/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/11/1-67_copy_759x422.jpg)
চূড়ান্ত হতাশায় শেষ হল আরসিবির আইপিএল অভিযান। প্লে অফে উঠলেও সানরাইজার্সের কাছে হেরে বিদায় নিতে হল তারকা খচিত একাদশকে। অন্যবারের মতোই।
শুক্রবার আবু ধাবি-তে হায়দরাবাদের কাছে ছয় উইকেটে হেরে বিদায় নিয়েছে আরসিবি। এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ হারল কোহলি এন্ড কোং। টুর্নামেন্টের শুরুতে প্রথম ১০ ম্যাচের ৭টিতেই জিতেছিল কোহলিরা। শুরুতে আশা জাগালেও পরে শুরু হয় হারের স্রোত। তাতে ফুলস্টপ পড়ল বিদায়ের মাধ্যমে।
আরো পড়ুন: বিরাটকে বাদ দাও, আরসিবিকে বিস্ফোরক পরামর্শ গম্ভীরের
ইতিমধ্যেই কোহলিকে সরানোর দাবি উঠে গিয়েছে আরসিবি থেকে। গম্ভীর তো সরাসরি জানিয়েই দিয়েছেন, যে ক্যাপ্টেন আট বছর ট্রফি দিতে পারে না, সাফল্য খুঁজতে হলে তাঁকে সরাতেই হবে। সমালোচনায় সরব হয়েছেন সুনীল গাভাসকারও।
ঘটনা হল কোহলিকে সত্যি সরিয়ে দিল আরসিবির নেতৃত্বের দায়ভার কারা পেতে পারেন, তারই তিনজন অপশন রয়েছে-
ফিঞ্চ: ব্যাট হাতে একদমই খেলতে পারেননি এবার। ১১ ম্যাচে করেছেন মাত্র ২৩৬ রান। তার পরে বসিয়েও দেওয়া হয়েছিল প্রথম একাদশ থেকে। এলিমিনেটর ম্যাচে ব্যাট হাতে অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ ৩০ বলে ৩২ করে যান। তবে ভুললে চলবে না, ফিঞ্চ কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন।
এর আগে আইপিএলে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। যদি আরো এক মরশুম আরসিবি ফিঞ্চকে ধরে রাখতে চায়, ক্যাপ্টেনশিপের দায়িত্ব দিতেই পারে। ফিঞ্চের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ২১ টি ওডিআই এবং ১৯টি টি২০ জিতেছে। গত বছর বিশ্বকাপের সেমিতেও অজিরা উঠেছিল ফিঞ্চের অধিনায়কত্বে। ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের ক্রিকেট সিরিজে ফিঞ্চ দেশকে ৩-২ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। ফিঞ্চের নেতৃত্বের এই গুণ সম্ভবত অস্বীকার করতে পারবে না আরসিবি।
এবি ডিভিলিয়ার্স: ২০১১ সাল থেকে দলের সঙ্গে রয়েছেন। দলের সুপারস্টার হওয়া সত্ত্বেও এবি ডিভিলিয়ার্স কখনো আরসিবি দলের নেতৃত্ব দেননি। দলের লিডারশিপ গ্রুপেও কখনও ছিলেন না। ২০১৮, ২০১৯-এ পার্থিব প্যাটেল ছিলেন কোহলির ডেপুটি। চলতি মরশুমে ভাইস ক্যাপ্টেনের নাম ঘোষণা করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
কোহলি যুগের অবসান ঘটলে ডিভিলিয়ার্স দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যে এক নম্বর পছন্দ হবেন, তা এখন থেকেই বলে দেওয়া যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বেশ কিছুদিন আগে অবসর নিয়েছেন। বিশ্বের সমস্ত টি২০ ক্রিকেটেও অংশ নেন না। দল গোছানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন তিনি।
মঈন আলি: সম্ভাব্য নেতৃত্বের তালিকায় 'সারপ্রাইজ নেম'। টি২০ স্পেশালিস্ট হিসাবে নিজের আলাদা পরিচয় রয়েছে। ১৬৭ টি২০ খেলে ৩৫১৩ রান করেছেন। নামের পাশে রয়েছে ১১০টি উইকেটও। টি২০ স্কোয়াডে অপরিহার্য ইংলিশ তারকা। ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের সহ অধিনায়ক হয়েছেন। একটি টি২০তে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। চলতি মরশুমে প্রথম একাদশে অবশ্য অটোমেটিক চয়েস ছিলেন না। তবে ২০১৯-এ ১১টি ম্যাচ খেলেছিলেন। তখন ২২০ রান করার সঙ্গে ৬টা উইকেটও নেন।
এর আগে একাধিক আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সবাইকে অবাক করেই। কোহলিকে সরিয়ে দিলে তা সবথেকে চমকের হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন