সানরাইজার্সকে হারিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ে ফিরল কেকেআর। হায়দরাবাদের ১৪৩ রানের টার্গেট হেসেখেলে দু ওভার বাকি থাকতেই কেকেআর তুলে দেয়। তাও আবার ৭ উইকেট হাতে নিয়ে।
কেকেআরকে এদিন সহজ জয় এনে দেন শুভমান গিল। কেকেআরের তরুণ তুর্কি ৬২ বলে ৭০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে যান। তাঁর ইনিংস সাজানো ৫টা বাউন্ডারি ও ২টো পেল্লায় ওভার বাউন্ডারিতে।
প্রথম ম্যাচে ছন্নছাড়া বোলিং ভুগিয়েছিল কেকেয়ারকে। এদিন যেন অন্য কেকেআর। কামিন্স থেকে নারিন সকলেই বল হাতে হায়দরাবাদকে নিয়ন্ত্রণে রাখলেন। মুম্বই ম্যাচে কামিন্সের পারফরম্যান্স সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছিল। এদিন পুরোনো ফর্মে ফিরলেন অজি বোলার। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করে তুলে নেন বেয়ারস্টোর উইকেট। কেকেআরের সেরা বোলার তিনিই।
হায়দরাবাদ যে এদিন ব্যাটিংয়ে সেভাবে দাগ কাটতে পারল না তার জন্য পুরো কৃতিত্বই কেকেআর বোলারদের। ডেভিড ওয়ার্নার (৩০ বলে ৩৬), ঋদ্ধিমান সাহা (৩১ বলে ৩০) ব্যাটে কিছুটা রান পেলেন। হায়দরাবাদকে এদিন টানলেন মনীশ পান্ডে। ৩৮ বলে ৫১ করে যান তিনি।
ওভার পিছু সাতের কিছু বেশি টার্গেট তাড়া করতে নেমে সমস্যা হয়নি হায়দরাবাদের। সুনীল নারিন দ্বিতীয় ওভারেই খলিল আহমেদের বলে ফেরার পর নীতিশ রানাকে সঙ্গে নিয়ে টানতে থাকেন গিল। দলগত হাফসেঞ্চুরির কিছু আগেই রানাকে ব্যক্তিগত ২৬ রানে ফেরান নটরাজন। ক্রিজে নেমে রানের খাতা খোলার আগে আউট হয়ে যান কার্তিকও।
৫৩/৩ হয়ে যাওয়ার পর বেশ সমস্যায় পড়ে যায় কেকেআর। তবে গিল ও মর্গ্যান অবিচ্ছেদ্য ৯২ রানের পার্টনারশিপে দলের জয় নিশ্চিত করেন। মর্গ্যান ২৯ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন। নিজের ইনিংসে ৩টে বাউন্ডারির পাশাপাশি ২ টো ওভার বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি।
আরও পড়ুন: শিরোনামে আসতেই কি গাভাস্কারকে ‘অপমান’ অনুষ্কার, প্রশ্ন তুলে দিয়ে টুইট পাঠানের
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন