/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/11/AI_8559_copy_759x422.jpeg)
শেষ হয়ে গেল আইপিএল। প্লে অফের সব দল চূড়ান্ত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে একদম শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। মরশুম শেষ হওয়ার আগেই সব দলের চিন্তায় ঢুকে পড়েছে আসন্ন মরশুমের দল গঠন নিয়ে। সবাই অপেক্ষায় নিলামের। নিলাম অনুষ্ঠিত হবে কিনা, তা এখনো চূড়ান্ত নয়। তবে নিলাম হলে এবারের আইপিএলের পারফরম্যান্সের পর পাঁচ ক্রিকেটারকে নিয়ে টেবিলে ঝড় ওঠার সম্ভবনা। দেখা যাক তাঁরা কারা-
১) সূর্যকুমার যাদব: স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন মুম্বইকর। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম বড় ফ্যাক্টর হয়ে ধরা দিয়েছেন তিনি। সূর্যকুমারের শটের রেঞ্জ প্রতিপক্ষ দলের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলকে নিয়মিত ম্যাচ জেতানো ছাড়াও ব্যাট হাতে অনবদ্য ধারাবাহিকতা দেখিয়ে চলেছেন তিনি। ১৩ ম্যাচে ১৫৩.২৭ স্ট্রাইক রেটে ৩৭৪ রান করেছেন তিনি হিসেবে আইপিএলে ১৯২২ রান করে ফেলেছেম ইতিমধ্যেই। এমন নজির আর কারোর নেই। সূর্যকুমারকে মুম্বই রিলিজ করার সম্ভাবনা প্রায় নেই, তবে যদি রিলিজও করে দেওয়া হয়, তাহলে বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিরা মুম্বইয়ের এই ব্যাটসম্যানের জন্য যে ঝাঁপাবে, তা বলাই বাহুল্যস্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন মুম্বইকর।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম বড় ফ্যাক্টর হয়ে ধরা দিয়েছেন তিনি। সূর্যকুমারের শটের রেঞ্জ প্রতিপক্ষ দলের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলকে নিয়মিত ম্যাচ জেতানো ছাড়াও ব্যাট হাতে অনবদ্য ধারাবাহিকতা দেখিয়ে চলেছেন তিনি। ১৩ ম্যাচে ১৫৩.২৭ স্ট্রাইক রেটে ৩৭৪ রান করেছেন তিনি(প্লে অফের আগের পরিসংখ্যান)। জাতীয় দলে অভিষেক না হওয়া কোনো ক্রিকেটার স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন মুম্বইকর। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম বড় ফ্যাক্টর হয়ে ধরা দিয়েছেন তিনি। সূর্যকুমারের শটের রেঞ্জ প্রতিপক্ষ দলের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলকে নিয়মিত ম্যাচ জেতানো ছাড়াও ব্যাট হাতে অনবদ্য ধারাবাহিকতা দেখিয়ে চলেছেন তিনি। ১৩ ম্যাচে ১৫৩.২৭ স্ট্রাইক রেটে ৩৭৪ রান করেছেন তিনি। জাতীয় দলে না খেলা এই ক্রিকেটার আইপিএলে ১৯২২ রান করে ফেলেছেম ইতিমধ্যেই। এমন নজির আর কারোর নেই। সূর্যকুমারকে মুম্বই রিলিজ করার সম্ভাবনা প্রায় নেই, তবে যদি রিলিজও করে দেওয়া হয়, তাহলে বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিরা মুম্বইয়ের এই ব্যাটসম্যানের জন্য যে ঝাঁপাবে, তা বলাই বাহুল্য। আইপিএলে ১৯২২ রান করে ফেলেছেম ইতিমধ্যেই। এমন নজির আর কারোর নেই। সূর্যকুমারকে মুম্বই রিলিজ করার সম্ভাবনা প্রায় নেই, তবে যদি রিলিজও করে দেওয়া হয়, তাহলে বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিরা মুম্বইয়ের এই ব্যাটসম্যানের জন্য যে ঝাঁপাবে, তা বলাই বাহুল্য।
আরো পড়ুন: একেই বলে টিমম্যান! নিজের উইকেট দিয়েও বাঁচালেন রোহিতের ‘জীবন’, অবাক কীর্তি সূর্য-র
২) দেবদূত পাডিক্কল: এবারেই আইপিএলে অভিষেক ঘটল দেবদূত পাডিক্কালের। আগে স্কোয়াডে থেকে দলের বিপর্যয় বারেবারে প্রত্যক্ষ করেছেন। আরসিবিকে প্লে অফে তোলার পিছনে পাডিক্কালের ভূমিকা অনেকটা। রয়্যালসদের জার্সিতে পাডিক্কাল ১৩ ম্যাচে ৪২২ রান সংগ্ৰহ করেছেন। বিরাট কোহলি বাদে আরসিবি-তে এত রান কেউ করতে পারেননি। আইপিএলের প্রথম চার ম্যাচে তিনটে ফিফটি করেন। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এমন নজির আর কারোর নেই। পাশাপাশি টি২০ ক্রিকেটেও পাডিক্কালের রান সংখ্যা ১০০০ পেরিয়ে গিয়েছে। টি২০ দ্রুততম ১০০০ রান করার নজিরে ভেঙে দিয়েছেন শচীন তেন্ডুলকরের মত মহারথীর রেকর্ড। শচীন যেখানে ১০০০ রান করতে ৩১ ম্যাচ নিয়েছিলেন পাডিক্কাল নেন মাত্র ২৫ ম্যাচ। সবমিলিয়ে দ্রুততম দের তালিকায় পাডিক্কাল এখন চতুর্থ স্থানে। সামনে কেবল- ব্র্যাড হগ, ম্যাথু হেডেন এবং শন মার্শ।
৩) বরুণ চক্রবর্তী: গতবারের নিলামে বরুণ চক্রবর্তীকে রিলিজ করে দেয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। কিংসরা নিশ্চয় এখন হাত কামড়াচ্ছেন। কেকেআরের হয়ে চলতি মরশুমে দুরন্ত পারফরম্যান্স মেলে ধরেছেন তিনি। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে চলতি টুর্নামেন্টে প্রথমবার পাঁচ উইকেটের কৃতিত্ব অর্জন করেন। ১৩ ম্যাচে ৬.৮৪ ইকোনমি রেটে ১৭টি উইকেট দখল করেন তিনি। দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে অস্ট্রেলিয়াগামী দলের টি২০ স্কোয়াডেও সুযোগ দেওয়া হয়েছে মিস্ট্রি এই স্পিনারকে।
৪) রুতুরাজ গায়কোয়াড: সিএসকের চলতি মরশুমের একমাত্র আসার আলো। গোটা দল ফ্লপ। একাই সেখানে নজর কাড়লেন শেষ বেলায় নেমে। প্রথম তিন ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৫ রান (০, ৫, ০)। তারপর একদম শেষবেলায় তিনটে ম্যাচে সুযোগ পান। তিনটি ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি করে যান। প্রত্যেক ম্যাচেই জয় পায় সিএসকে। জাতীয় দলে না খেলা প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা তিনটে আইপিএল ফিফটি করার কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। সিএসকের দলে আগামী মরশুমেও থাকছেন তিনি। তবে কোনো কারণে রিলিজ করে দেওয়া হলে, বাকি দলগুলো নিলামের টেবিলে ঝড় তুলবেই রুতুরাজকে পাওয়ার জন্য।
৫) ক্রিস গেইল: প্রথম পর্বে একদমই প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পাননি। তবে শেষদিকে নেমে মাতিয়ে দিয়ে গেলেন দ্য ইউনিভার্সাল বস ক্রিস গেইলের। সাত ম্যাচে তিনটে ফিফটি সহ ২৮৮ রান করেন তিনি। এর মধ্যে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে মাত্র ১ রানের জন্য শতরানও মিস করেন।
গেইল ছাড়া প্রথম ছয় ম্যাচে মাত্র ১ জয় হাসিল করতে পেরেছিল কিংসরা। তবে গেইলকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্তির পরে শেষ সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই জেতে তারা। এতেই প্রমাণিত কতটা প্রভাবশালী ক্রিকেটার গেইল। নিলামে গত কয়েক মরশুম ধরেই গেইল প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছেন। তবে এবারের পারফরম্যান্সের পর গেইলকে পেতে উদগ্রীব থাকবে সব দল। অবশ্যই যদি তিনি খেলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন