একসময় দু মুঠো খাওয়ার সংস্থান হত না। এখন তিনিই তারকা হওয়ার পথে। শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নেওয়ার পরেই দেশের ক্রিকেটে পরিচিত মুখ হয়ে উঠলেন কেকেআরের মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী।
ম্যাচের পরেই আবেগঘন বার্তা ভেসে এল বরুণের কাছ থেকে। জানালেন, "মা হেমা মালিনী, বাবা বিনোদ চক্রবর্তী, বাগদত্তা নেহা এবং আমার ফিজিওকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ২০১৫ সাল নাগাদ স্থাপত্যবিদ হিসাবে খাওয়ার জন্য অর্থের সংস্থান করতে পারতাম না। সেই সময়েই ঠিক করি নতুন কিছু করতে হবে।"
আরো পড়ুন: মাঠেই প্রয়াত শ্বশুরকে বেনজির শ্রদ্ধা রানার, নাইট তারকার কীর্তিতে মুগ্ধ আইপিএল
নীতিশ রানা যেমন ব্যাট হাতে মাতালেন। তেমন বল হাতে দিল্লি মিডল অর্ডার ভাঙন ধরালেন বরুণ। রানা ও নারিন ব্যাটিংয়ে করে যান যথাক্রমে ৫৩ বলে ৮১ এবং ৩২ বলে ৬৪। দুরন্ত ব্যাটিং প্রদর্শনের সৌজন্যে দিল্লির সামনে কেকেআর ১৯৫ রানের টার্গেট রাখে। তারপর ৫৯ রানে জয় হাসিল করে নাইট বাহিনী।
কেকেআরের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে এদিন দিল্লি শুরুতেই বেলাইন হয়ে যায় প্যাট কামিন্সের বোলিংয়ে। ইনিংসের শুরুর বলেই রাহানেকে ফিরিয়ে দেন অজি পেসার। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে প্যাভিলিয়নে পাঠান আগের দুই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করে আসা ধাওয়ানকে (৬)। শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারানোর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দিল্লি। মাঝে শ্রেয়স আইয়ার (৪৭) এবং ঋষভ পন্থ (২৭) ৬৩ রানের পার্টনারশিপে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও বরুণ চক্রবর্তী ফেরত পাঠান দুজনকেই। এরপরে বরুণের ঘূর্ণিতে আউট হন আরো তিনজন। নিজের ৪ ওভারের কোটায় মাত্র ২০ রান খরচ করে বরুণ পাঁচ উইকেট শিকার করেন।
ম্যাচে দুরন্ত পারফরম্যান্স করার পর বরুণকে সেরা বাছা হয়। সেখানেই তিনি জানালেন, "অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা হল। শেষ কয়েক ম্যাচে আমি উইকেট পাচ্ছিলাম না। তবে আজ পাঁচ উইকেট পেলাম। শ্রেয়সকে আউট করে সবথেকে উপভোগ্য বিষয় ছিল। ছোট বাউন্ডারিকে সামনে রেখে বোলিং করছিলাম। তাই উইকেটে আক্রমণ করা জরুরি ছিল।"
ক্যাপ্টেন মর্গ্যানও রহস্য স্পিনারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, "ভীষন বিনয়ী ক্রিকেটার। কেবল নিজের পারফরম্যান্স নিয়েই ভাবে। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই ও আমাদের হয়ে দারুণ খেলে চলেছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন