চলতি ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে নয়া দ্বৈরথের সূচনা ঘটেছে মার্কো জ্যানসেন-জসপ্রীত বুমরার। কোহলি-রাবাদার ডুয়েল তো সিরিজের আগেই কার্যত ঠিক হয়ে ছিল। তবে কে জানত, রাবাদা-কোহলির ব্যাটে বলের যুদ্ধ ছাপিয়ে এভাবে আলোচনায় উঠে আসবেন জ্যানসেন-বুমরা।
বুধবার টি ব্রেকের ঠিক আগে জ্যানসেনের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সপ্তম উইকেটের পতন ঘটান বুমরা। আর প্রোটিয়াজ তারকার উইকেট ভেঙে দিয়ে বুমরা আগুনে দৃষ্টি হানেন জ্যানসেনের দিকে। পাল্টা দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন প্রোটিয়াজ পেসারও। কোনও বাক্য বিনিময় না হলেও বহু কথাই যেন বলা হয়ে গেল চোখে চোখে। যুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়ে দিয়ে।
দুই তারকার সংঘর্ষের সূত্রপাত জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় টেস্টে। ভারতীয় দলের দ্বিতীয় ইনিংসে জ্যানসেন টানা বাউন্সার দিয়ে বসেন বুমরাকে। যা মোটেই ভালভাবে নেননি ভারতীয় স্পিডস্টার। ব্যাটিংয়ের মাঝেই পাল্টা দেন বুমরা। উত্তপ্ত দুজনকে থামাতে এগিয়ে আসতে হয় স্বয়ং আম্পায়ারকে।
সেই সময় রাবাদা-জ্যানসেন ভারতের টেলএন্ডারদের দ্রুত ফিনিশ করতে চাইছিলেন। সেই সময়েই শর্ট বলের মুখে পড়েন বুমরা। বেশ কিছু বল গায়ে হজম করে নেন তারকা। ভারতীয় ইনিংসের ৫৪ তম ওভারে জ্যানসেনের শর্ট বল আছড়ে পড়ে বুমরার কাঁধে। কয়েক বল পরে ফের একবার বুমরার শরীর লক্ষ্য করে শর্ট বল করেন জ্যানসেন। তবে বুমরা কোনও যন্ত্রণার অভিব্যক্তির বদলে টি শার্ট থেকে ধুলো ঝাড়ার ভঙ্গি করেন। যা আরও রাগিয়ে তোলে জ্যানসেনকে।
এরপরে বাউন্সারের বৃষ্টি শুরু করেন উঠতি স্পিডস্টার। বুমরা এমনই একটি বলে পুল করার চেষ্টা করেও ব্যাটে বলে সংযোগ ঘটাতে পারেননি। তারপরেই সমস্ত সমস্যার সূত্রপাত। বুমরা-জ্যানসেন কড়া নজরে একে অন্যের দিকে তাকান। শেষ পর্যন্ত যাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় আম্পায়ার মরিস ইরাসমাসকে।
ভারতের প্ৰথম একাদশ:
কেএল রাহুল, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, ঋষভ পন্থ, শার্দূল ঠাকুর, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরা, উমেশ যাদব
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন