ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণের সামনে দাঁড়িয়ে কলকাতা। আর দু'দিন পরেই ক্রিকেটের মক্কা ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত হবে ভারতের প্রথম দিন-রাতের টেস্ট। এটা কিন্তু ভারতের প্রথম মাল্টি ডে দিন-রাতের ম্য়াচ নয়। ঘটনাচক্রে ক্রিকেটের নন্দনকাননেই ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল দেশের প্রথম গোলাপি বলে ডে-নাইট ম্য়াচ।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ভারতে প্রথম গোলাপি বলে খেলা হয়েছিল এই ইডেনেই। সিএবি সুপার লিগের ফাইনালে সেবার মোহনবাগানের সঙ্গে খেলেছিল ভবানীপুর। মোহনবাগান ২৯৬ রানে জয়ী হয়েছিল। মোহনবাগানের হয়ে ব্য়াট হাতে ইতিহাস লিখেছিলেন অরিন্দম ঘোষ। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে গোলাপি বলে শতরান (১২৫) করেছিলেন তিনি। বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন মহম্মদ শামি। প্রথম ইনিংসে একাই তুলে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট।
আরও পড়ুন-গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট: যা যা আপনি জানতে চান
ঋত্বিক চট্টোপাধ্য়ায়ের ভবানীপুর চার দিনের সেই ম্য়াচে টস জিতে ব্য়াটি করতে পাঠিয়েছিল শুভময় দাসের মোহনবাগানকে। অনুষ্টুপ মজুমদার (৮৩) ও সঞ্জীব স্য়ান্নাল (৬০) ব্য়াট কথা বলেছিল। ঋদ্ধিমান (৩৩) ও শামিও (৩৬) ব্য়াট হাতে রান পান। মোহনবাগান প্রথম ইনিংসে ২৯৯ রান তুলেছিল। ভবানীপুরের হয়ে রবিকান্ত সিং তুলে নেন চার উইকেট।
আরও পড়ুন-লঞ্চে ‘না’ বিরাটের, ইডেন টেস্টের আগেই ফাঁস ক্যাপ্টেনের গঙ্গা-‘ভীতি’
জবাবে ভবানীপুর প্রথম ইনিংসে তুলেছিল মাত্র ১৫৩ রান। শামি একাই শুইয়ে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের ব্য়াটিং লাইন-আপ। ১৩.৪ ওভার বল করে তুলে নেন ৫ উইকেট। দুটি মেডেন সহকারে দিয়েছিলেন ৪২ রান। তিন উইকেট পান সৌরভ মণ্ডল। ভবানীপুরের হয়ে একমাত্র ব্য়াট হাতে সফল হন উদ্দীপন মুখোপাধ্য়ায়। ৪১ রান করেন তিনি।
অরিন্দম ঘোষের ঝকঝকে সেঞ্চুরিতে মোহনবাগান দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪৯ রান করে। ২২৫ বলের ইনিংসে ১১টি চার ও পাঁচটি ছয়ের সৌজন্য়ে ১২৫ রান করেন। সঞ্জীব স্য়ান্নাল দ্বিতীয় ইনিংসেও সফল হন। করেন ৫১ রান। বাগানের দ্বিতীয় ইনিংসের জবাবে ভবানীপুর ১৯৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। শামি প্রথম ইনিংসে যে বোলিংটা করেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে সেটি করেছিলেন বিবেক সিং। একাই তুলে নেন ৫ উইকেট। ৮.৩ ওভার বল করে ৩২ রান খরচ করে পান তিন উইকেট। সৌরভ মণ্ডল নেন তিন উইকেট।
মোহনবাগান: ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটকিপার), দেবব্রত দাস, অরিন্দম ঘোষ, মহম্মদ শামি, অনুষ্টুপ মজুমদার, জয়জিত বাসু, শুভময় দাস (ক্য়াপ্টেন), বিবেক সিং, সঞ্জীব স্য়ান্নাল, রাজকুমার পাল ও সৌরভ মণ্ডল।
ভবানীপুর: রবিকান্ত সিং, পার্থসারথি ভট্টাচার্য, ঋত্বিক চট্টোপাধ্য়ায় (অভিষেক), অভিষেক দাস, উদ্দীপন মুখোপাধ্য়ায়, শুভম চট্টোপাধ্য়ায়, অয়ন ভট্টাচার্য, সুজিত কুমার যাদব, সন্তোষ সাবানায়কন (উইকেটকিপার), গীত পুরী ও অর্ণব ঘোষ।