয়াহাব রিয়াজ, হাসান আলি, মহম্মদ আমির
আগের ম্যাচের একাদশই খেলাচ্ছে পাকিস্তান। পরিবর্তন স্রেফ একজায়গায়। চোট পাওয়া ধাওয়ানের জায়গায় এলেন বিজয়শঙ্কর।
পূর্ণাঙ্গ একাদশঃ রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, বিজয় শঙ্কর, কেদার যাদব, মহেন্দ্র সিং ধোনি, হার্দিক পাণ্ডিয়া, যুজবেন্দ্র চাহাল, কুলদীপ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমার এবং জসপ্রীত বুমরা।
ম্যাঞ্চেস্টারে টস জিতলেন সরফরাজ আহমেদ। বিরাট কোহলিকে ব্য়াটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালেন তিনি। আর আধ ঘণ্টা পরেই শুরু মহারণ।
আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ম্যাঞ্চেস্টারের আকাশ।
ভারত-পাক ম্যাচ বাতিল হলে ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতির মোকাবিলা করতে হবে স্টার স্পোর্টসকে। ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপে বৃষ্টির জেরে পণ্ড হয়েছে চারটে ম্যাচ। আগের ম্যাচে ভারত-নিউজিল্যান্ডের মারকাটারি ম্যাচেও বল গড়ায়নি। রবিবারেও ম্যাঞ্চেস্টারের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। সবমিলিয়ে ম্যাচ শুরুর আগেই ক্রিকেট বিশ্বে আশঙ্কার চোরাস্রোত বইছে।
সকালে কালো মেঘের ঘনঘটা ছিল। তবে এখন আকাশ অনেকটাই পরিষ্কার। বৃষ্টি হচ্ছে না। দুই দেশের সমর্থকদের কাছে খুশির খবর।