কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাচে কিছু না কিছু ঘটেই চলেছে। প্রীতি জিন্টার দল এই মরসুমে আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে 'মানকাডিং' বিতর্কে জড়িয়েছিল। সৌজন্যে পাঞ্জাবের ক্যাপ্টেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি জস বাটলারকে আউট করে এই বিপত্তি ডেকে এনেছিলেন। যার রেশ এখনও চলছে। এর মাঝেই আবার ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতার বিরুদ্ধেও পাঞ্জাবের ম্যাচ সাক্ষী থাকল চূড়ান্ত নাটকীয়তার। যার জন্য খানিক থামল খেলাও।
ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের ইনিংসে। ম্যাচের ছ'নম্বর ওভারে বল করতে এসেছিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। সেসময় ক্রিজে ছিলেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল ও সরফরাজ খান। কৃষ্ণার প্রথম বলেই সিঙ্গেল রান নেন ময়ঙ্ক। সেসময় কভারে ফিল্ডিং করছিলেন নীতিশ রানা। তিনি ওই বলটি ধরেই হাল্কা মেজাজে আন্দ্র রাসেলকে লক্ষ্য় করে ছুঁড়ে দেন। ক্রিকেটের পরিভাষায় লব করে দেন। কিন্তু উইন্ডিজ অলরাউন্ডার ফ্লাডলাইটের জন্য বলের গতিপথ বুঝতে পারেননি। বলটি তাঁর পাশ দিয়ে বাউন্ডারি লাইনে পৌঁছে যায়। আম্পায়ার সঙ্গেসঙ্গে সেটিকে ওভারথ্রো হিসেবে গণ্য় করেন। এক রানের সঙ্গে আরও চার রান যোগ হয়।
আরও পড়ুন: IPL 2019: ক্রিকেটের স্পিরিট বজায় রাখেননি অশ্বিন, ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল এমসিসি
আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তে দীনেশ কার্তিক এবং রবিন উথাপ্পারা রীতিমতো হকচকিয়ে যান। কেকেআরের অনান্য প্লেয়াররাও চলে আসেন আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে। তাঁরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। কারণ তাঁদের যুক্তি ছিল বলটি ডেড হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আম্পায়াররা বলেন যে না, খেলা চলছিল। এমনকী ডাগআউট থেকে উঠে বাউন্ডারি লাইন বরাবর চতুর্থ আম্পায়ারের কাছে ছুটে আসেন অশ্বিন। তিনিও বলেন যে, এটি ওভারথ্রো। যদিও শেষ পর্যন্ত আম্পায়াররা দীনেশকে বোঝান যে, তাঁদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। যদিও এই পাঁচ রানে কলকাতার জয়ের রাস্তায় কোনও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তাঁরা ২৮ রানেই ম্যাচ জিতে নেয়।