New Update
IPL 2019 SRH vs KKR Highlights in Bengali: ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো ঝড়ে কেকেআরের টানা পঞ্চম হার
SRH vs KKR 2019 Match Highlights: বেয়ারস্টো ও ওয়ার্নারের ওপেনিং জুটির দাপটে কেকেআর টানা পাঁচ নম্বর হার হজম করল। বোলিং, ব্যাটিং হোক বা ফিল্ডিং কেকেআর ব্যর্থ সব বিভাগেই। প্লে অফে ওঠার আশা কার্যত শেষ কেকেআরের।
Advertisment
এদিন ৬৮ রান করায় ওয়ার্নারের ৫০০ রান পূর্ণ হয়ে গেল চলতি আইপিএলে। হায়দরাবাদের হয়ে যে মরসুমেই খেলেছেন ওয়ার্নার, সেই মরসুমেই ৫০০ রান করেছেন অস্ট্রেলীয়! ধারাবাহিকতা বোধহয় একেই বলে
বেশিক্ষণ অপেক্ষা করালেন না দর্শকদের। ১৫ নম্বর ওভারে পীযূষ চাওলাকে পিটিয়ে ছাতু করে জয় এনে দিলেন বেয়ারস্টো। দুটো ছক্কা এবং একটা বাউন্ডারির সৌজন্যে হায়দরাবাদ সেই ওভারে তুলল মোট ১৯ রান। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৫ ওভার বাকি থাকতেই সহজ জয় সানরাইজার্সের। বেয়ারস্টো শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৪৩ বলে ৮০ রানে। কেন উইলিয়ামসন (৯ বলে ৮ রান)।
অবশেষে আউট ওয়ার্নার। কেকেআরকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিলেন এদিনই আইপিএলে অভিষেক হওয়া পৃথ্বী রাজ। ক্লিন বোল্ড করে দিলেন অস্ট্রেলীয় তারকাকে। ৩৮ বলে ৬৭ রান করে বিদায় ওয়ার্নারের।
প্রায় হাফডজন বোলারদের আজ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করলেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। কিন্তু কোনও বোলারই ইংরেজ-অস্ট্রেলীয় জুটিকে সমস্যায় ফেলতে পারল না। কার্যত বিনা বাধায় মনের সুখে ব্যাট করে চলেছেন ওর্য়ানার-বেয়ারস্টো। পাশাপাশি যোগ হয়েছে জঘন্য ফিল্ডিং। বেয়ারস্টো তিনবার বাঁচলেন ক্যাচ তুলে। সবমিলিয়ে কেকেআরের সমস্যা চলেছেই।
উপ্পল মাতাচ্ছেন বেয়ারস্টো-ওয়ার্নার জুটি। হায়দরাবাদের জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। দুই ওপেনারই তুখোড় ছন্দে ব্যাট করছেন। এক সঙ্গে দুইজনেই ব্যক্তিগত অর্ধশতরান করে ফেললেন। জুটি হিসেবেও সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়লেন। পাশাপাশি দলকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দিলেন। সবমিলিয়ে কমলা গ্যালারিতে ও-য়া-র্না-র, ও-য়া-র্না-র শব্দব্রহ্ম।
ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো ফের একবার অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেললেন। সাবলীল গতিতে রান তুলছেন ইংরেজ, অস্ট্রেলীয় জুটি। ৬ ওভার শেষে হায়দরাবাদ ৭২। ওয়ার্নার (২১ বলে ৪৩) এবং বেয়ারস্টো (১৫ বলে ২৫) রানে ব্যাট করছেন। নারিন হোক বা গার্নি কার্যত কোনও কেকেআর বোলারই প্রভাব ফেলতে পারছে না। এই নিয়ে চলতি আইপিএলে সপ্তম অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেললেন দুজনে।
হায়দরাবাদের হয়ে ওপেন করছেন জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড ওয়ার্নার। হ্যারি গার্নি প্রথম ওভারে মাত্র ৬ রান দিলেও পৃথ্বী রাজ দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে খরচ করলেন ১৬ রান। ২ ওভার শেষে সানরাইজার্সের স্কোর ২২ রান।
স্কোরবোর্ডে ১৫৯ তুলল কেকেআর। হায়দরাবাদের কাছে টার্গেট ১৬০ রানের। রশিদ খানের শেষ ওভারে উঠল ১৩ রান। তার মধ্যে আউট হয়ে গেলেন পীযূষ চাওলা। সবমিলিয়ে হায়দারাবাদের সামনে ভদ্রস্থ টার্গেট যে খাড়া করল কেকেআর, তার নেপথ্যে লিন। অস্ট্রেলীয় তারকা ক্রিজের একপ্রান্ত আটকে না রাখলে কেকেআর এই রানে পৌঁছতো কিনা সন্দেহ!
দানবীয় ব্যাটিং শুরু করেছিলেন রাসেল। ভুবনেশ্বর কুমারের ওভারে দুটো ছক্কা হাকিয়ে ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে সেই ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। ১৮ তম ওভারের পঞ্চম বলে লো ফুলটসে ছক্কা হাকাতে গিয়েই আউট রাসেল। স্কোয়্যার লেগে ক্যাচ তুলে বিদায় তারকার। তার আগে পীযূষ চাওলা টানা এক ওভার নষ্ট করলেন।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শিট অ্যাঙ্করের ভূমিকায় নেমে সফল লিন। একপ্রান্তে যখন ক্রমশ উইকেটের পতন অব্যাহত। তখন অন্যপ্রান্ত একা ধরে রেখেছিলেন লিন। ৪৪ বলে ৫১ রান করে আউট হয়ে গেলেন লিন। ঘাতক সেই খলিল আহমেদ। কেকেআর ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে সফল তিনি। ১৭ ওভার শেষে কেকেআর ১৩১-৬।
সন্দীপ শর্মার বলে রিঙ্কু সিং আউট হওয়ার পরে এবার ক্রিজে রাসেল। হাতে ৪ ওভার এর মধ্যে রাসেল কতটা ঝড় তোলেন, সেটাই দেখার।
স্মার্ট ক্যাপ্টেন্সি বোধহয় একেই বলে! আন্দ্রে রাসেল ক্রিজে আসার আগেই খলিল আহমেদের ওভারের কোটা শেষ করে ফেলতে চাইছেন উইলিয়ামসন। ক্রিজে এসে তাণ্ডব শুরু করে দেবেন রাসেল, তারই আগাম প্রচেষ্টা আর কী! পাশাপাশি রিঙ্কু সিংয়ের ড্রপ ক্যাচ হায়দরাবাদের পক্ষেই গিয়েছে। কারণ, রাসেল ক্রিজে আসা মানেই...
কেন উইলিয়ামসন অধিনায়ক হিসেবে চমকে দিলেন উপ্পল স্টেডিয়ামে। কেকেআরের ক্রমাগত উইকেট পতন যেখানে অব্যাহত, তখন দলের সেরা অস্ত্র রশিদ খানকে বোলিং ক্রিজে ডাকেননি। অধিনায়ক উইলিয়ামসন দশম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে আনলেন রশিদ খানকে। এর অর্থ ডেথ ওভারের জন্য সেরা তারকাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন উইলিয়ামসন। সবমিলিয়ে বেশ দারুণ চাল
রানা, নারিনদের আউটের পরে অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের উপর তাকিয়ে ছিলেন কেকেআর সমর্থকরা। তবে ক্য়াপ্টেনের ব্যাড প্যাচ অব্যাহত। লিনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে এবার আউট তিনি। যেভাবে আউট হলেন, তাতে বলা চলে নিজের উইকেট কার্যত ছুঁড়ে দিয়ে এলেন। মাস্ট উইন ম্যাচে কেকেআর ৯ ওভার শেষে ৭৫-৪।
বিস্ফোরক শুরুয়াত করেছিলেন নারিন-লিন। তবে সেই ঝড় থামতেই পরপর উইকেট পতন। আগের ম্যাচের দুর্ধর্ষ খেলা নীতিশ রানা এবার ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট। উইকেটরক্ষক বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় রানার। লিন একপ্রান্তে টিকে গেলেও অন্যপ্রান্তে উইকেট পতন অব্যাহত। স্কোরবোর্ডে বড় রান তুলতে হলে অবশ্যই একটি জুটি গড়তে হবে।
বেশিক্ষণ টিকলেন না শুবমান গিলও। খলিল আহমেদ দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নিলেন তরুণ তুর্কিকে। বেশ কয়েকটা ম্যাচে ঝলক দেখালেও শুবমান মোটেই ধারাবাহিক নন। জাতীয় দল যদি লক্ষ্য হয় তরুণ নাইটকে আরও দায়িত্ব নিয়ে ব্য়াট করতে হবে নিঃসন্দেহে।
মিডলস্ট্যাম্প ছিটকে দিলেন খলিল। হায়দরাবাদের বোলারদের উপরে রোলার চালাচ্ছিলেন নারিন। তবে সেই বিস্ফোরক ইনিংস বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। খলিলের বলে আউট নারিন (৮ বলে ২৫)
নারিন, লিনের ওপেনিং পার্টনারশিপ যে আগুন জ্বালাতে এসেছে মাঠে, তা স্পষ্ট। ভুবনেশ্বর কুমার ও শাহবাজ নাদিমের প্রথম ২ ওভার শেষেই কেকেআর ২৮ রান। ক্রিস লিন ও নারিন দুজনেই বিধ্বংসী মেজাজে।
কার মুখে শেষ পর্যন্ত হাসি থাকবে!
টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত সানরাইজার্সের।
আগের ম্যাচের খলনায়ক রবিন উত্থাপ্পাকে বাদ দিয়েই দল গড়েছে কেকেআর। ব্যাট হাতে আরসিবির বিরুদ্ধে শোচনীয় পারফর্ম করেছিলেন। এমনকি আন্দ্রে রাসেলও সোচ্চার হয়েছিলেন। তারপরে কর্ণাটকীকে বাদ দিয়েই হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কেকেআর একাদশ গড়া হল। পাশাপাশি প্রথম একাদশের বাইরে রাখা হয়েছে কুলদীপ যাদব ও প্রসিধ কৃষ্ণকেও। দলে অন্তর্ভূক্তি কেসি কারিয়াপ্পা, রিঙ্কু সিং এবং পৃথ্বী রাজের।
কেকেআরঃ ক্রিস লিন, শুবমান গিল, নীতিশ রানা, সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, দীনেশ কার্তিক, রিঙ্কু সিং, পীযূষ চাওলা, কেসি কারিয়াপ্পা, হ্যারি গার্নি, পৃথ্বী রাজ
সানরাইজার্সঃ ডেভিড ওয়ার্নার, জনি বেয়ারস্টো, কেন উইলিয়ামসন, বিজয়শঙ্কর, দীপক হুদা, ইউসুফ পাঠান রশিদ খান, ভুবনেশ্বর কুমার, সন্দীপ শর্মা, শাহবাজ নাদিম এবং খলিল আহমেদ