Advertisment

অষ্টমীর সন্ধ্যায় দিল্লি দখল কেকেআরের, প্লে অফ প্রায় চূড়ান্ত

দিল্লির বিরুদ্ধে কেকেআর জয় পেলেই প্লে অফ খেলার সমীকরণ অনেকটাই সহজ করে ফেলত। এদিন অর্ধশতরান করেন নীতিশ রানা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ব্যাটে রানা-নারিনের তান্ডব। বলে বরুণ-কামিন্সের পার্টনারশিপ। এই জোড়া বিষয়ে ভর করে দিল্লিকে ৯০ রানে হারিয়ে প্লে অফের দরজা প্রায় খুলে ফেলল কেকেআর। টার্গেট ছিল পাহাড় প্রমাণ ১৯৫। কেকেআরের বিশাল টার্গেটের সামনে দিল্লি ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৫ রানেই গুটিয়ে গেল। কেকেআরের জয় এল ৬০ রানে। কেকেআরের জয়ে এদিন নায়ক নীতিশ রানা, শুভমান গিলের ম্যাচ ঘোরানো পার্টনারশিপ এবং বরুণ চক্রবর্তীর বোলিং। রানা-নারিন মিলে স্কোরবোর্ডে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ করে যান কঠিন সময়ে। পরে বল হাতে ভেলকি দেখান বরুণ। একাই দখল করেন ৫ উইকেট। কামিন্সের সংগ্রহে ৩ উইকেট।

Advertisment

কেকেআরের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে এদিন দিল্লি শুরুতেই বেলাইন হয়ে যায় প্যাট কামিন্সের বোলিংয়ে। ইনিংসের শুরুর বলেই রাহানেকে ফিরিয়ে দেন অজি পেসার। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে প্যাভিলিয়নে পাঠান আগের দুই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করে আসা ধাওয়ানকে (৬)। শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারানোর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দিল্লি। মাঝে শ্রেয়স আইয়ার (৪৭) এবং ঋষভ পন্থ (২৭) ৬৩ রানের পার্টনারশিপে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও বরুণ চক্রবর্তী ফেরত পাঠান দুজনকেই। এরপরে বরুণের ঘূর্ণিতে আউট হন আরো তিনজন।

তার আগে টসে জিতে এদিন দিল্লি ক্যাপিটালস ব্যাট করতে পাঠায় কেকেআরকে। এই সিদ্ধান্ত যে এভাবে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে, তা ভাবতে পারেনি দিল্লি। কেকেআরের শুরুটা এদিন বেশ খারাপ হয়েছিল। সমর্থকদের মধ্যে তখনই আশঙ্কা শুরু হয়ে গিয়েছিল, প্লে অফের ওঠার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও বোধহয় সেই খলনায়ক হতে চলেছে কেকেআরের চলতি টুর্নামেন্টের কুখ্যাত ব্যাটিং।

নর্তজে, রাবাদাদের পেসের সামনে কেকেআর স্কোরবোর্ডে হাফসেঞ্চুরি করার আগেই খুইয়ে ফেলেছিল তিন তিনটে উইকেট। নর্তজে ফেরান শুভমান (৯) এবং রাহুল ত্রিপাঠিকে (১৩)। রাবাদার বলে উইকেটকিপার পন্থের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন দীনেশ কার্তিকও।

কেকেআর ব্যাটিংয়ে যখন থরহরি কম্পমান দশা, তখনই ইনিংসের হাল ধরেন নীতিশ রানা এবং সুনীল নারিন। দুজনে স্কোরবোর্ডে পঞ্চম উইকেটে যোগ করে যান ১১৫ রান। খেলার মোড় ঘোরানো বিষয় এই পার্টনারশিপই। ৪২-৩ থেকে সুনীল নারিন যখন আউট হন তখন স্কোরবোর্ডে ১৫৭-৪। শেষদিকে মর্গ্যানের জোড়া ওভার বাউন্ডারি এবং একটা বাউন্ডারির সাহায্যে ৯ বলে ১৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস ১৯৪ অবধি টেনে নিয়ে যায় কেকেআরের স্কোর।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

আরো পড়ুন: এটাই শেষ আইপিএল, সিএসকে ছিটকে যাওয়ার দিনেই ইঙ্গিত দিলেন ধোনি

KKR IPL
Advertisment