গোটা দেশে করোনাসুরের তান্ডবে ত্রাহি ত্রাহি দশা। প্রতিদিন লাশের পাহাড় জমছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। হাসপাতালে বেড বাড়ন্ত। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে গোটা দেশ। কোভিডে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে অক্সিজেন প্রয়োজন। কোভিড আক্রান্তদের রিকভারির ক্ষেত্রেও দরকার অক্সিজেন সিলিন্ডার। তাই এই মুহূর্তে অক্সিজেন দেশে প্রচন্ড মহার্ঘ্য।
প্রয়োজনের সময় অনেকেই বাড়িতে তাই প্রিয়জনদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার সংগ্ৰহ করে রাখছেন। সম্প্রতি, ভয়ঙ্কর বিপদে পড়ে গিয়েছিলেন দিল্লির এক ব্যক্তি। বেঙ্গালুরু থেকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সংগ্ৰহ করে একজন দিল্লিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন অসুস্থ বাবার জন্য। তবে বিমানবন্দরে সেই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর 'ভুলবশত' নিয়ে যান সিএসকের এক সদস্য। পরে তা হোটেলে উদ্ধার হয়।
আরো পড়ুন:
ইডেনে আইপিএলের আসরের আগেই চমক! ৩০ এপ্রিল ফ্রি-তে টিকাকরণ সিএবিতে
এমনই অদ্ভুত এক কান্ড ঘটল রাজধানীতে। দিল্লির এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আনোয়ারের বাবা। তবে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ক্রমশই কমছিল। দিল্লিতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ঘাটতি থাকায় তিনি তা সংগ্ৰহ করেন বেঙ্গালুরু থেকে। ইন্ডিগো ফ্লাইটে তিনি এই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়েও এসেছিলেন। তবে বিমানবন্দরে নামার পরে সেই সিলিন্ডারের আর হদিস পাননি তিনি। ২৪ ঘন্টা তন্নতন্ন কর খোঁজেন তিনি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং উড়ান সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন।
তারপরেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় আসল ঘটনা। দেখা যায় ভুল বশত এক সিএসকে টিমমেম্বার সেই কার্টন সংগ্ৰহ করেন। তিনি টিমের লাগেজের অংশ ভেবে তা তুলে নেন।
নিউজ মিনিট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দলের ক্রিকেটাররা চার্টার্ড ফ্লাইট ব্যবহার করলেও টিম মেম্বাররা সাধারণ ফ্লাইটে যাতায়াত করেন। সেই 'লাগেজ' হোটেলের এক পৃথক রুমে রাখা হয়েছিল স্যানিটাইজ করার জন্য। সেই সময়েই সিএসকে দল বুঝতে পারে লাগেজ রুমে অতিরিক্ত কার্টন রয়েছে।
এদিকে আনোয়ার অসুস্থ বাবাকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল। অক্সিজেনের কনসেনট্রেটর হারিয়ে হতাশায় নুইয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত সেই সিলিন্ডার তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
যাইহোক, মুম্বইয়ে প্রথম লেগ শেষের পরে সিএসকে আপাতত দিল্লিতে দ্বিতীয় লেগে খেলার জন্য। বুধবারই সিএসকে জিতেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন