১২ বছর আগে মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে প্রথমবার সাক্ষাতেই স্বপ্নপূরণ হয়েছিল। দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলেন মাহিকে। এক বৃত্ত যেন সম্পন্ন হল! আসামের প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটার রিয়ান পরাগের দু'চোখে এখনও ঘোর লেগে রয়েছে। ১৭ বছরের রিয়ান তখনও বোধহয় ছ'বছরেও পা দেননি। সেই সময়েই গুয়াহাটি স্টেডিয়ামে খেলতে এসেছিলেন ধোনি জাতীয় দলের সঙ্গে। পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ চলছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ভারত। ধোনি দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ৬৩ রান করেছিলেন।
সেই ম্যাচেই ধোনির সঙ্গে মোলাকাত রিয়ান পরাগের। সেই ঘটনার পরে ১২ বছর কেটে গিয়েছে। শিশু থেকে আপাতত কৈশোরে কাটিয়ে টিন-এজার রিয়ান ক্রিকেটকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। ধোনি-মন্ত্রেই যা তার পথ চলা। রায়ান আইপিএলে অভিষেক ঘটিয়ে ফেললেন রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে। সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে যেদিন তাঁর প্রতিপক্ষ আবার স্বয়ং তাঁর স্বপ্নের ক্রিকেটার ধোনি।
ধোনি-কানেকশন এখানেই শেষ নয়। প্রথম ম্যাচে নেমে রায়ান ১৬ রানে আউট হয়ে যান। ধোনিই উইকেটের পিছনে তাঁর ক্যাচ তালুবন্দি করেন। শেষ বলের থ্রিলারে সুপার কিংস শেষ হাসি হাসে। রূদ্ধশ্বাস সেই ম্যাচের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ধোনির সঙ্গে পরাগের ছবি। একটা বর্তমানের। অন্যটি বছর বারো আগের।
আসামের উঠতি ক্রিকেটার রিয়ান গত বছরে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ২০১৬-১৭ মরশুমে রাজ্য দলের হয়ে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। যুব দলের হয়ে দু'টি টেস্টও খেলে ফেলেছেন তিনি। যার মধ্যে একটি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংসও ছিল। পাশাপাশি, যুব পর্যায়ের ক্রিকেটে বিরাট কোহলির পরে দ্রুততম অর্ধশতরানের নজিরও রিয়ানের দখলে।
বাবা-মা দু'জনেই ক্রীড়াজগতের সঙ্গে যুক্ত। বাবা পরাগ দাস ছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন। মা মিঠু বরুয়া সাঁতারে জাতীয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন, যিনি সাফ গেমসে অংশও নিয়েছিলেন। তবে রিয়ানের উত্থানের সঙ্গে লেগে থাকছে ধোনির সান্নিধ্য। অবাক করার মতো।