ব্যাটম্যান যদি ব্যাট করতেন, তাহলে কেমন খেলতেন? বলিউড তারকারা বলছেন ব্যাটম্যান আসলে রাহুল তেওটিয়া। বাস্তবের ব্যাটম্যান। সকলের কাছে নিজের প্রত্যাশা বাড়তে দেননি। তবে প্রত্যাশার চাপ কমতেই খুলে ফেললেন নিজের মুখোশ। অবিকল ব্যাটম্যানের মত।
রাহুল তেওটিয়ার ইনিংস দেখে এখনো বিস্ময়ের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারছেন না বলিউডের রুপোলি তারকারা। শারজায় প্রথম ২০ বলের ইনিংসে নিজেকে হাসির খোরাক করে তুলেছিলেন উঠতি এই তারকা। তবে শেষ দিকে ধুন্ধুমার প্রত্যাবর্তন। এক ওভারেই পাঁচ ছক্কা।
আরো পড়ুন: IPL 2020: সঞ্জুই কি পরের ধোনি! তরজায় জড়ালেন শশী থারুর, গম্ভীর
অভিনেতা রিতেশ দেশমুখ বাজিগর সিনেমার বিখ্যাত সংলাপের আদলে টুইট করেছেন, 'হার কার জিতনে ওয়ালো কো তেওটিয়া কেহতে হ্যায়।' বলিউডের কমেডিয়ান বিপুল গয়াল হাসির ছলে বলেছেন, তেওটিয়ার বায়োপিক আব্বাস-মাস্তানের নির্মাণ করা উচিত। কারণ বলিউডের এই পরিচালক দ্বয়ের সিনেমায় টুইস্ট এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
গায়ক অর্জুন কানুনগো ব্যাটম্যানের সঙ্গেই তুলনা করে লিখেছেন, প্রত্যাশার পারদ কমিয়ে আসল সময়েই ব্যাটম্যানের মত মুখোশ খুললেন তেওটিয়া। অর্জুন রামপাল, বিষ্ণু বিশাল, কুনাল কোহলি আবার তেওটিয়ার ইনিংসকে জীবনের শিক্ষা হিসাবে ধরছেন।
নিজের ইনিংসে একসময় তেওটিয়া প্রথম ২৩ বলে মাত্র ১৭ করেছিলেন। একের পর এক ডট বল খেলে চাপ বাড়াচ্ছিলেন সতীর্থদের উপর। আস্কিং রেট ক্রমশ বাড়ছিল। নেট জগতে হাসির ছররা উঠেছিল তেওটিয়ার ইনিংসে।
সেই সময়েই রুদ্রমূর্তি ধরেন উঠতি এই তারকা। সেলডন কটরেলের ১৮ তম ওভারে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে ৩০ রান তুলে দলকে জয়ের একদম ত্রিসীমানায় দাঁড় করিয়ে দেন।
তেওটিয়া ম্যাচের পরে বলে দেন, "প্রথম ২০ বল ছিল কেরিয়ারের নিকৃষ্টতম। নেটে বেশ ব্যাটে বলে করছিলাম। তবে ম্যাচে সেভাবে বল হিট করতে পারছিলাম না। ডাগ আউট সবাই আমাকে দেখে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছিল। কারণ আমি বল ভালোই ওড়াতে পারি। স্রেফ একটা ছক্কার প্রয়োজন ছিল। তারপর এমনিই হয়ে যায়।"
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন