আইপিএল কি আর হবে? সোমবার থেকেই এই প্ৰশ্ন উঠে গিয়েছে আইপিএলের অন্দরমহলে। সপ্তাহের শুরুতেই যে এমন ঝটকা অপেক্ষা করে রয়েছে বোর্ডের জন্য যে জানত। প্রথমে দুই নাইট বরুণ চক্রবর্তী, সন্দীপ ওয়ারিয়র কোভিড পজিটিভ হওয়ার পর সিএসকের স্কোয়াডের তিন জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
পরে জানা যায়, ধোনিদের বোলিং কোচ লক্ষীপতি বালাজি করোনার শিকার হয়েছেন। তারপরেই দিল্লি লেগ চালিয়ে যাওয়া হবে কিনা, বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল টুর্নামেন্টের গায়ে।
দুই তারকা পজিটিভ ধরা পড়ার পর গোটা কেকেআর দলকে ছয় দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, বালাজি সিএসকের প্রতি ম্যাচেই ডাগ আউটে বসতেন। সোমবার দুটো পজিটিভ রিপোর্ট নিয়ে বালাজিও আইসোলেশনে চলে গেলেন।
আরো পড়ুন: কেকেআর ছাড়ছেন সাকিব, সপ্তাহের শুরুতেই দুঃসংবাদ নাইট সংসারে
বোর্ডের এক সিনিয়র আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, "বালাজি পজিটিভ হলেও সিএসকের বাকিরা নেগেটিভ। তা সত্ত্বেও চিন্তা রয়ে যাচ্ছে। সাধারণত, সংক্রমিত হওয়ার ছয়-সাত দিন পর উপসর্গ দেখা যায়। এখন প্রশ্ন হল, দিল্লি লেগের বাকি দুই ম্যাচ কি খেলা উচিত হবে?" ডিডিসিএ-র সভাপতি রোহন জেটলি আবার জানিয়ে দিয়েছেন, বোর্ডের তরফে এখনো সূচি বদলানোর কথা জানানো হয়নি। গত শনিবারই কোটলায় খেলেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং সিএসকে।
বোর্ডের সেই প্রভাবশালী আধিকারিক আরো বলেছেন, "ম্যাচের আগে এবং পরে বালাজি ডাগ আউটে ছিলেন। শেষে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন স্বাভাবিকভাবে। এখন কেকেআর ম্যাচ যেভাবে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই যদি মুম্বইয়ের সঙ্গে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচ এবং বুধবার সিএসকের সঙ্গে রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচ বন্ধ করে সকলের টেস্টিং করানো হয়, সেটা ভালো আইডিয়া হবে।" তাঁর দাবি কেকেআর শিবিরে যেভাবে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়ার পর কঠোর কোয়ারেন্টাইন বিধি পালন করছেন, একইভাবে সিএসকে দলকেও পুরোপুরি আইসোলেশনে পাঠানো উচিত।
ঘটনা হল বোর্ডের কাছে শেষ অপশন হিসাবে থাকছে সূচি নতুন করে বানানো। কারণ, এক লেগের খেলা বন্ধ করে অন্য ভেন্যুতে বায়ো বাবল সমেত যাওয়া বিশাল ঝক্কির। সূচি না বদলিয়েই কীভাবে এখন অবস্থা সামাল দেয় বোর্ড, সেটাই এখন দেখার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন