সোমবার যেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আতঙ্ক নিয়ে হাজির হল। প্রথমে কেকেআরের দুই তারকা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সোমবারের ম্যাচ বাতিল হয়ে গিয়েছিল। টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন ওঠে গেল তারপরেই। কারণ এদিনই করোনার শিকার হলে সিএসকে দলও। সিএসকে দলের এক স্কোয়াড মেম্বার এবং টিম বাস ক্লিনার এবার কোভিডের খপ্পরে। সঙ্গেসঙ্গেই সোমবার ধোনিদের অনুশীলন স্থগিত করে দেওয়া হল।
নয়াদিল্লিতে করোনার দ্বিতীয় ঝড়ের সামনে আইপিএলের বায়ো বাবলও যে সুরক্ষিত নয়, তা প্রমাণ হয়ে গেল সোমবারই। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, সিএসকে দলে পজিটিভ রিপোর্ট আসা তিন জনকে আপাতত আইসোলেশন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে ক্রিকেটাররা তাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদেরকে একদিনের কোয়ারেন্টাইন সারতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন: কোভিডে আক্রান্ত দুই নাইট, স্থগিত সোমবারের ম্যাচ! আইপিএল বন্ধ হওয়ার মুখে
সোমবার কেকেআর বনাম আরসিবি ম্যাচ স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরেই সিএসকে দলের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ভারতীয় বোর্ডের এক সদস্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "যাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তাঁদের সোমবার আরো একবার টেস্ট করানো হবে। এই রিপোর্ট ডাবল চেক করে দেখতে চায় সিএসকে। আপাতত সমস্ত ক্রিকেটারদের আইসোলেশন সারতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকের কোভিড টেস্ট করা হবে আবার।"
প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, কেকেআর, সিএসকের পর অন্য কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি করোনা-আক্রান্ত হলে, বোর্ডের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। বর্তমানে সিএসকে দিল্লিতে যে হোটেলে রয়েছে, সেখানে সিএসকের জন্য পৃথক গেটওয়ে রয়েছে। শনিবারই সিএসকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলেছিল।
এর আগে সোমবার বোর্ডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কেকেআরের স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী এবং স্পিনার সন্দীপ ওয়ারিয়র করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরেই তড়িঘড়ি সোমবার আরসিবি-কেকেআর ম্যাচ স্থগিত করে দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে আইপিএলের প্রেস রিলিজে জানানো হয়, “গত চার দিন তিন রাউন্ডের টেস্টিংয়ে বরুণ চক্রবর্তী এবং সন্দীপ ওয়ারিয়রের পজিটিভ ধরা পড়েছেন। তবে অন্য টিম মেম্বারদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।” সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, “দুই তারকাই বাকিদের থেকে নিজেদের আলাদা করে নিয়েছেন। বোর্ডের মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা দুজনের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছেন এবং স্বাস্থ্য মনিটরিং করে চলেছেন। আপাতত কেকেআরের প্রতিদিন টেস্ট করা হবে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন