ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন। পিটিয়ে ছাতু করলেন প্রতিপক্ষ বোলারদের। তারপর বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা বলে দিলেন, "এই নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার সুযোগ পেলাম। পাওয়ারপ্লে-তে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছি। বল একটু থমকে আসছিল। তবে আমি ঝুঁকি নিয়েই খেলে গিয়েছি। পিচ একটু সহজ হতেই ইনিংসের গতি বাড়িয়ে দিয়েছি।"
কাগিসো রাবাদার নেতৃত্বাধীন দিল্লির বোলিং আক্রমণ এবার চলতি টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা। অন্যতম সেরা বোলিং আক্রমণকেই মাটিতে টেনে নামালেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান এবং ডেভিড ওয়ার্নার। পাওয়ার প্লে-তেই ব্যাটে বিস্ফোরণ ঘটান দুজন। ৬ ওভারেই ৭৭ রান তুলে ফেলেন দুজন। বাংলার তারকার ঝলকানিতে ওয়ার্নার দিল্লি ম্যাচে পার্শ্বচরিত্র হয়ে গিয়েছিলেন।
আরো পড়ুন: বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে রায়না, তারকা ক্রিকেটারের ভবিষ্যত নিয়ে জোর জল্পনা
দশম ওভারে ৩৪ বলে ৬৬ করে আউট হয়ে ফিরে যান ওয়ার্নার। তবে ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়ার কাজ করতে থাকেন ঋদ্ধিমান সাহা। ১৫ তম ওভারে বিস্ফোরক ঋদ্ধি অবশেষে আউট হন এনরিখ নর্তজের বলে। তবে ততক্ষণে তাঁর নামের পাশে জমা হয়ে গিয়েছে ৪৫ বলে ৮৭ রান। মাত্র ১৩ রানের জন্য আইপিএল শতরান মিস করেন তিনি। এরপরেই ঋদ্ধির ইনিংসের তারিফ করতে দেখা যায় সাঙ্গাকারা, শচীনকে। ঋদ্ধির ইনিংস আইপিএল প্রেমীদের মনে পড়ে দিয়েছে ২০১৪ সালে কেকেআরের বিরুদ্ধে তাঁর করা শতরান।
ম্যাচে ৮৮ রানে জেতার পর ঋদ্ধির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে পড়েন ডেভিড ওয়ার্নারও। পুরস্কার নেওয়ার মঞ্চে তিনি বলেন, "জনি বেয়ারস্টোকে বাইরে রেখে সাহাকে প্রথম একাদশে আনার সিদ্ধান্ত কঠিন ছিল। তবে সাহা দুরন্ত খেলে নিজের নির্বাচনের প্রতি সম্মান জানাল। পাওয়ার প্লে-তে ওর স্ট্রাইকরেট ছিল দেখার মত। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, ওর কুঁচকিতে সামান্য চোট লেগেছে। তবে সেটা বড় কোনো ব্যাপার নয়।"
সোমবারই অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য দল নির্বাচন করেছে বোর্ড। টেস্টে পন্থের সঙ্গে জায়গা পেয়েছেন শিলিগুড়ির পাপালিও। নিজের নির্বাচনে খুশি তিনি। জানিয়ে দিলেন, "অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে আমাকে রাখার বেশ খুশি আমি। তবে আপাতত সানরাইজার্স এর জার্সিতে দুটো ম্যাচে জিততে চাই। সেটাই এখন পাখির চোখ।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন