সুরেশ রায়না হঠাৎ আইপিএল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল সিএসকে। শেষ দশ মরশুম ধরে রায়না তিন নম্বর পজিশনে ধারাবাহিক পারফর্মার ছিলেন। তবে হঠাৎ সিএসকে শিবির ছাড়ার পরেই সমস্ত বিষয় একদম ঘেঁটে গিয়েছিল।
সিএসকে ম্যানেজমেন্ট অবশ্য প্যানিক বাটন প্রেস না করেই দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে, তা শনিবারের উদ্বোধনী ম্যাচেই প্রমাণ। রায়না কিংবা হরভজনকে ছাড়াই প্ৰথম ম্যাচে মুম্বইকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে সিএসকে। ২০১৮ সালের পর সিএসকে এই প্রথম রোহিতদের বিরুদ্ধে জিতল। শেষ পাঁচ সাক্ষাৎকারেই হার হজম করতে হয়েছে ধোনি এন্ড কোং-কে।
আরও পড়ুন: আইপিএল সুরক্ষিত নয়, তোপ দেগে টুর্নামেন্ট ছাড়লেন ভাজ্জি
আর জেতার পরেই সিএসকে ক্যাপ্টেন ধোনি পরোক্ষে বিঁধলেন ছেড়ে যাওয়া দুই তারকা-রায়না ও হরভজনকে। আইপিএলের ব্যবস্থাপনা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল মহাতারকাকে। সেখানেই ধোনি সাফ জানিয়ে দেন, "আইপিএল আয়োজকরা যেভাবে সমস্ত বন্দোবস্ত করেছে তা প্রশংসনীয়। এটা পুরোপুরি সফল করতে একাধিক বিষয় প্রয়োজন। ক্রিকেটার হিসেবে তো আমরা সমালোচনা করেই খালাস।"
এখানেই না থেমে ধোনি আরো বলেন, "আইসিসি একাডেমিতে অনুশীলনের সুবিধা দুরন্ত এক অভিজ্ঞতা। ঠিক মত অনুশীলনের সুবিধা না পেলে এমন বড় মাপের টুর্নামেন্ট খেলা সম্ভব নয়।"
প্রসঙ্গত, সুরেশ রায়না ব্যক্তিগত কারণের দোহাই দিয়ে আইপিএল ছাড়লেও, অনেকের অভিমত সিএসকে স্কোয়াডে ১৩ জন কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ার পর সংক্রমণের আশঙ্কায় দেশে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। সেকথা ঠারেঠোরে স্বীকারও করে নিয়েছিলেন তারকা বাঁ হাতি।
হরভজন তো আবার রাখঢাক না রেখেই বলে দিয়েছিলেন, “আমি চাই আইপিএল হোক। তবে শুধু আমি নয় টুর্নামেন্টের সঙ্গে জড়িত সকলের নিরাপত্তা যখন সুনিশ্চিত হবে তখনই লিগ খেলা হোক। একটি ক্রিকেট ম্যাচ চললে মাঠে ২০০-৩০০ লোক থাকবে। তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। এর মধ্যে যদি সংক্রমণ ছড়ানোর ১ শতাংশ সুযোগও থাকে, তাহলে টুর্নামেন্ট আরো স্থগিত করে দেওয়া উচিত। আইপিএল আয়োজন করাটা কোনো বিষয় নয়, তবে মানুষের প্রাণ বাঁচানো সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন