ভারত: ২২৩/১০, ১৯৮/১০
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২১০/১০, ২১২/৩
সব সময় বোলাররা জেতাবে, এমনটা হয় নাকি! দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইতিহাস গড়ার মোক্ষম সুযোগ পেয়েছিল ভারত। সেঞ্চুরিয়নে প্ৰথম টেস্ট জিতে ইতিহাস বই নতুন করে লেখার তোড়জোড়ও শুরু করেছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে জোহানেসবার্গ এবং কেপটাউনে পরপর দুটো ম্যাচ হেরে ইতিহাস গড়া স্বপ্নই হয়ে থাকল কোহলিদের।
জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্বিতীয় ইনিংসে তুলতে হত মাত্র ২১২ রান। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে সেই রান তুলে দিল প্রোটিয়াজরা। ম্যাচের তৃতীয় দিন মারক্রাম এবং এলগারকে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোরবোর্ডে ১১১ তুলে ফেলেছিল। জয়ের জন্য বাকি দুদিনে দরকার ছিল আরও ১১১ রান। কিগান পিটারসেন এদিন ৮২ করে ফেরার পরে বাকি রান সহজেই তুলে দেন ডুসেন (৪১), তেম্বা বাভুমারা (৩২)। কেপটাউনে সেই সঙ্গে ৭ উইকেটে জিতে সিরিজ পকেটস্থ করে ফেলে প্রোটিয়াজরা।
আরও পড়ুন: ‘কখনই রোলমডেল হতে পারবে না’! কোহলিকে সপাটে আক্রমণ গম্ভীরের
আর ভারতের হারে খলনায়ক সেই কুখ্যাত ব্যাটিং। গোটা সিরিজে ভারতীয়দের মধ্যে শতরান করেছেন কেবল কেএল রাহুল এবং ঋষভ পন্থ। মায়াঙ্ক আগারওয়াল প্ৰথম টেস্টেই যা হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন, তারপরে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পূজারা-রাহানেদের কথা যত কম বলা যায় ততই ভাল। দুজনের গোটা সিরিজে অবদান মাত্র একটা করে হাফসেঞ্চুরি।
কোহলি দ্বিতীয় টেস্টে খেলেননি। তৃতীয় টেস্টে প্রত্যাবর্তনে চোয়ালচাপা হাফসেঞ্চুরি করেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে দুশো-র কাছাকাছি বল খেলে যদিও ২৯-এর বেশি করতে পারেননি।
হনুমা বিহারি, মায়াঙ্ক আগারওয়ালদের খেলানোর সওয়াল করেছেন সুনীল গাভাসকার স্বয়ং। সামনেই শ্রীলঙ্কা সিরিজ খেলতে হবে ভারতকে ঘরের মাঠে। সেই সিরিজে পূজারার জায়গায় শ্রেয়স এবং রাহানের পাঁচ নম্বরে বিহারিকে দেখতে চাইছেন কিংবদন্তি, গাভাসকার সহ বাকি ক্রিকেট মহলের কথায় কর্ণপাত করে নির্বাচকরা এবার রাহানে-পূজারাকে বসান কিনা, সেটাই দেখার।
ভারতের প্ৰথম একাদশ:
কেএল রাহুল, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, ঋষভ পন্থ, শার্দূল ঠাকুর, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরা, উমেশ যাদব
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন