বায়ো বাবলে থাকার ক্ষেত্রে মানসিকভাবে ভারতীয়রা ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের থেকে এগিয়ে। এমনটাই মনে করছেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পরেই জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের। শুধুমাত্র স্টেডিয়াম এবং হোটেলের বাইরে বেরোনোর অনুমতি নেই তারকাদের। নিরাপদ বলয়ের বাইরের বিশ্বের সঙ্গে কার্যত শারীরিক যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে পড়ছে তাঁদের। এতেই মানসিকভাবে নুইয়ে পড়ছেন ক্রিকেটাররা।
সম্প্রতি সিএসকে তারকা জস হ্যাজেলউড এই মানসিক ক্লান্তির কথা জানিয়েই আইপিএল থেকে নাম তুলে নিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতেই সৌরভ অনলাইন এক ইভেন্টে বলেন, "বিদেশি ক্রিকেটারদের থেকে ভারতীয়দের সহ্যশক্তি অনেকটাই বেশি। অনেক ইংরেজ, অস্ট্রেলিয়ান, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। ওরা মানসিকভাবে একদম শেষ হয়ে যায়।"
আরো পড়ুন: খেলা হবে! আইপিএল শুরুর আগেই ধোনিকে ‘হুঁশিয়ারি’ ক্যাপ্টেন পন্থের
এরপর মহারাজ আরো জানান, "গত ছয়-সাত মাসে বায়ো বাবলে এত ক্রিকেট খেলা হচ্ছে যে এটা ভীষণ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। হোটেলরুম থেকে মাঠে যাও, সেখানে প্রানান্তকর চাপ সামলাও, আবার রুমে ফিরে এসো, পরদিন আবার মাঠে যাও- এটা সম্পূর্ণ আলাদা একটা জীবন।"
এই প্রসঙ্গেই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের প্রসঙ্গ এনেছেন সৌরভ। ভারতের কাছে ঘরের মাঠে হারের পরেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে নাম তুলে নিয়েছিল অজি দল। মার্চ-এপ্রিলে প্রোটিয়াজদের বিরুদ্ধে তিন টেস্টের সিরিজ খেলার কথা ছিল অজিদের। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা জানিয়ে সেই সফর থেকে পিছিয়ে আসে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। "অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলকেই দেখো। ভারতের পরেই দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ খেলার সূচি ছিল। ওরা যেতে চায়নি। সবসময়েই কোভিডের আতঙ্ক যেন তাড়া করছে। সকলেরই বক্তব্য যেন, "আশা করি এরপরের শিকার যেন আমি না হই।" পজিটিভ থাকতে হবে। মানসিকভাবেও সদ্বর্থক থাকার অনুশীলন জারি রাখতে হবে।" বলেছেন তিনি।
সৌরভ নিজের কেরিয়ারে সবথেকে বড় ধাক্কা খান ২০০৫-এ। যখন নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। পরে অবশ্য পারফর্ম করে দারুণভাবে কামব্যাক করেন।
সৌরভ অবশ্য এখন সেই পর্বকে দার্শনিকের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন, "প্রথম টেস্ট খেলার সময় সকলের লক্ষ্য থাকে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিশ্বকে নিজের আবির্ভাবের কথা জানানো। তার পরের পর্যায়ে সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ। সামান্য ভুলত্রুটি হলেই সমালোচনা ধেয়ে আসবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন