আইপিএল হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেলেও, ক্রিকেটাররা পরিবারের সঙ্গে খুব বেশি সময় কাটাতে পারবেন না। কারণ জুনেই ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল কড়া নাড়ছে। জুনের মাঝামাঝি সময়েই শুরু হয়ে যাচ্ছে ফাইনাল, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। বেশ কিছুদিন ধরেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেওয়ার আগেই ক্রিকেটারদের টিকা দিয়ে দেওয়া হবে।
১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের টিকার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এমন নিয়ম চালু হওয়ার পরই ক্রিকেটাররাও এবার টিকা গ্রাহকদের ব্রাকেটে চলে এসেছেন। আইপিএল চলাকালীনই ক্রিকেটাররা টিকা পেতে পারতেন। তবে টুর্নামেন্ট হঠাৎ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বোর্ডের সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খেয়েছে। বাবল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে এবার স্থানীয় এলাকায় ক্রিকেটাররা টিকা নিতে পারবেন। তবে সূত্রের খবর, ক্রিকেটারদের বলা কেবলমাত্র কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: জন্মদিনেই হিরো লক্ষ্মীরতন! আইপিএলের আয় দান করলেন মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে
আসন্ন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ইংল্যান্ড সফরের কথা মাথায় রেখে বোর্ডের তরফে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রথম ডোজ দেশের মাটিতে নিলেও দ্বিতীয় ডোজ ক্রিকেটারদের নিতে হবে বিদেশে। তাই কোভিশিল্ড নিতে বলা হয়েছে। কারণ ব্রিটেনেরই অক্সফোর্ড-এস্ট্রোজেনেকা কোভিশিল্ডের নির্মাতা হওয়ায় ইংল্যান্ডে এই টিকার দ্বিতীয় ডোজও সহজলভ্য হবে। ভারতের নিজস্ব টিকা কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে যে সুবিধা অন্য দেশে পাওয়া যাবে না। তাই চার মাস ব্যাপী টিম ইন্ডিয়ার ইংল্যান্ড সফরের সময়েই ক্রিকেটারদের নির্দিষ্ট সময় মেনে ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
৪৮ ঘন্টা আগেই বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলে দিয়েছিলেন, "রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ব্যক্তিগত স্তরে ক্রিকেটাররা টিকা নেবেন। এভাবেই পুরো প্রক্রিয়া আরো সহজ হবে।"
প্রসঙ্গত, টিকা প্রদানের নিয়মেই বলা হয়েছে, প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে যে ভ্যাকসিন নেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজের সময়েও সেই ভ্যাকসিন নিতে হবে। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি প্রথমবার কোভ্যাক্সিনের ডোজ নিলে, দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রেও কোভ্যাক্সিনের ডোজ নেওয়া উচিত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন