সমস্ত জল্পনাকে সত্যি প্রমাণ করে এবার আরসিবি নিজেদের লোগো পরিবর্তন করল। বুধবার নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে লোগোর ছবি মুছে দেওয়ার পরে শুরু হয়েছিল জোর জল্পনা। বিরাট কোহলি থেকে যুজবেন্দ্র চাহালও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তখনই জানা গিয়েছিল, নতুন লোগো লাগিয়ে নতুন মরশুমে খেলতে নামতে পারে বেঙ্গালুরুর ফ্র্য়াঞ্চাইজি দলটি।
কোহলিকে না জানিয়েই আরসিবি নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের লোগো ফাঁকা করে ফেলেছিল ৪৮ ঘণ্টা আগে। মুছে ফেলা হয়েছিল পুরনো টুইটও। যুজবেন্দ্র চাহাল এই ঘটনাকে গুগলি বললেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কোহলি। তিনি আবার সরাসরি টুইট করে লিখেছিলেন, “পোস্ট মুছে ফেলা হচ্ছে, ক্যাপ্টেন জানতেও পারছে না। কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাকে বলা হোক।”
চাহাল নিজের টুইটারে লিখলেন, “আরে আরসিবি টুইটস, এটা কী ধরনের গুগলি? তোমার প্রোফাইল পিকচার, ইনস্টাগ্রাম পোস্ট কোথায় গেল!” তখনই ফ্র্য়াঞ্চাইজি সূত্রে জানানো হয়েছিল আরসিবি নামটাই বদলে ফেলা হচ্ছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক কর্তা জানিয়েছিলেন, “শেষ রাউন্ডের কথাবার্তা চলছে। সমর্থকদের পুরো বিষয়টাই জানানো হবে।”
তখনই জানা গিয়েছিল ১৪ তারিখেই কোহলিদের নতুন লোগো প্রকাশ করা হবে। সেই মতো সাতসকালেই আরসিবি নিজেদের টুইটার হ্যান্ডলে নতুন লোগোর চিত্র ফাঁস করে। নতুন লোগো প্রকাশ করার পরে আরসিবি-র চেয়ারম্যান সঞ্জীব চুড়িওয়ালা বলেন, "নতুনভাবে ব্র্যান্ড পরিচিতির জন্য সিংহের সমসাময়িক লুক দেওয়া হয়েছে।"
কেন হঠাৎ এই পরিবর্তন, তা জানাতে গিয়ে আরও জানিয়েছেন, "আমাদের বিশ্বাস সঠিকভাবে বাঁচা, নিঃশ্বাস নেওয়া এবং ক্রিকেটের প্যাশন উপভোগ করার জন্য় পরিচিতিতে পরিবর্তন আসা প্রয়োজন।"
চলতি মরশুমে ট্রফি খরা কাটানোর জন্যই নামছে আরসিবি। লোগো বদলানোর পাশাপাশি মুথুট ফিন্যান্সের সঙ্গে তিন বছরের স্পনসরশিপ চুক্তিও করেছেন বিরাট কোহলির আইপিএল দল।
১২ বছর আইপিএল সংসারে খেলছে আরসিবি। প্রত্যেক মরশুমে হেভিওয়েট দল গড়েও একবারও খেতাব জিততে পারেননি বেঙ্গালুরুর দলটি। শেষ কয়েক মরশুমে কোহলির অধিনায়কত্বে তো একদমই হতাশাজনক পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে আরসিবি।
তাই নিজেদের লোগো বদলে ফেলল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস যেমন দিল্লি ক্যাপিটালস হয়ে গিয়েছে, সেই পথেই হাঁটল আরসিবি। দু-মাসও বাকি নেই আইপিএল শুরু হতে। তার আগে এই পরিবর্তন আরসিবির আসন্ন টুর্নামেন্টে কতটা সৌভাগ্য বয়ে আনে, সেটাই দেখার।
Read the full article in ENGLISH