ক্ষুব্ধ রাসেলের জবাব এবার দিলেন দীনেশ কার্তিক। ড্রেসিংরুমে নয়। সরাসরি সংবাদমাধ্যমে। প্লে অফে ওঠার সামান্য আশা বেঁচে রয়েছে দীনেশ কার্তিক ব্রিগেডের। শেষে জোড়া ম্যাচ জিতলেও অবশ্য তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচগুলির ফলাফলের উপরে। এমন অবস্থাতেই দীনেশ কার্তিক সর্বভারতীয় এক প্রচারমাধ্যমে বলে দিলেন, "আইপিএল এমনিতেই প্রচণ্ড চাপের খেলা। প্রতিটা ম্যাচ-ই স্নায়ুর পরীক্ষা নেয়। এর মধ্যেই দলের প্রত্যেকে নিজস্ব স্পেস পাওয়ার বিষয়ে হোক বা ফিটনেস ধরে রাখার ক্ষেত্রে- সবকিছুই নজর রাখতে হয় অধিনায়ককে। এমন পরিস্থিতিতে ছোটখাটো বিষয়ে মতান্তর বা পিছনে থেকে নিন্দা করার মতো ঘটনা ঘটতেই পারে। এই সমস্ত বিষয়ে বেশ ওয়াকিবহাল আমি। চেষ্টা করছি, যাতে এমন কিছু না ঘটে।"
আরও পড়ুন IPL 2019 KKR vs MI: স্ত্রী-র প্রতি ভালবাসাতেই ব্যাটে ঝড়, ইডেন-জয়ের পর বলছেন রাসেল
অঙ্কের বিচারে সূক্ষ্মভাবে হলেও, বাস্তব পরিস্থিতি অনুযায়ী কেকেআরের আইপিএলের প্লে অফে ওঠার আশা কার্যত নেই। তবে কেকেআর যখন প্লে অফের দৌঁড়ে প্রবলভাবে ছিল, তখন থেকেই গৃহযুদ্ধের আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। এমনিতে শান্ত শিষ্ট রাসেল ব্যাট হাতে বাইশ গজে নামলেই রূদ্রমূর্তি ধারণ করছেন নিয়মিত। কেকেআরের ব্র্যান্ড ভ্যালু যেন একাই ধরে রেখেছেন সাড়ে ৬ ফুটের ক্যারিবিয়ান তারকা। আরসিবি ম্যাচের পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রুদ্ধ রাসেল বলে দিয়েছিলেন, ব্য়াটিং অর্ডারে আরও আগে নামা উচিত আমার।
সানরাইজার্সের কাছে ঘরের মাঠে হারের পরে রাসেলের বিস্ফোরণ, দলের পরিবেশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে কেকেআরের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যেই প্রকট হয়ে উঠেছিল। নেতা দীনেশে আস্থা যে অনেকেরই নেই, তা স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে শেষ ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দাপুটে জয়ে অনেকটাই স্বস্তিতে নাইটরা।
শুক্রবারে কেকেআরের পরের প্রতিপক্ষ কিংস ইলেভেন। রবিবারে ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মোকাবিলা করতে হবে কেকেআরকে। মাস্ট উইন দু-ম্যাচের আগেই কার্তিকের বার্তা, "দিনের শেষে এটা স্রেফ একটা খেলা। খেলায় যে কেউ নিজের সেরাটা জিতে চাইবে। শুধু আপনাকে মুখে একটু হাসি ধরে রাখতে হবে। অন্যদের কাছেও ভাল হতে হবে। দলের প্রত্যেকেই চেষ্টা করছে।" এরপরে নেতা কার্তিকের সংযোজন, "টুর্নামেন্টের শেষে প্রত্যেকেই হাসি মুখে দেশে ফিরে যাবে। বাকিদের চেষ্টা করতে হবে, আমার সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা যেন প্রত্যেকের কাছে সুখকর হয়ে থাকে। বাড়ি ফিরে কেউ যেন না বলতে পারে, যখন আমরা ম্যাচের পর ম্যাচ হারছিলাম এই ব্যক্তি মোটেই ভাল হতে পারেনি।"
অর্থাৎ রাসেলরা যতই বিদ্রোহী হোন না কেন, কার্তিক কিন্তু সন্ধিপ্রস্তাব দিয়ে রাখছেন আগেই!