সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বনাম রিকি পণ্টিং! দুই দেশের দুই প্রাক্তন অধিনায়কের কথা মাথায় এলেই স্মৃতিতে ভিড় করে বছর ১৬ আগের সেই জোহানেসবার্গের সেই সন্ধে। ২০০৩ সালের সেই ধুন্ধুমার দ্বৈরথে অবশ্য হতাশ হতে হয়েছিল বীরেন রায় রোডের বাঙালিকে। যাইহোক, অতীতের সেই যুদ্ধংদেহী মনোভাব সরিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রিকি পণ্টিং আপাতত আইপিএল গ্রহে সুখের সংসারে। ইন্দো-অজি কিংবদন্তির পার্টনারশিপে আপাতত দিল্লি চলতি টুর্নামেন্টে অপ্রতিরোধ্য। প্লে অফের টিকিট নিশ্চিত করে আপাতত ফাইনালে খেলার সুখস্বপ্নে বিভোর শ্রেয়স আইয়ার-ঋষভ পন্থরা।
আরও পড়ুন
এমন সময়েই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেটের হেড কোচ হিসেবে তদ্বির করলেন রিকি পণ্টিংয়ের নাম। সুকৌশলে। জাতীয় স্তরের এক প্রচারমাধ্যমে মহারাজ সাফ জানিয়ে দেন, "যদি যোগ্যতা বিচার্য হয়, তাহলে রিকি জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দারুণ ক্যান্ডিডেট হতে পারে।" দিল্লি ক্যাপিটালস চলতি টুর্নামেন্টে কার্যত তারকাখচিত। ক্রিকেটারদের স্কোয়াডে সেই অর্থে কোনও বড় নাম না থাকলেও কোচিং প্যানেলে একের পর এক নক্ষত্রের সমাবেশ। হেড কোচ রিকি পণ্টিংয়ের সঙ্গে সহকারী হিসেবে যুক্ত রয়েছেন মহম্মদ কাইফ। মেন্টর হিসেবে একমেবাদ্বিতীয়ম মহারাজ।
কিংবদন্তিদের রণকৌশলেই আইপিএল ইতিহাসে সবথেকে ভাল পারফর্ম করছে রাজধানী শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি। বুধবার ধোনি-মাহাত্ম্যের কাছে হেরে গেলেও দিল্লি প্লে অফে ওঠা আগেই নিশ্চিত করেছে। চেন্নাইয়ের সঙ্গে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করেছে শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজি। ১৩ ম্যাচের মধ্যে ৮টাতেই জিতেছে তারা।
আর দলের এমন পারফরম্যান্সের জন্য সিংহভাগ কৃতিত্বই প্রাপ্য সৌরভ-পণ্টিংয়ের। অস্ট্রেলীয়দের সঙ্গে খেলোয়াড়ি জীবনের পুরনো শত্রুতা ভুলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় তাই বলছেন, আমরা দারুণ বন্ধু। একটা সময় ছিল, যখন আমরা মাঠে পরস্পরের শত্রু ছিলাম। তবে তারপর থেকে আমাদের বন্ধুত্ব ক্রমশই বেড়েছে। ও ছেলেদের যে দারুণভাবে কোচিং করাচ্ছে, তা ফলাফলেই বোঝা যাচ্ছে।