Sunrisers Hydrabad Vs Chennai Super Kings Highlights: জয়ের জন্য সহজ টার্গেট ছিল সানরাইজার্সের কাছে ১৩২। ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো শুরুতে ঝড় তোলার পরে জয় নিয়ে সন্দেহ ছিল না হায়দরাবাদের। তবে কতক্ষণে জিতবে তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। শেষ পর্যন্ত হাতে ৬ উইকেট নিয়ে ৩ ওভার বাকি থাকতেই প্রয়োজনীয় রান স্কোরবোর্ডে তুলে নেয় হায়দরাবাদ। দুরন্ত ব্যাটিং করে যান ওয়ার্নার ও বেয়ারস্টো। ওয়ার্নার হাফসেঞ্চুরি করে আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে জয় ছিনিয়ে নেন বেয়ারস্টো। ম্যাচের সেরা তিনিই। বল হাতে সানরাইজার্সের হয়ে তার আগে দুরন্ত বল করে যান রশিদ।
Live IPL 2019: SRH vs CSK Playing 11 Highlights
এদিকে, টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধোনির পরিবর্তে এদিনের চেন্নাই নেতা রায়না। ভাল শুরু করে দিয়েছিলেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার- ডুপ্লেসিস ও ওয়াটসন। তবে সেই মঞ্চ গড়ে বড় রান তুলতে ব্যর্থ চেন্নাই। ৭৯-১ থেকে ১০১-৫। মাত্র ২২ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারানোই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াল চেন্নাইয়ের। গোটা ব্য়াটিং লাইনআপের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই যেন শেষ দিকে শোচনীয় ব্যাটিং করে গেলেন জাদেজা ও রায়ডু।
হায়দরাবাদকে ম্যাচে ফেরানোর নেপথ্যে সেই রশিদ। ৪ ওভারে ১৭ রান খরচ করে তুলে নেন ২ উইকেট। ক্রমাগত চাপ বজায় রেখে গিয়েছেন তিনি। রশিদদের দাপটের জন্যেই হায়দরাবাদের কাছে জয়ের সহজ টার্গেট ১৩৩।
ছক্কা মেরে ফিনিশ বেয়ারস্টোর। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে চেন্নাইকে হারাল সানরাইজার্স। দীপক হুডা আউট হয়ে গেলেও সানরাইজার্সকে জয়ের তীরে পৌঁছে দিলেন বেয়ারস্টো (অপরাজিত ৬১) এবং ইউসুফ পাঠান। চেন্নাইয়ের হার প্লে অফের আগে অ্য়ালার্ম বেল বাজিয়ে গেল ধোনিদের জন্য।
৩৯ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করে ফেললেন ইংরেজ উইকেটরক্ষক ব্য়াটসম্যান জনি বেয়ারস্টো। ক্রিজে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন দীপক হুডা। শেষ ৫ ওভারে সানরাইজার্সের প্রয়োজন ২৭ রান।
৭ রানে বিজয়শঙ্করকে ফিরিয়ে দিয়ে ফের ঝটকা ইমরান তাহিরের। তৃতীয় উইকেটের পতন সানরাইজার্সের।
জোড়া ছক্কা হজম করে ওভার শুরু করলেন করণ শর্মা। দিলেন ১৫ রান। ৩০ বলে ৪১ রানে ব্যাট করছেন বেয়ারস্টো
পরপর দু উইকেট হারানোর পরে হায়দরাবাদের রান তোলার গতি কিছুটা কমে গিয়েছে। ক্রিজে ব্যাট করছেন বেয়ারস্টো ও বিজয়শঙ্কর। ১০ ওভার শেষে স্কোর ৮৫-২। ৬০ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৪৭ রান।
খেলা জমে গেছে। ওয়ার্নার আউট হওয়ার পরে দ্বিতীয় উইকেটও দ্রুত হারাল হায়দরাবাদ। কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় আঘাত ইমরান তাহিরের। এই ম্যাচে কী ফিরে আসতে পারবে চেন্নাই
মেজাজে ব্যাট করছিলেন। মাত্র ২৪ বলেই অর্ধশতরান করে ফেলেছিলেন। তবে সেই ঝড় টিকল না। দীপক চাহারের বলেই ডুপ্লেসিসের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় অজি তারকার।
কতক্ষণ লাগবে চেন্নাইয়ের রান ছুঁয়ে ফেলতে! যেভাবে ঝড় তুলেছেন ওয়ার্নার, তাতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। তাহিরকে টানা তিনটে বাউন্ডারি মারলেন। ৫ ওভার শেষে ২১ বলে ৪২ রানে ব্যাট করছেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা ওপেনার। স্ট্রাইক রেট ২০০!
দুরন্ত শুরু সানরাইজার্সের। দুই ওপেনারই ছন্দে ব্যাট করছেন। জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড ওয়ার্নারের দাপটে হায়দরাবাদ ইতিমধ্যেই ৩ ওভারে তুলে ফেলেছে ৩২ রান।
চেন্নাইয়ের রানের গতিতে লাগাম পড়িয়ে ১৩২ রানে আটকে রাখল হায়দরাবাদ। জিততে হলে ১৩৩ করতে হবে হায়দরাবাদকে।
সদ্য় বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন। তারপরেই এদিন নিজের জাত চেনার মঞ্চ পেয়ে গিয়েছিলেন অম্বাতি রায়ডু। ক্রিজে সঙ্গী ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। দলের ভরাডুবির সামনে রায়ডুর অবদান ২১ বলে ২৫। স্ট্রাইকরেট সাকুল্যে ১১৭। নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদকে ব্যঙ্গ করে থ্রি-ডি চশমা কেনার কথাও বলেছেন। তবে রায়ডুকে বুঝতে হবে, মুখে নয়, তাঁকে প্রমাণ দিতে হবে ব্যাটেই। জাদেজাও তথৈবচ (২০ বলে ১০)।
কোনওরকমে ১০০ পেরোল চেন্নাই। তবে আরও একটি উইকেটের বিনিময়ে। এবার রানের খাতা খোলার আগেই আউট স্যাম বিলিংস। ঘাতক খলিল আহমেদ। চেন্নাই ১৫ ওভারে ১০২-৫
ফের রশিদ! ফের উইকেট। প্রথম ওভারে ডুপ্লেসিসদের সামনে খাপ খুলতে পারেননি। তবে দুর্দান্তভাবে প্রত্যাবর্তন আফগান স্পিনারের। এক ওভারে জোড়া উইকেট তাঁর। পরপর ফিরিয়ে দিলেন রায়না ও কেদার যাদবকে। একসময়ে বিনা উইকেটে ৭৮ ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই স্কোর আপাতত ৯৮-৪। ধোনি নেই। চেন্নাইয়ের এমন দুঃসময়ে কে ত্রাতা হন, সেটাই আপাতত দেখার।
আগের ম্যাচেই শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দিয়েছিলেন সুরেশ রায়না। এবার নেতা হিসেবে মাঠে নেমে রশিদের ভেলকিকতে শুরুতেই ফিরতে হল তারকাকে। ১৩ বলে ১৩ রান করে বিদায় রায়নার।লেগ বিফোর আউট তিনি। ডিআরএস নিয়েও বাঁচতে পারলেন না।
সদ্য বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে অনেক। তবে তিনি কতটা কার্যকরী, তা প্রমাণ করলেন প্রথম ওভারে বল করতে এসেই। ডুপ্লেসিসকে (৩১ বলে ৪৫) ফিরিয়ে দিলেন তিনি। অর্থাত পরপর দুওভারে ফিরে গেলেন সিএসকের দুই ওপেনার।
স্ট্রেটার মিস করে সোজা বোল্ড হলেন শেন ওয়াটসন (২৯ বলে ৩১)। শাহবাজ নাদিম হায়দরাবাদকে প্রথম ব্রেক থ্করু এনে দিলেন। সিএসকের প্রথম উইকেটের পতন।
বিশাল রান তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছেন সিএসকের দুই ওপেনার। ৯ ওভার শেষে চেন্নাই ইতিমধ্যেই স্কোরবোর্ডে ৭০ রান তুলে ফেলেছে। কোনও উইকেট না হারিয়ে। শাহবাজ নাদিম, রশিদ খানরা এসেও এই জুটিতে ভাঙন ধরাতে ব্য়র্থ। এটাই এই মরশুমে সিএসকে-র ওপেনিং জুটিতে ওঠা সবথেকে বড় রানের পার্টনারশিপ। ওয়াটসন (২৭ বলে ৩০) এবং ডুপ্লেসিস (২৭ বলে ৩৭) ছন্দে রয়েছেন।
প্রথম দু ওভারে খলিল আহমেদ মাত্র ৮ রান খরচ করেছিলেন। খলিলের তৃতীয় ওভারে ডুপ্লেসিস তুললেন ১৮ রান, একটা বিশাল ছক্কা ও বাউন্ডারি সমেত।
খলিল আহমেদ ও ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে বেঁধে রেখেছিলেন চেন্নাইয়ের তারকা ওপেনার জুটিকে। ৪ ওভার শেষে স্কোরবোর্ড ছিল ১৫-০। সেখান থেকে পঞ্চম ওভারে সন্দীপ শর্মার ওভার থেকে অস্ট্রেলীয় ও প্রোটিয়াজ ওপেনার জুটি তুলল ১৩ রান। জোড়া বাউন্ডারি হাকালেন ডুপ্লেসিস ও ওয়াটসন।
ওয়ার্নারের খুদে কন্যা যখন আইপিএল-ভক্ত
সতর্কভাবে শুরু চেন্নাইয়ের। ভুবনেশ্বর কুমার ও খলিল আহমেদ মোটামুটি টাইট বোলিং করে চলেছেন। ৩ ওভার শেষে সিএসকের স্কোর ৬ রান।
২০১৫ সাল থেকে হায়দরাবাদে হওয়া প্রতিটি ম্যাচের ইনিংসে গড়় টোটাল ১৫৮।
চেন্নাই সুপার কিংস- শেন ওয়াটসন, ফাফ ডুপ্লেসিস, সুরেশ রায়না, অম্বাতি রায়াডু, স্যাম বিলিংস, করণ শর্মা, কেদার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, দীপক চাহার, শার্দুল ঠাকুর, ইমরান তাহির
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ- ডেভিড ওয়ার্নার, জনি বেয়ারস্টো, কেন উইলিয়ামসন, বিজয়শঙ্কর, ইউসুফ পাঠান, দীপক হুডা, সন্দীপ শর্মা, রশিদ খান, ভুবনেশ্বর কুমার, খলিল আহমেদ, শাহবাজ নাদিম
নেই ধোনি। ধোনির পরিবর্তে চেন্নাইয়ে অধিনায়ক সুরেশ রায়না। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত চেন্নাইয়ের। এই নিয়ে চলতি আইপিএলে মোট চারজন অধিনায়ক টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সানরাইজার্সের গত সংস্করণের আইপিএলে চারবারই মুখোমুখি হয়েছে। প্রত্যেকবারেই পরাজয় বরণ করেছে হায়দরাবাদ। সব সংস্করণ মিলিয়ে ১০ বারের মুখোমুখি ফলাফলে ৮-২ এগিয়ে চেন্নাই।
পিচ- হায়দারাবাদ কোচ টম মুডির ধারণা, পিচ পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক। তবে এই মুহূর্তে হায়দারাবাদের তাপমাত্রা বেশ উষ্ণ।
সানরাইজার্স চলতি মরশুমে মোটেই ফর্মে নেই। তবে কার্যত অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলা চেন্নাইয়ের সমস্যা চোট আঘাত সংক্রান্ত। শেষ ম্যাচে চোটের কারণে হরভজন সিং কলকাতায় খেলেননি। ধোনির আবার পিঠে সামান্য টান লেগেছে।