মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলার আগে আইপিএল মাতিয়েছেন কেকেআরের জার্সিতে। এবার মুম্বই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সমস্ত রথী-মহারথীদের টপকে আলোচনায় উঠে এসেছেন সূর্যকুমার যাদব। কেকেআরকে দু-বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করা নেতা গৌতম গম্ভীর তাই মনে করছেন, সূর্যকুমার যাদবকে ছেড়ে মারাত্মক ভুল করেছে কেকেআর। গম্ভীর জানান, সূর্যকুমারের মধ্যে নেতৃত্বের দক্ষতাও রয়েছে। এই কারণে কেকেআরে তাঁর সময়ে সহ অধিনায়ক ও করা হয়েছিল তাঁকে।
ক্রিকইনফো-র সঙ্গে লাইভ চ্যাট শো-এ গম্ভীর জানিয়েছেন, "বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজির সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা হওয়া উচিত। সূর্যকুমারকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এমনি এমনি নেয়নি। কেকেআরের ১৩ বছরের আইপিএল ইতিহাসে এটাই সম্ভবত সবথেকে বড় ভুল সিদ্ধান্ত ওকে ছেড়ে দেওয়া।"
আরো পড়ুন: একেই বলে টিমম্যান! নিজের উইকেট দিয়েও বাঁচালেন রোহিতের ‘জীবন’, অবাক কীর্তি সূর্য-র
গম্ভীর আরো বলেছেন, "সূর্যকুমারের মত একজন তরুণ কেকেআরে চার বছর খেলল। সেই সময়ে হয়ত পছন্দের ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাট করতে পারেনি। কারণ সেই সময় আমাদের ব্যাটিং লাইন আপ সেট ছিল। মনীশ পাণ্ডে তিন নম্বরে খেলত। সূর্য নামত ৬ অথবা ৭-এ। তবে সূর্যকে আরো সময় দিতে পারত কেকেআর। ও-ই আমার অধিনায়কত্বের সময় ভাইস ক্যাপ্টেন ছিল। তাই একটা রূপান্তর পর্ব তৈরিই ছিল। ওর মধ্যে নেতৃত্বের সহজাত প্রবণতা ছিল।"
সূর্যকুমারের চরিত্রের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ বাঁ হাতি তারকা। জানিয়েছেন, "একদম আদ্যন্ত টিমম্যান। যেকোনো নম্বরে ব্যাট করতে প্রস্তুত থাকত। ও হয়ত তিন নম্বরে নামতে চাইত। তবে কোনোদিন আপত্তি করেনি। এমন স্বার্থত্যাগহীন ক্রিকেটার প্রয়োজন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে এই সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছে সযত্নে। সূর্যকুমারকে যেতে দিয়ে সবথেকে বড় ভুল করেছে কেকেআর।"
২০১৮ সালে মুম্বই স্কোয়াডে যোগ দেন সূর্যকুমার যাদব। তার আগে টানা চার বছর কেকেআর স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। কেকেআর সেভাবে নজর না কাড়তে পারলেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে প্রতি মরশুমেই ঝকঝক করছেন তিনি। দলের সম্পদ হয়ে উঠেছেন।
মুম্বইয়ের জার্সিতে প্রথম মরশুমেই ৫১২ রান করেছিলেন। তার পরের মরশুমে সূর্যের ব্যাট থেকে বেরোয় ৪২৪ রান। চলতি মরশুমে মুম্বইকে চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম কারিগর তিনি। চ্যাম্পিয়ন দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ১৫ ইনিংসে সূর্যকুমার এবার ৪০ গড় নিয়ে করেছেন ৪৮০ রান। এর মধ্যে চারটে হাফসেঞ্চুরিও রয়েছে।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন