আইপিএলের ফাইনাল। সেদিনেই প্রকাশ্যে এল ক্রিকেটার ও তাঁর মায়ের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা। যা নিয়ে ফের একবার তোলপাড় ক্রিকেট মহল। মুম্বইয়ের ভিরার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হল বিনোদ ও তাঁর মা সঞ্জীবনী চৌগুলের মৃতদেহ। পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ দেনায় দায়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন মা ও পুত্র। গোটা দুনিয়া যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মাদার্স ডে পালনে ব্যস্ত। তখন ভারতীয় ক্রিকেটের কালো দিক তুলে ধরল এই মর্মান্তিক ঘটনা।
আরও পড়ুন
পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্ত চলছে। তবে দু-জনেই সম্ভবত বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার পরে সামান্য পার্ট টাইম জব করতেন। বেশ কিছু লোনের পাওনা মেটাতে পারছিলেন না আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত হওয়ার পরে। তাই মৃত্যুকেই বেছে নিয়েছেন দু-জনে। পুলিশের তরফে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, সকাল থেকেই মিসিং ছিলেন মা ও ছেলে। স্বামী পরিত্যক্তা ওই মহিলা ক্রিকেটার পুত্রের সঙ্গে ভাড়া করা ফ্ল্যাটে থাকতেন। বিনোদ নিজে পূর্ব ভিরারের সাইবা ক্রিকেট ক্লাবে খেলতেন।
আর ক্রিকেটারের এই মৃত্যুতেই উঠে আসছে দ্রাবিড়ের দূরদর্শিতা। জানুয়ারির শেষ দিকেই রাহুল দ্রাবিড় জানিয়েছিলেন ভয়াবহ সত্য। সেই সময়ে বোর্ডের কাছে উঠতি ক্রিকেটারদের স্কলারশিপের আর্জি জানিয়েছিলেন মহাতারকা। ভারতীয় ক্রিকেটের মিস্টার ওয়ালের যুক্তি ছিল, কোনও উঠতি ক্রিকেটার খেলোয়াড় হিসেবে ব্যর্থ হলে অনেক সময়েই তাঁর সামনে জীবিকা নির্বাহের আর কোনও পথ খোলা থাকে না। কারণ, অনেক সময়েই ক্রিকেটার হওয়ার তাগিদে বহু তরুণ নিজেদের শৈশব সঁপে দেন। প্রথাগত শিক্ষাকে অবহেলা করেন। তবে কোনও কারণে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলে বাকি জীবন দুঃসহভাবে কাটাতে হয়।
সেই সত্য কতটা বাস্তবসম্মত, তা প্রমাণ করতেই যেন এবার করুণ মৃত্যু উঠতি ক্রিকেটার ও তাঁর মায়ের। যা প্রকাশ্যে আসার পরেই চাঞ্চল্য গোটা দেশ জুড়ে। ঘটনাচক্রে, রবিবারেই আইপিএল ফাইনাল। তার আগেই ক্রিকেটারের এমন মৃত্যুতে টনক নড়বে বিসিসিআইয়ের, দেখা যাক!