কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার পরিকল্পনা করছে নিউজিল্যান্ড। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে নিউজিল্যান্ড। আর সাউদাম্পটনের সেই মেগা ফাইনালে কিউয়িদের তুরুপের তাস হতে চলেছেন এক ভারতীয়। বুধবারই ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের স্কোয়াড ঘোষণা করে দিল নিউজিল্যান্ড। আর সেই স্কোয়াডের রাখা হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ২১ বছরের রচিন রবীন্দ্রকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো অভিষেক ঘটেনি রবীন্দ্র-র। তবে ভারতের বিপক্ষেই স্বপ্নের অভিষেক ঘটাতে পারেন তিনি। বাবা-মা দুজনেই ভারতীয়। তবে জন্ম নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়ালিংটনে। গত কয়েক মরশুমে নিয়মিত অফ সিজনে ট্যুরে খেলছেন ভারতেই।
আরো পড়ুন: গেস্ট হাউসে ভ্যাক্সিন! টিকা দূর্নীতিতে কলঙ্কের অভিযোগে বিদ্ধ কেকেআরের কুলদীপ
কিউয়ি প্রচারমাধ্যমে বলা হচ্ছে, রবীন্দ্র-র পিতা রবি কৃষ্ণমূর্তি পেশায় একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার। নব্বইয়ের দশকেই ভারত ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডে। সেখানে হান্ট হকস ক্লাব-ও প্রতিষ্ঠা করেন। যে ক্লাব প্রত্যেক বছর কিউয়ি উঠতি তারকাদের নিয়ে সফর করে ভারতে। এই ধরণের সফরে আগে ভারতেই খেলে গিয়েছেন টম ব্ল্যান্ডেল, জিমি নিশামের মত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত তারকারা।
তেলেঙ্গানা টুডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবীন্দ্র জানিয়েছেন, গত চার বছর ধরেই শীতকালে অন্ধ্রপ্রদেশে ক্রিকেট ট্রেনিং নিতে আসতেন তিনি। সেই প্রতিবেদনেই জানা গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার কোচ খাতিব সৈয়দ শাহাবুদ্দিনের তত্ত্বাবধানে খেলে গিয়েছেন রবীন্দ্র। "গত চার বছর ধরেই অনন্তপুরে রুরাল ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের মাঠে হাট হকস দল ট্রেনিং করে। সেই সফরকারী দলের সদস্যই রবীন্দ্র। ও একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার। বাঁ হাতি স্পিন বোলার এবং ব্যাটসম্যান হিসেবে সাফল্য পাওয়ার খিদে ওর বরাবর।" জানিয়েছেন কোচ শাহাবুদ্দিন।
রাহুল দ্রাবিড় এবং শচীনের নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই বাবা-মা নাম রাখেন রচিন রবীন্দ্র। এর আগে ২০১৬-য় নিউজিল্যান্ডের যুব দলের হয়ে ভারতে অনুর্দ্ধ-১৯ বিশ্বকাপেও খেলে গিয়েছেন রবীন্দ্র। সেই বিশ্বকাপেই তাঁর মোলাকাত হয় ওয়াশিংটন সুন্দর, ঋষভ পন্থের মত উঠতি সুপারস্টারদের।
সেই বিশ্বকাপ খেলার পাঁচ বছর অতিক্রান্ত। পন্থ-সুন্দররা ইতিমধ্যেই সিনিয়রদের স্কোয়াডে প্রতিষ্ঠিত। রচিন নিজেকে চেনানোর জন্য ভারত ম্যাচের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন, নজর এখন সেদিকেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন