আইপিএলের ১০ নম্বর ম্যাচ সাক্ষী থেকেছে রুদ্ধশ্বাস সাসপেন্স থ্রিলারের। সৌজন্যে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস। শনিবার দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা দেখল এই মরসুমের প্রথম সুপার ওভার। টাইব্রেকারে শেষ হাসি হেসেছে শ্রেয়স আয়ারের টিম। সুপারওভারে সুপারস্টার হয়ে গিয়েছেন দিল্লির স্টার বোলার কাগিসো রাবাদা।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ১০ রান তুলেছিল। কেকেআরের হয়ে তরুণ বোলার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা স্নায়ুর পরীক্ষায় রীতিমত সফল হন। কিন্তু মাত করে দেন রাবাদা। আন্দ্রে রাসেল, দীনেশ কার্তিক এবং রবিন উথাপ্পারা তাঁর ইয়র্কারে দিশাহীন হয়ে গিয়েছিলেন। কেকেআর ১১ রান তুলতে অসমর্থ হয়। মাত্র সাত রান দেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার।
আরও পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচ, সুুপার ওভারে জয়ী দিল্লি
ম্যাচের পর রাবাদা বললেন, "আমরা ভাবছিলাম যে, এই ওভারটা কীভাবে করা যায়। বাউন্সার করব নাকি স্লোয়ার। কিন্তু ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এটা জুয়ার মতো। তারপর ভাবলাম ইয়র্কারই করি সবক'টা। রানআপের সময় ভাবছিলাম লেন্থ বল করলেই আন্দ্র রাসেল মারবে। ও যে কোনও ফুল লেন্থ ডেলিভারি খেলে দেবে। একসঙ্গে দু'টো বিষয় মাথায় কাজ করাটাও ঠিক নয়, তারপর ইয়র্কার করব বলেই মনস্থির করি।" রাবাদা আরও বলছেন, "কার্টলি অ্যামব্রোস, ওয়াসিম আক্রম ও ওয়াকার ইউনিসরা কিন্তু ইয়র্কারেই ব্যাটসম্যানদের চমকে দিতেন। কারণ ব্যাটসম্যানরা জানেন এই বলে বিশেষ কিছু করার থাকে না। লসিথ মালিঙ্গা, যসপ্রীত বুমরা ওরা খুব স্বাভাবিক ভাবেই ইয়র্কার করতে পারে। প্র্যাকটিসের মাধ্যমেই এটা আয়ত্তে আনা যায়।"
এদিন কেকেআর টস হেরে প্রথমে ব্যাট করেছিল। ৬১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়েও কলকাতা শেষপর্যন্ত আট উইকেট হারিয়ে ১৮৫ তোলে। সৌজন্যে আন্দ্র রাসেল (৬২) ও দীনেশ কার্তিক (৫০)। এই রান তাড়া করতে নেমে পৃথ্বী শ অসাধারণ ৯৯ রানের ইনিংস খেলেন। দিল্লি নির্ধারিত ওভারে ম্যাচ টাই করে। এরপরেই খেলা সুপার ওভারে গড়ায়।