দুরন্ত আরসিবি। দুর্ধর্ষ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও। আইপিএলে থ্রিলারের ট্র্যাডিশন বজায় রইল আরসিবি বনাম মুম্বই ম্যাচেও। আরসিবি স্কোরবোর্ডে ২০১ তোলার পর সেই ম্যাচ টাই হয় মুম্বইও স্কোরবোর্ডে একই রান তোলায়। এরপর সুপার ওভারে জয়ী আরসিবি। সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে পোলার্ড ও হার্দিক ৭ এর বেশি তুলতে পারেনি। সেই রান আবার তুলে দেন বিরাট-এবি জুটি।
ফের ২০০র উপর রান। রুদ্ধশ্বাস রান তাড়া করা। অসম্ভব পরিস্থিতি থেকে একার হাতে ম্যাচের মোড় ঘোরানো। আইপিএলের প্রতি ম্যাচই যেন এরকম নিয়ম মেনে চলছে। রাজস্থান রয়্যালস বনাম কিংস ইলেভেন ম্যাচের রেশ কাটেনি। তার আগেই আরো এক টানটান ম্যাচের সাক্ষী থাকল দুবাই। এবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম আরসিবি ম্যাচে। যা গড়াল টাই এবং সুপার ওভারে।
স্কোরবোর্ডে মুম্বইয়ের টার্গেট ছিল ২০২ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে মুম্বই একসময় ৭৮ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। ওয়াশিংটন সুন্দরের দুরন্ত এক স্পেলের কোনো হদিস খুঁজে পাননি রোহিতরা।
নিজের ৪ ওভারের স্পেলে ওয়াশিংটন ১৪ রান খরচ করে তুলে নিয়েছিলেন রোহিতের দুর্মূল্য উইকেট। ডিকক, সূর্যকুমার যাদব এবং হার্দিক পান্ডিয়ারাও তখন প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন।
ঈশান কিষান সেই সময় ক্রিজে টিকে গিয়েছিলেন। পোলার্ড যখন নামেন তখন শেষ ৮ ওভারে মুম্বইয়ের জয়ের জন্য আস্কিং রেট ১৭ ছুঁইছুঁই।
সেখান থেকেই খেলা ধরে নিলেন ক্যারিবিয়ান সুপারস্টার। ২৪ বলে ৬০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে গেলেন তিনি। অন্যদিকে, শেষ ওভারে আউট হয়ে যাওয়ার আগে ঈশান কিষান ৫৮ বলে ৯৯ রানের ইনিংসে নিজের জাত চিনিয়ে যান। ঈশান কিষান একাই ২টো বাউন্ডারির সমেত ৯টা ওভার বাউন্ডারি হাঁকান। পোলার্ডের ব্যাট থেকে বেরোল পাঁচটা বিশাল ছক্কা। কঠিন পরিস্থিতি থেকে দুই তারকা ১১৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
শুরুতে বোলিংয়ে আরসিবি বোলাররা নজর কাড়লেও পোলার্ড, ঈশান কিষানদের সামনে শেষ ৪ ওভারে আরসিবি বোলাররা খরচ করলেন ৭৯ রান। ডেল স্টেইন, উমেশ যাদবকে ছাড়া দল গড়লেও কোহলির চিন্তা রয়েই যাচ্ছে।
তার আগে ব্যাটিংয়ে আরসিবিকে এদিন টানেন দুই ওপেনার দেবদূত পাডিকল এবং ফিঞ্চ। ওপেনিং জুটিতেই দুজন স্কোরবোর্ডে ৮১ তুলে দেন। দেবদূত পাডিকল (৪০ বলে ৫৪) ফের একবার ব্যাট হাতে হাফসেঞ্চুরি করলেন। ফিঞ্চের অবদান ৩৫ বলে ৫২।
দুজনে ভালো শুরু করার পর আরসিবিকে দুশো পেরোতে সাহায্য করে এবি ডিভিলিয়ার্সের ব্যাট। ৪টে করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪ বলে ৫৫ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলে যান মিস্টার ৩৬০। শেষ দিকে শিবম দুবেও ১০ বলে ২৭ রান করে আরসিবিকে ডাবল সেঞ্চুরি অবধি পৌঁছে দেন।
এদিকে আরসিবির সবাই এদিন ব্যাট হাতে সফল হলেও ব্যর্থ বিরাট। ১১ বলে মাত্র ৩ রান করার পর রোহিত শর্মার হাতে অনুশীলন করার ভঙ্গিতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন।
আরো পড়ুন: IPL 2020: সঞ্জুই কি পরের ধোনি! তরজায় জড়ালেন শশী থারুর, গম্ভীর
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন