রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ হাসি হাসলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে সেই রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচেই অযাচিত বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন ক্যাপ্টেন কুল। ধরলেন রুদ্রমূর্তি। সেই কারণেই ম্যাচ ফি-র পঞ্চাশ শতাংশ জরিমানা করা হল ধোনিকে। মেজাজ হারান না ধোনি। এমনই মিথ ছিল বিশ্বক্রিকেটে। চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নিজের ঠাণ্ডা মেজাজ ধরে রাখেন তিনি। মাঝেমধ্যে বাইশগজে সতীর্থদের ভুলে অসন্তুষ্ট হলেও মাথা গরম? নৈব নৈব চ! সেই মিথই এবার ভেঙে গেল বৃহস্পতিবারের ম্যাচের পরে।
একটি নো বলকে কেন্দ্র করে আম্পায়ারের সঙ্গে রীতিমতো উত্তেজিত বাক্য বিনিময় শুরু করলেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক। শুধু তাই নয়, ধোনি নিজে মাঠে চলে এসেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ডাগ আউট থেকে সরাসরি মাঠে গিয়েই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন আম্পায়ার উল্লাস গাঁধীকে।
তারপরেই শুক্রবার বোর্ডের তরফে পাঠানো ইমেলে জানানো হয়, জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে খেলার সময়ে ধোনি আইপিএল-এর কোড অফ কন্ডাক্ট ভঙ্গ করেছেন। তাই শাস্তিস্বরূপ ধোনির ম্যাচ ফি-র পঞ্চাশ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। পুরো ঘটনার সূত্রপাত চেন্নাইয়ের রান তাড়া করার সময়। শেষ ৩ বলে চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮ রান। সেই সময়েই বেন স্টোকস কোমর সমান উচ্চতায় বল করেন। প্রথমে আম্পায়ার গাঁধী নো বল ডেকেছিলেন। তবে দ্বিতীয় আম্পায়ার ব্রুস অক্সেনফোর্ডের ইঙ্গিতে নো বলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন গাঁধী। এতেই ক্ষিপ্ত ধোনি সরাসরি মাঠে ঢুকে আম্পায়ারদের একহাত নেন। আম্পায়ার অক্সেনফোর্ডকে দেখা যায় ধোনিকে শান্ত করতে।
পরে যদিও স্যান্টনার দুরন্ত ছক্কা মেরে চেন্নাইয়ের জয় নিশ্চিত করেন, তবে বিতর্কের আগুন ততক্ষণে যা লাগার তা লেগে গিয়েছে। ধোনি নিজে চেন্নাইয়ের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। ২৪/৪ পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমে অম্বাতি রায়াড়ুর সঙ্গে ৯৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ধোনির ৪৩ বলে ৫৮ রানই পার্থক্য গড়ে দেয়। তবে ধোনি অভাবনীয়ভাবে নয়া বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন এই ম্যাচেই।